আমেরিকার সিনেটে এক সিনেটর বেশ গরম মাথা আর চাঁছাছোলা কথার জন্য কুখ্যাত ছিলো। একদিন সিনেটের মধ্যে সে চেঁচিয়ে উঠে প্রতিবাদ করলো, সিনেটের অর্ধেক মেম্বারই কাপুরুষ আর দুর্নীতিবাজ।
সিনেটের মেম্বাররা এর প্রতিবাদ করে উঠলেন। তারা দাবি জানালেন ওই সিনেটরকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য নতুবা তাকে যেন সিনেটের বাকি সময়টুকু সরিয়ে দেয়া হয়।
এ কথা শুনে সিনেটর তার বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে বললেন, আমি আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি। সিনেটের অর্ধেক মেম্বার কাপুরুষ আর দুর্নীতিবাজ নন।
১৯৩০ এর দিকের ঘটনা। এক কৃষক তার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছে শহরের বিমান বন্দর পরিদর্শন করতে। বিমান দেখতে দেখতে দু'জনেরই খুব শখ হলো প্লেনে চড়ার।
তারা এক পাইলটকে জিজ্ঞেস করলো ভাড়া কত। পাইলট বললো, ৩ মিনিট ১০ ডলার।
- ভাড়া তো অনেক বেশি! কৃষক বললো।
পাইলট তাদেরকে একনজর দেখে বললো, দেখো, তোমাদেরকে একটা বিশেষ অফার দিচ্ছি। তোমরা যদি প্লেনে উঠে কোন চিৎকার না করো তাহলে আমি তোমাদের অর্ধেক রেটে উড়িয়ে আনবো। কিন্তু যদি তোমরা চিৎকার করো, তাহলে প্রতি ৩ মিনিটে পুরো ১০ ডলারই দিতে হবে।
এতে কৃষক রাজি হলো। পাইলট তাদেরকে নিয়ে ভয়ংকর এক উড়ান দিয়ে ফিরে এলো। কিন্তু কৃষক আর তার স্ত্রী একবারও চেঁচালো না।
পাইলট বললো, তোমরা আসলেই খুব সাহসী। এমন ভয়ানক ভাবে প্লেন ওড়ানোর পরও তোমরা ভয় পাওনি।
একথা শুনে কৃষক বললো, বলো কি! একটু আগে আমার স্ত্রী যখন পড়ে যাচ্ছিলো তখন চিৎকার প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিলো মুখ থেকে।
আমেরিকান এয়ারলাইন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের স্ত্রীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার নিয়ম চালু করলো যদি তারা তাদের স্বামীদের সাথে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করে।
এক এটর্নি গভীর রাতে গভর্নরকে ফোন করলো। তার সেক্রেটারি ফোন ধরলে তাকে জানালো এটা খুবই আর্জেন্ট বিষয়।
গভর্নরকে ফোন দেয়া হলো।
- কি ব্যাপার? ঘুম ঘুম কণ্ঠে গভর্নর জানতে চাইলো।
- স্যার, জাজ ম্যাকলিন একটু আগে মারা গেছেন, আমি তার স্থান গ্রহণ করতে চাই।
- ঠিক আছে, আজরাইল রাজি থাকলে আমার আপত্তি নেই।
এক উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণী বারটেন্ডারের সামনে এসে ইশারায় তাকে ডাকলো। বারটেন্ডার এগিয়ে এলে লাস্যময়ী ভঙ্গিতে তার থুতনি আর গালে হাত বুলিয়ে তরুণী জিজ্ঞেস করলো- তুমিই কি ম্যানেজার?
বারটেন্ডার একটু কেঁপে নিজেকে সামলে বললো- জ্বী না।
তরুণী এবার বারটেন্ডারের মাথার চুল আর কানে হাত বুলিয়ে বললো- ওকে একটু ডেকে দেবে? একটা সমস্যা হয়েছে?
বারটেন্ডার জানতে চাইলো- কি সমস্যা আমাকে বলুন।
তরুণী বারটেন্ডার মুখে তার তর্জনী আর মধ্যমা ঢুকিয়ে সেগুলো বারটেন্ডারকে চুষতে দিলো। খুশিতে বারটেন্ডারের পাগলপ্রায় দশা।
- ম্যানেজারকে বলো লেডিস টয়লেটে টিসু পেপার নেই। তরুণীর জবাব।
এক মহিলা এক গাড়িতে ৫-৬টি বাচ্চা নিয়ে নার্ভাস হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলো। একটা 'থামুন' সাইন সে পার হয়ে গেলে পুলিশ তাকে থামালো।
- আপনি কি থামতে শিখেননি? জানতে চাইলো পুলিশ।
- এগুলো তো আমার বাচ্চা নয়। মহিলার উত্তর।
ময়দানে সৈন্যদের খোঁজ নিতে গিয়ে জেনারেল বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলেন একজন সৈন্যও উপস্থিত নেই। কিছুক্ষণ পর হাঁপাতে হাঁপাতে এক সৈন্যে এসে হাজির।
- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।
- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম, থামলো না, একটা ফার্মে গিয়ে একটা ঘোড়া কিনে রওনা দিলাম, মাঝপথে সেটা মারা গেলো। এরপর বাকি ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি।
অজুহাতটা জেনারেলের মনো:পুত হলো না। তারপরও যেহেতু সে এসেছে তাই তাকে ছেড়ে দিলেন।
এরপর আরো আটজন সৈন্য হাঁপাতে হাঁপাতে এলো।
- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।
- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম, থামলো না, একটা ফার্মে গিয়ে একটা ঘোড়া কিনে রওনা দিলাম, মাঝপথে সেটা মারা গেলো। এরপর বাকি ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি। সবাই এই অজুহাত দিলো।
জেনারেল তাদের অজুহাতে ভারি সন্দিহান হয়ে পড়লেন। কিন্তু যেহেতু এই অজুহাতের কারণে প্রথম জনকে ছেড়ে দিয়েছেন তাই তিনি তাদেরকেও ছেড়ে দিলেন।
একটু পর আরেক সৈন্য হাঁপাতে হাঁপাতে এলো।
- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।
- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম .....
- বাকিটা আমি বলি। তুমি ট্যাক্সিকে থামতে বললে, সেটা থামলো না। তারপর তুমি একটা ঘোড়া কিনলে....।
- না স্যার, আমি ট্যাক্সি পেয়েছি ঠিকই। কিন্তু একটু দূরে গিয়ে দেখি রাস্তায় অনেক মরা ঘোড়া পড়ে আছে। সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে আসতে আসতেই দেরি হয়ে গেলো।
এক সোনালি চুলের আর এক লাল চুলের মেয়ে হাঁটছিলো। দূর থেকে তারা দেখতে পেলো লাল চুলের মেয়ের বয়ফ্রেন্ড ফুল কিনছে।
- সর্বনাশ! ও আবার ফুল কিনছে! লাল চুলের মেয়ে বললো।
- তুমি মনে হচ্ছে ফুলে উপহার পেতে পছন্দ করো না? সোনালি চুলের মেয়ের প্রশ্ন।
- করি, কিন্তু ও যখনই ফুল দেয় তখনই ওর মনে কোন বিশেষ ইচ্ছা থাকে। আমি চাই না ফুল পাবার পরের তিন দিন আমি দুইদিকে পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকি।
- কেন তোমাদের বাসায় কি ফুলের ভাস নেই? সোনালি চুলের বিস্ময়কর প্রশ্ন।
ছোট্ট জনিদের ক্লাসে স্যার রক্ত চলাচল সম্পর্কে পড়াচ্ছেন। ভালো করে বোঝার জন্য স্যার উদাহরণ দিলেন, ধরো, যদি আমি মাথার উপর ভর করে দাঁড়াই তাহলে রক্ত আমার মাথায় উঠে আসবে। এবার বুঝেছো?
ছাত্ররা জানালো যে তারা বুঝেছে।
- কিন্তু, এই যে আমি পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আছি, এখন তো রক্ত আমার পায়ে চলে আসছে না। বলতো কেন?
- কারণ এটা বোধহয় খালি নয়। ছোট্ট জনির উত্তর।
এক মহিলার আত্মীয় স্বজন পুরো আমেরিকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো। ভাতিজা, ভাতিজী, ভাগ্নে, ভাগ্নীদের দেখার জন্য সে প্রায়ই প্লেনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ভ্রমণ করতো। বাচ্চাদের সঙ্গ তার যতই ভালো লাগুক না কেন, প্লেন সম্পর্কে তার একটা ভয় সবসময় কাজ করতো- যদি কেউ প্লেনে বোমা ফাটিয়ে দেয়?
তার ভয়ের কথা জানতে পেরে আত্মীয় স্বজনরা ঠিক করলো তাকে এক স্ট্যাটিসটিক্স অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাবে যাতে তাকে এটা বোঝানো যায় যে প্লেনে বোমা নিয়ে ওঠার সম্ভাবনা শতকরা কতো ভাগ।
স্ট্যাটিসটিক্স অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে মহিলা প্রশ্ন করলো, বোমা নিয়ে প্লেনে কোন খারাপ লোক ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু।
লোকটি তাকে জানালো- খুব কম। পঞ্চাশ হাজার বারে একবার।
মহিলা জানতে চাইলো- একই প্লেনে দুইজন বোমা নিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতদূর?
লোকটি বললো- এটার সম্ভাবনা আরো কম, এক কোটি বারে একবার। কোন ভয় নেই।
মহিলা খুশি হয়ে চলে এলো।
এরপর থেকে সে যতবার প্লেনে চলাফেরা করতো, প্রতিবার সাথে একটা বোম রাখতো।
এক পাইলট, বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড় মাইকেল জর্ডান, বিল গেটস, পোপ আর এক কলেজের ছাত্র এক বিমানে করে ঝড়ো আবহাওয়ায় যাচ্ছিলো।
এমন সময় পাইলট এসে জানালো যে বিদ্যুৎ পড়ে প্লেনে আগুন ধরে গেছে। তাড়াতাড়ি প্যারাশুট নিয়ে লাফ না দিলে জীবন বিপন্ন হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, পাঁচজন লোকের বিপরীতে মাত্র চারটা প্যারাশুট আছে। আমি যেহেতু পাইলট, তাই আমি একটা প্যারাশুট নিচ্ছি। বলেই সে একটা প্যারাশুট নিয়ে লাফ দিলো।
মাইকেল জর্ডান বললো, আমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। এই বিশ্বে সেরা খেলোয়াড়ের দরকর আছে। তাই আমি একটা প্যারাশুট নিচ্ছি। বলেই সে একটা প্যারাশুট নিয়ে লাফ দিলো।
বিল গেটস বললো, আমি বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট ব্যক্তি। আমার ওপর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ভর করে। তাই আমি একটা প্যারাশুট নিচ্ছি। বলেই সে একটা প্যারাশুট নিয়ে লাফ দিলো।
পোপ আর কলেজ ছাত্রের সামনে এখন মাত্র একটি প্যারাশুট। বৃদ্ধ পোপ বললেন, আমি বাবা অনেকদিন বেঁচেছি। তোমার এখন বাঁচার সময়। তুমিই প্যারাশুটটা নাও। আমি প্লেনেই থাকবো।
কলেজ ছাত্র হেসে বললো, তার দরকার হবে না। বিশ্বের সবচেয়ে 'স্মার্ট' ব্যক্তি প্যারাশুটের বদলে আমার কলেজের ব্যাগ নিয়েই লাফ দিয়েছে।
ডিয়ার সুসান,
তুমি এনগেজমেন্ট ভেঙে চলে যাবার পর থেকে আমার মন খুব খারাপ। তোমাকে ছাড়া আমার এক মুহূর্তও চলতে চায় না। তোমাকে ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে ভালোবাসার কথা আমি চিন্তাই করতে পারি না। তুমি আমার শয়নে-স্বপনে, দিবসে রজনীতে। যা হবার হয়ে গেছে, আমরা কি আবার নতুন করে শুরু করতে পারি না?
তোমারই প্রিয়,
জ্যাক
পুনশ্চ: ক্রীড়া উন্নয়ন লটারির প্রথম পুরষ্কার জেতায় অভিনন্দন।
এক পত্রিকার পক্ষ থেকে এক ফটোগ্রাফারকে হায়ার করা হলো বনে সম্প্রতি লাগা দাবানলের ছবি তোলার জন্য। ফটোগ্রাফার সেখানে পৌঁছে দেখলো ধোঁয়া এতো বেশি যে ছবি তোলা সম্ভব না।
সে সম্পাদককে ফোন দিয়ে সমস্যার কথা জানালো। সে বললো, যদি একটা প্লেনের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে উপর থেকে ছবি তুলতে সহজ হবে।
সম্পাদক একটু পর তাকে ফোন দিয়ে জানালো দাবানলের কাছেই একটা এয়ারফিল্ডে তার জন্য একটা প্লেন অপেক্ষা করছে।
যথারীতি এয়ারফিল্ডে গিয়ে ফটোগ্রাফার একটা প্লেন দেখতে পেলো। পাইলট সিটে বসাই ছিলো। সে দ্রুত উঠে পাইলটকে তাড়া লাগানো প্লেন ওড়ানোর জন্য।
প্লেন উড়লো। ফটোগ্রাফার তাড়া লাগালো, জলদি করে বনের উত্তর-পশ্চিম কোণে যাও। ওখানে গিয়ে ছবি তুলবো।
তার কথা শুনে পাইলট হাঁ করে তাকিয়ে রইলো, কি বললেন স্যার!
ফটোগ্রাফার একটু বিরক্ত হয়ে বললো, কি বলছি বোঝো না? আমার হাতে এটা ক্যামেরা, এটা দিয়ে ছবি তোলে। যেহেতু এটা আমার হাতে তাই আমি ছবি তুলবো। পরিষ্কার?
দীর্ঘ এক বিরতির পর পাইলটের উত্তর, তার মানে কি আপনি আমার নতুন ইনস্ট্রাক্টর নন? আমাকে আজকে ল্যান্ডিং শেখানোর কথা ছিলো।
কার্ডিনালদের নিয়ে পোপের এক মিটিঙয়ে আলোচনা হচ্ছিলো ইসরায়েলের ইহুদি নেতা শিমন পেরেজের একটি প্রস্তাব নিয়ে। এক কার্ডিনাল পোপকে জানালো, শিমন পেরেজ খৃস্টান ধর্ম বড় না ইহুদি ধর্ম বড় এ নিয়ে বিতর্কে জেতার জন্য একটি গলফ ম্যাচের আয়োজন করতে চেয়েছেন। যে জিতবে তার ধর্ম বড়।
এ কথা শুনে পোপ দারুণ বিরক্ত হলেন কারণ তিনি জীবনে গলফের ক্লাব ছুঁয়েও দেখেননি।
তখন এক কার্ডিনাল তাকে বুদ্ধি দিলো, আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন গলফার পল নিকলসকে আমরা আমাদের হয়ে লড়তে বলতে পারি। তাকে আমরা কার্ডিনাল বানিয়ে নেবো তাহলে সে আমাদের হয়ে লড়তে পারবে। তাকে শিমন পেরেজ কোনভাবেই হারাতে পারবে না।
এতে পোপ রাজি হলেন।
ম্যাচের দিন পোপ খুব উদ্বিগ্ন হয়ে সময় কাটাচ্ছেন আর খেলার ফলাফলের অপেক্ষা করছেন। এমন সময় পল নিকলসের ফোন এলো। সে জানালো যে সে খেলায় হেরে গেছে।
পোপ বিস্মিত হয়ে বললেন, তুমি চ্যাম্পিয়ন গলফার হয়েও শিমন পেরেজকে হারাতে পারলে না?
পল উত্তর দিলো, শিমন পেরেজ খেলেননি, তার হয়ে রাব্বি উডস খেলেছেন।
বিয়ের আগে-
মেয়ে: আহ, অবশেষে। আর অপেক্ষা করতে পারছিলাম না।
ছেলে: তুমি কি চাও আমি এখান থেকে চলে যাই?
মেয়ে: একদম না! এমনটা চিন্তাও করো না।
ছেলে: তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?
মেয়ে: অবশ্যই! সবসময়।
ছেলে: তুমি কি আমাকে কখনো ধোঁকা দিয়েছো?
মেয়ে: কক্ষনো না! এটা জিজ্ঞেস করছো কেন?
ছেলে: তুমি কি আমাকে কিস দেবে?
মেয়ে: যখনই সুযোগ পাবো।
ছেলে: তুমি কি আমাকে আঘাত করবে?
মেয়ে: তুমি কি পাগল? আমি সেরকম মেয়ে নই।
ছেলে: আমি কি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি?
মেয়ে: হ্যাঁ।
ছেলে: ডার্লিং!
বিয়ের পরে-
উপরের ডায়লগগুলো নিচ থেকে উপরে পড়ুন।
এক লোক বনে পথ হারিয়ে ঘুরতে ঘুরতে এক টিলার উপরে বাড়িতে এসে হাজির হলো। সেখানে থুথ্থুরে বুড়ো এক চাইনিজ বসেছিলো।
-আমাকে রাতটা এখানে থাকতে দিন। আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি।
বুড়ো বললো- থাকতে দিতে পারি এক শর্তে। আমার মেয়ের দিকে নজর দিলে তোমাকে তিনটি চাইনিজ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
লোকটি ভাবলো, লোকটি যেমন বুড়ো তার মেয়েও তেমন বুড়ো হবে। সে রাজি হলো।
ডিনারের সময় দেখা গেলো খুব সুন্দরী এক মেয়ে তাদের সাথে যোগ দিলো। মেয়েটা তার দিকে বারবার ফিরে তাকালো কিন্তু লোকটি শাস্তির ভয়ে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করলো না।
রাতে শোয়ার পর তার বারবার মেয়েটার কথা মনে পড়তে লাগলো যে তার পাশের রুমে শুয়েছিলো। সে ভাবলো, বুড়ো তো ঘুমিয়েই গেছে। এই ভেবে সে পা টিপে টিপে মেয়ের রুমে গিয়ে যা করার করলো।
সকালে তৃপ্ত মনে ঘুম থেকে উঠে সে দেখলো তার বুকের উপর একটা মিডিয়াম সাইজের পাথর। আর একটা কাগজে লেখা, প্রথম চাইনিজ শাস্তি।
সে মনে মনে হেসে বললো এই শাস্তিতে আমার কি হবে। বলে সে পাথরটা জানালা দিয়ে নিচে ছুঁড়ে দিলো। এই সময় তার নজরে পড়লো জানালার পাশে একটা কাগজে লেখা- দ্বিতীয় শাস্তি- তোমার বাম অন্ডকোষের সাথে পাথরটা বাঁধা। ভয়ের সাথে লোকটি খেয়াল করলো পাথরের সাথে বাঁধা বাম অন্ডকোষের দড়িটা টান টান হতে যাচ্ছে। নিচে পাথরে পড়ে নাহয় এক আধটা হাড় ভাঙবে কিন্তু অন্ডকোষ গেলে তো..... এই ভেবে সে জানালা দিয়ে নিচের উপত্যকায় লাফ দিলো।
পাথরের সাথে গড়াতে গড়াতে সে এবার বড় একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলো- তৃতীয় শাস্তি, তোমার ডান অন্ডকোষ বিছানার পায়ার সাথে বাঁধা।
আর্ল তার বসের কাছে প্রায়ই বাহাদুরি করতো যে সব বিখ্যাত লোকদের সাথে তার পরিচয় আছে। তার বাহাদুরিতে একদিন বিরক্ত হয়ে তার বস একদিন বললো, ঠিক আছে। প্রমাণ দাও।
আর্ল বললো, টম ক্রুজের সাথে পরিচয় আছে আমার। প্রমাণ দেবো?
বস বললো: চলো, যাই।
দু'জনে হলিউডে টম ক্রুজের বাড়িতে পৌঁছলো। বেল টিপতেই টম ক্রুজ বেরিয়ে এসে বললো, আরে আর্ল যে! সাথে বন্ধুকেও নিয়ে এসেছো। চলো একসাথে লাঞ্চ করি।
সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বসের মুখ থমথমে। এখনও তার সন্দেহ যায়নি। সে বললো, তুমি হয়তো এই একজন বিখ্যাত ব্যক্তিকেই চেনো। এতে কিছুই প্রমাণ হয় না। আরো বিখ্যাত লোকের সাথে পরিচয় আছে কী না দেখাও।
আর্ল বললো, ঠিক আছে, প্রেসিডেন্ট ওবামার সাথে দেখা করি চলো।
বস রাজি হওয়ায় তারা ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজে পৌঁছলো। প্রেসিডেন্ট ওবামা তাদের দেখেই বললো, আরে আর্ল যে! আমি একটা মিটিঙ-এ যাচ্ছিলাম। তবে তোমরা যেহেতু এসেছো, চলো এক কাপ কফি হয়ে যাক।
সেখান থেকে বেরিয়ে বস এবার একটু সন্দেহমুক্ত। কিন্তু তারপরও মনের শান্তির জন্য আর্লের কাছে আরেকটা প্রমাণ দেখতে চাইলো।
আর্ল বললো: পোপের সাথে দেখা করবো?
বস বললো: ঠিক আছে, আমি পোপের কথা জানি। চলো দেখি।
তারা রোমে পৌছলো। আর্ল তার বসকে বললো: পোপের সাথে দেখা করে আমি তাকে নিয়ে ব্যালকনিতে আসছি। তুমি এখানে খোলা জায়গাটায় দাঁড়াও।
বস দাঁড়ালো আর আর্ল গার্ডদের সাথে কথা বলে ভিতরে গেলো। একটু পর দেখা গেলো ব্যালকনিতে পোপ আর আর্ল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। দু'জনেই বাইরের জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়লো।
ফিরে এসে আর্ল দেখলো তার বসের হার্ট এ্যাটাক হয়েছে। উদ্বিগ্ন হয়ে সে জানতে চাইলো, কেন এমনটা হলো?
বস বললো, তুমি বারান্দায় পোপের সাথে আসার পর আমার পাশে একজন বললো, আরে! বারান্দায় আর্লের সাথে ওটা কে?
ডাক্তার: আপনার জন্য একটা দু:সংবাদ আছে।
রোগী: বলুন ডক্টর।
ডাক্তার: আপনি শীঘ্রই মারা যাবেন।
রোগী: আমার হাতে কেমন সময় আছে?
ডাক্তার: দশ...
রোগী: দশ কি? মাস, সপ্তাহ, নাকি দিন?
ডাক্তার: নয়।
রোগী: মানে?
ডাক্তার: আট.... সাত..... ছয়....।
দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যাবার সময় এক পুলিশ কনস্টেবল তরুণ মোটর আরোহীকে আটক করলো। বললো, এতো তাড়াহুড়া করে কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি? চলো থানায়।
তরুণ বলার চেষ্টা করলো, কিন্তু অফিসার....
পুলিশ বললো, কোন কিন্ত কিন্তু নয়। ইন্সপেক্টর না আসা পর্যন্ত তোমাকে আটক থাকতে হবে।
তরুণ আবার বলার চেষ্টা করলো, কিন্তু অফিসার, আমি.....
পুলিশ তাকে চুপ করে দিলো আর লকআপে পুরে দিলো।
দু'তিন ঘন্টা পর লকআপে তরুণকে চেক করতে গিয়ে সে জানালো ইন্সপেক্টর তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছেন। সুতরাং যখন তিনি আসবেন তখন ভালো মুডেই থাকবেন। তরুণকে হয়তো তখন ছেড়ে দিবেন।
তরুণ উত্তর দিলো, আমার মনে হয় না। কারণ আমিই তার মেয়ের হবু জামাই।
দীর্ঘদিন কোমায় থাকা এক বিবাহিত মহিলাকে যখন নার্স গোসল করাচ্ছিলো তখন তার দুই পায়ের ফাঁকে প্রাইভেট জায়গায় সাবান ঘষতেই যেন একটু সাড়া পাওয়া গেলো। নার্স তৎক্ষনাৎ ব্যাপারটা ডাক্তারকে জানালো। ডাক্তার মহিলার স্বামীকে ফোন দিলো।
স্বামী আসার পর ডাক্তার ঘটনা খুলে বললো। তারপর বললো, আমার মনে হয় তাকে যদি সেক্সুয়ালি উত্তেজিত করা যায় তাহলে তিনি কোমা থেকে ফিরে আসবেন। আপনি ওকে ওরাল সেক্স দিন।
স্বামী মহিলার সাথে একা রইলো। ডাক্তার ও নার্স বেরিয়ে গেলো।
পনের মিনিট পর স্বামী বেরিয়ে এলো- 'ডাক্তার, ও মারা গেছে।'
- কিভাবে?
- তা তো জানি না, তবে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে।
এক লোক বারে মদ খেতে ঢুকলো। দীর্ঘক্ষণ ধরে মদ খেলো সে। সেই সাথে অনেকক্ষণ ধরে সে খেয়াল করলো পুরো বারে একটা মাত্র মেয়ে তার দিকে পিছন ফিরে একটা টেবিলে বসে আছে। সে উঠে গিয়ে মেয়েটাকে ধরে দিলো এক চুমু।
মেয়েটা তো রাগে চেঁচিয়ে উঠলো- এসব কি হচ্ছে?
মাতাল লোকটি বললো, মাফ করবেন, আপনাকে পেছন থেকে দেখে আমার স্ত্রী মনে করেছিলাম।
মেয়েটা এতে শান্ত তো হলোই না বরং আরো জোরে চেঁচিয়ে উঠলো, হারামজাদা, ইতর, লম্পট, বদমাশ.....
মাতালটি বললো, আরে, আপনি তো আমার স্ত্রীর মতোই চেঁচান।
বিদায়ের মুহূর্তে পুরাতন সিইও নতুন সিইওকে তিনটি খাম দিয়ে বললো, এই খাম তিনটা রাখুন। কোম্পানিতে সমস্যা দেখা দিলে ১,২ তারপর ৩ নম্বর খাম খুলবেন। আশা করি আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
দায়িত্ব নেবার ছয়মাস পর্যন্ত নতুন সিইও খামগুলো ব্যবহারের কথা ভাবলোই না। তারপর একদিন শেয়ার মার্কেটে ব্যাপক দরপতন হলো। পেরেশান হয়ে নতুন সিইও প্রথম খামটা খুললো। তাতে লেখা ছিলো, আগের সিইওর ওপর সব দোষ চাপিয়ে দাও।
পরামর্শমতো নতুন সিইও এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে আগের সিইওর খুব বদনাম করলো। এতে কাজ হলো। মার্কেট আবার চাঙ্গা হয়ে উঠলো।
এর এক বছর পর আবার কোম্পানির বিক্রিতে ধ্বস নামলো। এবার সিইও দ্বিতীয় খামটা খুললো। তাতে লেখা ছিলো, পুরাতনদের ছাঁটাই করে নতুন কর্মী নাও।
এবার পরামর্শ মতো কাজ করার ফলে সমস্যা থেকে কোম্পানি বেরিয়ে এলো।
এর এক বছর পর কোম্পানিতে আবার সমস্যা দেখা দিলো। এবার সিইও তিন নম্বর খাম খুললো। তাতে লেখা ছিলো, তিনটা খাম তৈরি করো।
জর্জ বুশ একটি হাই স্কুল পরিদর্শন করতে গেলো। যথারীতি ছাত্রদের সাথে ক্লাসে তার কথাবার্তা হলো। এবার ছাত্রদের প্রশ্ন করার পালা। জর্জ বুশ ভাবলো হাই স্কুলের ছাত্ররা আর কীই বা প্রশ্ন করবে।
একজন ছাত্র দাঁড়িয়ে বললো, আমার তিনটি প্রশ্ন আছে।
১. আপনি ইরাক আক্রমণ করেছেন কেন? এটা কি অনৈতিক হয়নি?
২. আপনি সাদ্দাম হোসেনকে ঠিকমতো বিচার না করেই কেন ফাঁসি দিয়েছেন?
৩. আপনার কি মনে হয় না যে এবারের ইলেকশনে আপনি গু-হারা হারবেন?
জর্জ বুশ উত্তর দেবার আগে ক্লাস শেষের ঘন্টা বাজলো। সবাই ২০ মিনিট ব্রেক নিয়ে আবার একত্রিত হলো।
জর্জ বুশ বললো, আমরা যেন কোথায় ছিলাম?
আরেক ছাত্র দাঁড়িয়ে বললো, আমার চারটি প্রশ্ন আছে।
মার্কেটে এক লোক হন্তদন্ত হয়ে হাঁঠতে গিয়ে ধাক্কা খেলো আরেক জনের সাথে।
প্রথম জন বললো, আমি দু:খিত, আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না। ওর চিন্তায় কোথায় যাচ্ছি খেয়াল করতে পারিনি।
দ্বিতীয় জন বললো, আমিও তো আমার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছি।
প্রথম জন বললো, তোমার স্ত্রী দেখতে কেমন? তাহলে হয়তো আমি খুঁজতে সাহায্য করতে পারবো।
দ্বিতীয় জন বললো, আমার স্ত্রী লাল চুলের, সবুজ চোখ, লম্বা সুগঠিত পা আর শর্ট স্কার্ট পরে আছে। তোমার স্ত্রী দেখতে কেমন?
প্রথম জন বললো, আমারটার কথা বাদ দাও। চলো তোমার স্ত্রীকে খুঁজি।
এক লোক মরুভূমিতে পথ হারিয়ে হাঁটছিলো। তৃষ্ণায় তার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এমন সময় সে ব্যাগ নিয়ে এক লোককে গাছের নিচে বসে থাকতে দেখলো।
- আমাকে একটু পানির সন্ধান দিতে পারবে? জানতে চাইল লোকটি।
- হ্যাঁ, যদি তুমি আমার কাছ থেকে একটা টাই কেনো যার দাম ৫০ ডলার।
রেগেমেগে তৃষ্ণার্ত লোকটি বললো, তোমার অমন উল্টাপাল্টা দামের টাই আমার দরকার নেই। পানির খবর বলো নইলে তোমার খবর আছে।
টাইওয়ালা বললো, ঠিক আছে। বলছি। এখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে সুন্দর একটা হোটেল দেখতে পাবে। সেখানে ঠান্ডা পানি পাওয়া যায়। আমার ভাই ওই জায়গার মালিক।
লোকটি পশ্চিমে রওনা হবার পর কয়েক ঘন্টা কেটে গেলো। এরপর আবার টাইওয়ালার কাছে ফিরে এলো সে।
- হোটেলের মালিক তোর ভাই আরেক হারামজাদা, টাই ছাড়া নাকি আমাকে ওখানে ঢুকতে দিবে না।
এক লোক পার্টি দিয়ে তার বন্ধুদের বললো, আমার সুইমিং পুলটা জাদুর। সুইমিং পুলে নেমে যে তরল পদার্থের নাম করবে পুরো পুলের পানি সেই পদার্থ হয়ে যাবে।
তার এক বাঙালি বন্ধু পুলে নেমে বললো, কোক। সাথে সাথে পুরো পুলের পানি কোকে পরিবর্তন হয়ে গেলো। সে প্রাণ ভরে কোক খেয়ে উঠে এলো।
এবার তার এক রাশিয়ান বন্ধু নেমে বললো, ভদকা। সাথে সাথে পুরো পুলের পানি ভদকায় পরিবর্তন হয়ে গেলো। সে প্রাণ ভরে ভদকা খেয়ে উঠে এলো।
এবার তার এক আমেরিকান বন্ধু ঝাঁপ দিতেই বাঙালিটি তাকে মনে করিয়ে দিলো, আরে, তোমার পকেটে তো মোবাইল ফোনটা রয়ে গেছে।
আমেরিকান বললো, শিট!
এক ব্যক্তি জাদুর একটি আয়না এই বলে বিক্রি করছিলো যে এর সামনে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বললে মিথ্যাবাদী লোকটি গায়েব হয়ে যাবে।
এক চাইনীজ মহিলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললো, আমি ভাবি যে, আমি দুনিয়ার সবচেয়ে বুদ্ধিমতী মেয়ে। সাথে সাথে সে গায়েব হয়ে গেলো।
এক কালো চুলের মহিলা বললো, আমি ভাবি যে, আমি দুনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেয়ে। সাথে সাথে সে গায়েব হয়ে গেলো।
এবার এক ব্লন্ডি (সোনালি চুলের) মহিলা এসে বললো, আমি ভাবছি... বলামাত্র সে গায়েব হয়ে গেলো।
ক্লাসে টিচার সকল ছেলেকে এসাইনমেন্ট দিলেন, তোমার বাড়ির আশেপাশে কি তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে লিখবে। তারপর তিনি সকল ছেলেকে বেরিয়ে যেতে বললেন। এবার তিনি মেয়েদেরকে বললেন, ছোট্ট জনি কালকে নিশ্চয়ই বিশ্রী কোন কথা লিখে আনবে। আমি চাই ওর এসাইনমেন্ট পড়ার সাথে সাথে তোমরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাবে যাতে ও বুঝতে পারে ওর কথা তোমরা পছন্দ করো না। তাহলে হয়তো ওর একটা শিক্ষা হবে।
পরদিন সব ছেলে এসাইনমেন্ট করে এনেছে।
জিম পড়ছে- আমাদের বাসার কাছে একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তৈরি হচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জিনিস কেনাকাটায় অনেক সুবিধা হবে।
বিল পড়ছে- আমাদের বাসার কাছে একটা মার্কেট তৈরি হচ্ছে। আমার মায়ের কেনাকাটায় সুবিধা হবে।
জনি এগিয়ে এলো তার এসাইনমেন্ট পড়ার জন্য। টিচার সব মেয়েদের গোপনে ইশারা করে দিলেন।
জনি পড়লো- আমাদের বাসার কাছে একটা বেশ্যাপাড়া তৈরি হচ্ছে। এ পর্যন্ত পড়ে সে দেখলো মেয়েরা দরজার দিকে লাইন দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই দেখে সে বললো- আরে আরে, তোমরা কোথায় যাও? এখনও তো বিল্ডিংটা বানানো শেষ হয়নি।
মিলিটারিতে নতুন যোগ দিয়ে আর সবার সাথে জিম লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সার্জেন্ট এসে সবাইকে আজকের কাজের লিস্ট বুঝিয়ে দিলো। তারপর বললো, কারো টেলিকমিউনিকেশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে?
জিম আগে টেলিফোন অপারেটর হিসেবে কাজ করেছলো। সে হাত তুললো।
সার্জেন্ট বললো, গুড, টেলিফোনের নতুন খাম্বা গাড়তে হবে। গর্ত করার কাজটা তোমাকে দেয়া হলো।
বেলুনে করে ভ্রমণে বের হওয়া এক ব্যক্তি রাস্তা হারিয়ে ফেললো। কিছুদূর গিয়ে সে এক ব্যক্তিকে দেখে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলো, এই যে জনাব, আমি কোথায় আছি বলতে পারেন?
এক মহিলা প্রতিদিন তার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে- সকল প্রশংসা আল্লাহর।
পাশের বাড়ির এক নাস্তিক তাই শুনে জবাব দেয়- আল্লাহ বলতে কিছু নেই।
একদিন মহিলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করলো- আল্লাহ, আমার বাজারটা করে দাও।
একটু পরে সে দেখলো তার বাড়ির বাইরে ব্যাগ ভর্তি তরকারি-মাছ ইত্যাদি পড়ে আছে।
সে তা দেখে চিৎকার করে বললো- সকল প্রশংসা আল্লাহর।
পাশের বাড়ির নাস্তিকটি বললো, আল্লাহ বলে কিছুই নেই। আমি ওই বাজার করে দিয়েছি।
মহিলা বললো- সকল প্রশংসা আল্লাহর। তিনি শুধু আমার বাজারই করে দেননি, শয়তানকে দিয়ে তার দামও পরিশোধ করিয়েছেন।
স্বামীর প্রতিরাতে মাতাল হয়ে ঘরে ফেরায় অতিষ্ট হয়ে স্ত্রী অবশেষে ঠিক করলো তাকে ভয় দেখাবে। দোকান থেকে শয়তানের শিং, লেজ ওয়ালা কস্টিউম নিয়ে এসে সে দাঁড়িয়ে রইলো গেটের ঠিক বাইরে গাছের আড়ালে।
যথারীতি স্বামী মাতাল হয়ে ফিরছে। স্ত্রী শয়তানের বেশে হাউ-মাউ করে তার সামনে গিয়ে পড়লো। স্বামী ভড়কে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কে?
স্ত্রী মোটা গলায় উত্তর দিলো: আমি শয়তান।
স্বামী বললো: তাই নাকি। তাহলে বাসায় চলো। তোমার বোনকে তো আমি বিয়ে করেছি।
বব: জিম, তুমি কবে এই হারমোনিয়াম কিনলে?
একবার এক হুজুর আর কয়েকজন মিলে একসাথে খাবার খাচ্ছিলো। এক দুষ্টমনা লোক হুজুরদের দেখতে পারতো না। সে পাশের জনকে বললো, আমার যদি কোন বোকা ছেলে থাকতো, সে মনে হয় হুজুর-ই হতো। কথাটা সে এমনভাবে বললো যাতে সবাই শুনতে পায়।
শুনে হুজুর একটু হেসে উত্তর দিলেন, তোমার বাবা মনে হয় তোমার এই মতবাদের সাথে একমত নন।
Page number
হাসির বাক্স ব্লগে স্বাগতম
নিয়মিত আপডেট পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব বা ফলো করতে পারেন।
সোর্স উল্লেখ করলে এই সাইটের যে কোন কৌতুক যেকোন জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন।
প্রতিদিনের কৌতুক মেইলে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
Labels
- কৌতুক (87)
- ১৮+ কৌতুক (29)
- স্বামী স্ত্রী কৌতুক (9)
- ঢাকাইয়া কৌতুক (8)
Popular Posts
পুরোনো পোস্টসমূহ
-
▼
2010
(132)
- ► 10/24 - 10/31 (18)
-
▼
10/17 - 10/24
(34)
- কথা ফিরিয়ে নেয়া
- চেঁচিয়ে উঠেছিলাম প্রায়
- স্ত্রী না অন্য কেউ?
- স্থান গ্রহণ
- ম্যানেজারকে চাই
- বাচ্চা
- অজুহাত
- ফুল
- রক্ত চলাচল
- কোটি বারে একবার
- প্যারাশুট
- আসল উদ্দেশ্য
- ফটোগ্রাফি
- গলফ ম্যাচ
- বিয়ের আগে ও পরে
- চাইনিজ শাস্তি
- পরিচিতি
- সময়
- জামাই
- কোমা
- মাতালের কাণ্ড
- তিনটি খাম
- জর্জ বুশের স্কুল পরিদর্শন
- স্ত্রী
- টাই
- জাদুর পুল
- জাদুর আয়না
- ছোট্ট জনির এসাইনমেন্ট
- রেডিওর অভিজ্ঞতা
- বেলুন যাত্রী
- খোদার প্রশংসা
- শয়তান
- ড্রাম
- বোকা ছেলে
- ► 10/10 - 10/17 (21)
- ► 10/03 - 10/10 (35)
- ► 09/26 - 10/03 (24)