স্ত্রী স্বামীকে ই-মেইল খোলা শেখাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে পাসওয়ার্ড সেট করার জায়গায় স্ত্রী বলে দিলো এখানে পাসওয়ার্ড সেট করো।
স্ত্রীর সাথে মজা করার জন্য স্বামী স্ত্রীকে দেখিয়ে দেখিয়ে আস্তে আস্তে টাইপ করলো- P... E...N....I....S.
কম্পিউটার উত্তর দিলো, Password denied.... Not long enough.
ক্রিসমাস পার্টিতে অনেক মাস্তি আর হুল্লোড় করার পরদিন জন প্রচন্ড মাথাব্যথা নিয়ে জাগলো। গতরাতের কথা তার কিছুই মনে ছিলো না। নিচে গিয়ে সে দেখলো তার স্ত্রী কফি বানাচ্ছে।
- গত রাতে আমি খারাপ কিছু করিনি তো? জানতে চাইলো জন।
- তেমন কিছু না, তবে তোমার বসকে সবার সামনে গালিগালাজ করেছো।
- ওই ব্যাটার মুখে আমি পেশাব করি, শয়তান একটা! জন গালি দিয়ে উঠলো।
- তুমি তাই করেছো, ফলস্বরূপ তোমাকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছে। স্ত্রী বললো।
- ফাক হিম! আবারো গালি দিলো জন।
- তুমি তাই করেছো, ফলস্বরূপ সোমবার থেকে তুমি আবার চাকরিতে জয়েন করছো।
এক ডিপ সী ডাইভার স্কুবা গিয়ার পরে পানির ৩০ ফুট যাবার পর দেখলো একজন তার সমান দূরত্বে ভাসছে কিন্তু তার কোন ইকুইপমেন্ট পরা নেই।
সে আরো ২০ ফুট নিচে গিয়ে অবাক হয়ে খেয়াল করলো লোকটা তাকে ফলো করে আসছে।
সে ওয়াটারপ্রুফ বোর্ডে লিখলো, তুমি ডাইভিংয়ের সামগ্রী ছাড়া কিভাবে এতোদূর আসছো?
লোকটি বোর্ডে লিখে উত্তর দিলো, গাধা, আমি ডুবে যাচ্ছি। আমাকে বাঁচাও।
বাগানে দাদা নাতি খেলছিলো। একটা গর্ত থেকে একটা কেঁচোকে বেরোতে দেখে নাতি বললো, দাদু, আমি এটাকে গর্তে ঢোকাতে পারবো।
দাদা তার সাথে ৫ ডলার বাজি রাখলো যে সে পারবে না কারণ কেঁচোটা খুব পিচ্ছিল আর নরম ছিলো। ধরাই কঠিন তার ওপর আবার অতটুকু গর্তে ঢোকানো!
নাতি বাজি ধরার পর বাড়ির ভিতর গিয়ে একটা স্প্রে নিয়ে এলো। কেঁচোটার সারা গায়ে ছিটিয়ে এক মিনিট অপেক্ষা করলো। ততক্ষণে কেঁচোটা স্প্রের প্রভাবে শক্ত ও সোজা হয়ে গেলো। তখন সে সেটাকে গর্তে ঢুকিয়ে দিলো। দাদা তার কথামতো ৫ ডলার দিয়ে দিলো।
একটু পর দাদা আবার নাতির সাথে দেখা করলো। এবারও তার হাতে একটা পাঁচ ডলারের নোট দিলো।
- দাদু, তুমি তো একবার টাকা দিয়েইছো। আবার কেন? নাতি অবাক!
- এটা তোর দাদির পক্ষ থেকে।
এক ছেলে আর এক মেয়ের গাড়ি মুখোমুখি প্রচণ্ড সংঘর্ষ হলো। ভাগ্যক্রমে দুইজনেই বেঁচে গেলো। কোনমতে ক্রল করে গাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে বেরিয়ে মেয়েটি দেখলো ছেলেটিও বেরিয়ে এসেছে।
- ঈশ্বর মনে হয় আমাদের মিলন লিখে রেখেছেন, নাহলে এমন এক্সিডেন্টের পর বাঁচার কথা না। মেয়েটি বললো।
- আমারও তাই মনে হয়। ছেলেটি খুশি হয়ে উত্তর দিলো।
মেয়েটি বললো- দেখো, আমার কাছে ১ বোতল ওয়াইন বেঁচে গেছে। চলো আমাদের ভাগ্যের মিলন আমরা সেলিব্রেট করি।
ছেলেটি রাজি হয়ে বোতলের অর্ধেক সাবাড় করে মেয়েটির হাতে দিলো। বললো- এবার তুমি খাও।
মেয়েটি বললো - তারচেয়ে আমি বরং পুলিশের জন্য অপেক্ষা করি।
ছেলে বাবাকে জিজ্ঞেস করছে, বাবা, মেয়েদের কত রকমের বুক আছে?
বাবা একটু বিব্রত হলেও ছেলেকে শেখানোর স্বার্থে বললো, তিন রকমের বুক আছে।
২০ - ৩০ বছর বয়সে তাদের বুক থাকে লেবুর মতো, গোল আর মজবুত।
৩০ - ৪০ বছর বয়সে তাদের বুক থাকে নাশপাতির মতো, তখনও সুন্দর দেখায় কিন্তু একটু ঝুলে যায়।
৪০ -৫০ বছর বয়সে তাদের বুক হয় পেঁয়াজের মতো।
- পেঁয়াজের মতো? ছেলে অবাক।
- হ্যাঁ, যদি সেগুলো দেখো, তোমার কান্না পাবে।
নাসা মঙ্গল গ্রহে যাবার জন্য লোক নিচ্ছিলো যারা শুধু মঙ্গল গ্রহে থাকার জন্য যাবে কিন্তু তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।
এক ইঞ্জিনিয়ার ইন্টারভিউর জন্য এলো। 'আমাকে এক মিলিয়ন ডলার দিতে হবে।' দাবি করলো সে। 'এই টাকা আমি আমার পরিবারকে দিয়ে যেতে চাই।
এরপর এক ডাক্তার এলো। 'আমাকে দুই মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। আমি এক মিলিয়ন দিবো আমার পরিবারকে আর এক মিলিয়ন দিবো মেডিকেল খাতে উন্নয়নের জন্য।
এরপর এলো এক উকিল। 'আমাকে তিন মিলিয়ন ডলার দিতে হবে।'
অন্যদের তুলনায় এতো বেশি কেন জানতে চাইলে তার উত্তর, 'এর মধ্যে এক মিলিয়ন আপনাকে দিবো, এক মিলিয়ন আমি রাখবো আর বাকি এক মিলিয়ন দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়ে দেবো।'
ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য জন হোটেলের ৫০ তলায় উঠলো। দরজায় টোকা দিতেই খুব সুন্দরী এক মেয়ে দরজা খুললো।
- আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যেই রেডি হয়ে আসছি। তুমি ততক্ষণ আমার কুকুর স্পটের সাথে খেলো। ও খুব কিউট। গড়াতে, লাফাতে পারে। আর তুমি যদি হাত দিয়ে গোল রিঙের মতো বানাও তাহলে ও সেই রিঙের মাঝখান দিয়ে লাফ দিবে। বলে মেয়েটি বাথরুমে চলে গেলো।
জন কুকুরটির সাথে খেলতে খেলতে ব্যালকনিতে চলে এলো। একসময় হাত দিয়ে রিঙের মতো করতেই স্পট লাফ দিয়ে ব্যালকনি দিয়ে নিচে পড়ে গেলো।
এমন সময় মেয়েটি বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলো- তোমার কি মনে হয়? আমার কুকুরটা খুব কিউট না?
- তাই নাকি? আমার কাছে তো মনে হলো ওর মন খুব খারাপ! জনের উত্তর।
এক মাতাল শেষ মুহূর্তে ট্রেনে উঠে পড়ে এক পাদ্রীর পাশে বসে পড়লো। তার গা থেকে মদের বিশ্রী গন্ধ আসছিলো, সারামুখে ময়লা-লালা গড়াচ্ছিলো আর পুরোনো ছেঁড়া কোটের পকেট থেকে মদের বোতলটা উঁকি দিচ্ছিলো।
পাদ্রীর পাশে বসেই সে বগলে রাখা পেপারটা খুলে পড়তে শুরু করলো। একটু পর পড়া থামিয়ে পাদ্রীকে জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা ফাদার, আর্থ্রাইটিস কেন হয়?
- অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, অধিক মদ্যপান, খারাপ মেয়েদের কাছে যাওয়া ইত্যাদি কারণে এই রোগ হতে পারে। পাদ্রী জবাব দিলো।
-অ! বলে মাতাল আবার পড়ায় মনযোগ দিলো।
পাদ্রী ভাবলো খুব কড়া উত্তর দেয়া হয়েছে। তাই সে একটু নরম সুরে বললো, তোমার কতদিন ধরে আর্থ্রাইটিস হয়েছে?
মাতাল বললো, আমার না। পেপারে পড়লাম পোপের নাকি হয়েছে।
এক সার্কাসের মালিক এক বারে গিয়ে দেখলো এক লোক হাঁসের নাচের খেলা দেখাচ্ছে। হাঁসটা তার নির্দেশমতো একটা পটের উপর ট্যাপ ড্যান্স করছে। দেখে তো সে দারুণ মুগ্ধ। হাঁসটা কেনার প্রস্তাব দিলো তার মালিককে।
অনেক আলোচনা শেষে হাঁসটার মূল্য ১০০০০ ডলার ধার্য হলো।
দু'দিন পরেই সার্কাসের মালিক সেই বারে ফিরে এলো। হাঁসের পুরোনো মালিককে বললো, তোমার ভূয়া হাঁস ফেরত নাও। আমার দর্শকদের সামনে ওকে পটে বসিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু একটা পা-ও নাচেনি।
মালিক উত্তর দিলো, তুমি কি ওর পটের নিচে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছিলে?
Page number
হাসির বাক্স ব্লগে স্বাগতম
নিয়মিত আপডেট পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব বা ফলো করতে পারেন।
সোর্স উল্লেখ করলে এই সাইটের যে কোন কৌতুক যেকোন জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন।
প্রতিদিনের কৌতুক মেইলে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
Labels
- কৌতুক (87)
- ১৮+ কৌতুক (29)
- স্বামী স্ত্রী কৌতুক (9)
- ঢাকাইয়া কৌতুক (8)
Popular Posts
পুরোনো পোস্টসমূহ
-
▼
2010
(132)
- ▼ 10/24 - 10/31 (18)
- ► 10/17 - 10/24 (34)
- ► 10/10 - 10/17 (21)
- ► 10/03 - 10/10 (35)
- ► 09/26 - 10/03 (24)