পাসওয়ার্ড

স্ত্রী স্বামীকে ই-মেইল খোলা শেখাচ্ছিলো। এক পর্যায়ে পাসওয়ার্ড সেট করার জায়গায় স্ত্রী বলে দিলো এখানে পাসওয়ার্ড সেট করো।

স্ত্রীর সাথে মজা করার জন্য স্বামী স্ত্রীকে দেখিয়ে দেখিয়ে আস্তে আস্তে টাইপ করলো- P... E...N....I....S.

কম্পিউটার উত্তর দিলো, Password denied.... Not long enough.

Read more


কাজে ফেরত

ক্রিসমাস পার্টিতে অনেক মাস্তি আর হুল্লোড় করার পরদিন জন প্রচন্ড মাথাব্যথা নিয়ে জাগলো। গতরাতের কথা তার কিছুই মনে ছিলো না। নিচে গিয়ে সে দেখলো তার স্ত্রী কফি বানাচ্ছে।

- গত রাতে আমি খারাপ কিছু করিনি তো? জানতে চাইলো জন।

- তেমন কিছু না, তবে তোমার বসকে সবার সামনে গালিগালাজ করেছো।

- ওই ব্যাটার মুখে আমি পেশাব করি, শয়তান একটা! জন গালি দিয়ে উঠলো।

- তুমি তাই করেছো, ফলস্বরূপ তোমাকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছে। স্ত্রী বললো।

- ফাক হিম! আবারো গালি দিলো জন।

- তুমি তাই করেছো, ফলস্বরূপ সোমবার থেকে তুমি আবার চাকরিতে জয়েন করছো।

Read more


কিভাবে?

এক ডিপ সী ডাইভার স্কুবা গিয়ার পরে পানির ৩০ ফুট যাবার পর দেখলো একজন তার সমান দূরত্বে ভাসছে কিন্তু তার কোন ইকুইপমেন্ট পরা নেই।

সে আরো ২০ ফুট নিচে গিয়ে অবাক হয়ে খেয়াল করলো লোকটা তাকে ফলো করে আসছে।

সে ওয়াটারপ্রুফ বোর্ডে লিখলো, তুমি ডাইভিংয়ের সামগ্রী ছাড়া কিভাবে এতোদূর আসছো?

লোকটি বোর্ডে লিখে উত্তর দিলো, গাধা, আমি ডুবে যাচ্ছি। আমাকে বাঁচাও।

Read more


স্প্রে

বাগানে দাদা নাতি খেলছিলো। একটা গর্ত থেকে একটা কেঁচোকে বেরোতে দেখে নাতি বললো, দাদু, আমি এটাকে গর্তে ঢোকাতে পারবো।

দাদা তার সাথে ৫ ডলার বাজি রাখলো যে সে পারবে না কারণ কেঁচোটা খুব পিচ্ছিল আর নরম ছিলো। ধরাই কঠিন তার ওপর আবার অতটুকু গর্তে ঢোকানো!

নাতি বাজি ধরার পর বাড়ির ভিতর গিয়ে একটা স্প্রে নিয়ে এলো। কেঁচোটার সারা গায়ে ছিটিয়ে এক মিনিট অপেক্ষা করলো। ততক্ষণে কেঁচোটা স্প্রের প্রভাবে শক্ত ও সোজা হয়ে গেলো। তখন সে সেটাকে গর্তে ঢুকিয়ে দিলো। দাদা তার কথামতো ৫ ডলার দিয়ে দিলো।

একটু পর দাদা আবার নাতির সাথে দেখা করলো। এবারও তার হাতে একটা পাঁচ ডলারের নোট দিলো।

- দাদু, তুমি তো একবার টাকা দিয়েইছো। আবার কেন? নাতি অবাক!

- এটা তোর দাদির পক্ষ থেকে।

Read more


ভাগ্যের মিলন

এক ছেলে আর এক মেয়ের গাড়ি মুখোমুখি প্রচণ্ড সংঘর্ষ হলো। ভাগ্যক্রমে দুইজনেই বেঁচে গেলো। কোনমতে ক্রল করে গাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে বেরিয়ে মেয়েটি দেখলো ছেলেটিও বেরিয়ে এসেছে।

- ঈশ্বর মনে হয় আমাদের মিলন লিখে রেখেছেন, নাহলে এমন এক্সিডেন্টের পর বাঁচার কথা না। মেয়েটি বললো।

- আমারও তাই মনে হয়। ছেলেটি খুশি হয়ে উত্তর দিলো।

মেয়েটি বললো- দেখো, আমার কাছে ১ বোতল ওয়াইন বেঁচে গেছে। চলো আমাদের ভাগ্যের মিলন আমরা সেলিব্রেট করি।

ছেলেটি রাজি হয়ে বোতলের অর্ধেক সাবাড় করে মেয়েটির হাতে দিলো। বললো- এবার তুমি খাও।

মেয়েটি বললো - তারচেয়ে আমি বরং পুলিশের জন্য অপেক্ষা করি।

Read more


বুকের সাইজ

ছেলে বাবাকে জিজ্ঞেস করছে, বাবা, মেয়েদের কত রকমের বুক আছে?

বাবা একটু বিব্রত হলেও ছেলেকে শেখানোর স্বার্থে বললো, তিন রকমের বুক আছে।

২০ - ৩০ বছর বয়সে তাদের বুক থাকে লেবুর মতো, গোল আর মজবুত।

৩০ - ৪০ বছর বয়সে তাদের বুক থাকে নাশপাতির মতো, তখনও সুন্দর দেখায় কিন্তু একটু ঝুলে যায়।

৪০ -৫০ বছর বয়সে তাদের বুক হয় পেঁয়াজের মতো।

- পেঁয়াজের মতো? ছেলে অবাক।

- হ্যাঁ, যদি সেগুলো দেখো, তোমার কান্না পাবে।

Read more


মঙ্গল যাত্রা

নাসা মঙ্গল গ্রহে যাবার জন্য লোক নিচ্ছিলো যারা শুধু মঙ্গল গ্রহে থাকার জন্য যাবে কিন্তু তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।

এক ইঞ্জিনিয়ার ইন্টারভিউর জন্য এলো। 'আমাকে এক মিলিয়ন ডলার দিতে হবে।' দাবি করলো সে। 'এই টাকা আমি আমার পরিবারকে দিয়ে যেতে চাই।

এরপর এক ডাক্তার এলো। 'আমাকে দুই মিলিয়ন ডলার দিতে হবে। আমি এক মিলিয়ন দিবো আমার পরিবারকে আর এক মিলিয়ন দিবো মেডিকেল খাতে উন্নয়নের জন্য।

এরপর এলো এক উকিল। 'আমাকে তিন মিলিয়ন ডলার দিতে হবে।'

অন্যদের তুলনায় এতো বেশি কেন জানতে চাইলে তার উত্তর, 'এর মধ্যে এক মিলিয়ন আপনাকে দিবো, এক মিলিয়ন আমি রাখবো আর বাকি এক মিলিয়ন দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে পাঠিয়ে দেবো।'

Read more


মন খারাপ

ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য জন হোটেলের ৫০ তলায় উঠলো। দরজায় টোকা দিতেই খুব সুন্দরী এক মেয়ে দরজা খুললো।

- আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যেই রেডি হয়ে আসছি। তুমি ততক্ষণ আমার কুকুর স্পটের সাথে খেলো। ও খুব কিউট। গড়াতে, লাফাতে পারে। আর তুমি যদি হাত দিয়ে গোল রিঙের মতো বানাও তাহলে ও সেই রিঙের মাঝখান দিয়ে লাফ দিবে। বলে মেয়েটি বাথরুমে চলে গেলো।

জন কুকুরটির সাথে খেলতে খেলতে ব্যালকনিতে চলে এলো। একসময় হাত দিয়ে রিঙের মতো করতেই স্পট লাফ দিয়ে ব্যালকনি দিয়ে নিচে পড়ে গেলো।

এমন সময় মেয়েটি বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলো- তোমার কি মনে হয়? আমার কুকুরটা খুব কিউট না?

- তাই নাকি? আমার কাছে তো মনে হলো ওর মন খুব খারাপ! জনের উত্তর।

Read more


ভুল লোক

এক মাতাল শেষ মুহূর্তে ট্রেনে উঠে পড়ে এক পাদ্রীর পাশে বসে পড়লো। তার গা থেকে মদের বিশ্রী গন্ধ আসছিলো, সারামুখে ময়লা-লালা গড়াচ্ছিলো আর পুরোনো ছেঁড়া কোটের পকেট থেকে মদের বোতলটা উঁকি দিচ্ছিলো।

পাদ্রীর পাশে বসেই সে বগলে রাখা পেপারটা খুলে পড়তে শুরু করলো। একটু পর পড়া থামিয়ে পাদ্রীকে জিজ্ঞেস করলো, আচ্ছা ফাদার, আর্থ্রাইটিস কেন হয়?

- অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন, অধিক মদ্যপান, খারাপ মেয়েদের কাছে যাওয়া ইত্যাদি কারণে এই রোগ হতে পারে। পাদ্রী জবাব দিলো।

-অ! বলে মাতাল আবার পড়ায় মনযোগ দিলো।

পাদ্রী ভাবলো খুব কড়া উত্তর দেয়া হয়েছে। তাই সে একটু নরম সুরে বললো, তোমার কতদিন ধরে আর্থ্রাইটিস হয়েছে?

মাতাল বললো, আমার না। পেপারে পড়লাম পোপের নাকি হয়েছে।

Read more


হাঁসের নাচ

এক সার্কাসের মালিক এক বারে গিয়ে দেখলো এক লোক হাঁসের নাচের খেলা দেখাচ্ছে। হাঁসটা তার নির্দেশমতো একটা পটের উপর ট্যাপ ড্যান্স করছে। দেখে তো সে দারুণ মুগ্ধ। হাঁসটা কেনার প্রস্তাব দিলো তার মালিককে।

অনেক আলোচনা শেষে হাঁসটার মূল্য ১০০০০ ডলার ধার্য হলো।

দু'দিন পরেই সার্কাসের মালিক সেই বারে ফিরে এলো। হাঁসের পুরোনো মালিককে বললো, তোমার ভূয়া হাঁস ফেরত নাও। আমার দর্শকদের সামনে ওকে পটে বসিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু একটা পা-ও নাচেনি।

মালিক উত্তর দিলো, তুমি কি ওর পটের নিচে মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছিলে?

Read more


খোঁয়াড়ে শোয়া

এক হিন্দু পুরোহিত, এক হুজুর আর এক উকিল গাড়িতে করে যাচ্ছিলো। পথে তাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলো। ভাগ্য ভালো কাছেই একটা ফার্মহাউজ ছিলো। মালিক তাদেরকে জায়গা দিলো রাতটা থাকার জন্য। তবে মাত্র একটা ঘর তারা পেলো যেখানে মাত্র ২টা বিছানা ছিলো। ফলে কাউকে না কাউকে খোঁয়াড়ে শুতে যেতেই হতো।

হিন্দু পুরোহিত স্বেচ্ছায় খোঁয়াড়ে শুতে গেলো। একটু পর দরজায় টোকা পড়লো। দেখা গেলো হিন্দু পুরোহিত ফিরে এসেছে। সে বললো, খোঁয়াড়ে একটা গরু আছে। গরু যেহেতু পবিত্র তাই এক সাথে থাকা তার পক্ষে সম্ভব না।

অত:পর হুজুর খোঁয়াড়ে থাকতে রাজি হলো। কিন্তু একটু পরেই দরজায় টোকা দিলো সে। জানালো, খোঁয়াড়ে একটা শুয়োর আছে। ধর্মে যেহেতু শুয়োর খারাপ, তাই ওটার সাথে খোঁয়াড়ে থাকা তার পক্ষে সম্ভব না।

অগত্যা উকিল খোঁয়াড়ে থাকতে গেলো। একটু পরে দরজায় টোকা পড়লো। এবার গরু আর শুয়োরটা এসেছে।

Read more


বাচ্চা

এক হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে তিনজন লোক তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম নেয়ার অপেক্ষা করছিলো ।

নার্স বেরিয়ে এসে প্রথমজনকে বললো, অভিনন্দন, আপনার যমজ বাচ্চা হয়েছে।

লোকটি খুশি হয়ে বললো, আরে, আমি তো মিনোসেটা টুইনস (মিনোসেটা যমজ)- প্রতিষ্ঠানে কাজ করি।

একটু পর নার্স বেরিয়ে এসে দ্বিতীয়জনকে বললো, অভিনন্দন, আপনার ৩টি বাচ্চা একসাথে হয়েছে।

লোকটি খুশি হয়ে বললো, আরে আমি তো থ্রি-এম -এ কাজ করি।

এ কথা শুনে তৃতীয়জন খোলা জানালা দিয়ে বাইরে লাফ দিলো। নার্স বেরিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো বাচ্চার বাবা কোথায়। অন্য দু'জন উত্তর দিলো, জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে গেছে।

- কেন? নার্স অবাক।

- ও সেভেন-আপে কাজ করে। একজনের উত্তর।

Read more


শামুক

স্ত্রীর দেয়া ডিনার পার্টি উপলক্ষে স্বামী স্ত্রী খুব ব্যস্ত। সন্ধ্যায় স্ত্রীর খেয়াল হলো পার্টির জন্য শামুক আনা হয়নি। কেউ কেউ শামুক খেতে পছন্দ করে। তাই সে স্বামীকে বললো সমুদ্রতীরে গিয়ে কিছু শামুক কুড়িয়ে আনতে।

শামুক আনতে গিয়ে স্বামীটি খেয়াল করলো এক অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে বিচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে শামুক কুড়াতে কুড়াতে ভাবছিলো যদি মেয়েটি আমার সাথে এসে কথা বলতো তাহলে কতো ভালো হতো!

একটু পর মেয়েটি তার দিকে এগিয়ে এলো। দু'জনে কথাবার্তা বলতে বলতে খুব অন্তরঙ্গ হয়ে গেলো। মেয়েটি তাকে তার এপার্টমেন্টে নিমন্ত্রণ জানালো। দু'জনে রাতটা সেখানেই কাটালো।

সকালে ঘুম ভাঙতেই স্বামীর মনে পড়লো তার স্ত্রীর ডিনার পার্টির কথা। 'সর্বনাশ!' বলে সে দ্রুত কাপড় পরে নিলো। তারপর শামুকের বালতিটা হাতে নিয়ে ছুটলো নিজের বাসার দিকে।

সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে তার হাত থেকে বালতিটা পড়ে গেলো। শামুকগুলো সব সিঁড়িতে ছড়িয়ে পড়লো। তার আওয়াজ পেয়ে স্ত্রী দরজা খুলে রাগের স্বরে জানতে চাইলো সে কোথায় ছিলো গত রাতে।

স্বামী তার কথার উত্তর না দিয়ে শামুকগুলো দিকে তাকিয়ে বললো, এই তো, তোমরা তো প্রায় পৌঁছে গেছো। আর কয়েক কদম মাত্র।

Read more


আত্মীয়?

স্বামী স্ত্রী গাড়ি চালিয়ে গ্রামের রাস্তার ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। একটু আগে দু'জনের মাঝে ঝগড়া হওয়ায় কেউ কোন কথা বলছে না। 


গাড়িটা একটা ফার্মের পাশ দিয়ে যাবার সময় ফার্মের গরু, ভেড়া স্বামীর নজর কাড়লো। সে বিড়বিড় করে বললো, তোমার আত্মীয় মনে হয়!

স্ত্রী জবাব দিলো, হ্যাঁ, শ্বশুরবাড়ির দিককার।

Read more


সান বাথ

মারিয়ানা ঠিক করলো এবারের ছুটিটা সে হোটেলের ছাদে সানবাথ করেই কাটাবে। প্রথমদিন সে বিকিনি পরে ছাদে শুয়ে রইলো। সে খেয়াল করলো সারাদিনে কেউ ছাদে এলো না। তাই পরেরদিন সে গায়ে অবশিষ্ট কাপড়টুকুও রাখলো না যাতে পুরো শরীরে সূর্যের তাপ লাগে।


কিছুক্ষণ পর সে ছাদের সিঁড়িতে কারো পায়ের শব্দ শুনে উপুড় হয়ে শুলো আর নিচের দিকে একটা তয়লা টেনে নিলো। একটু পর ম্যানেজারের মুখ দেখা গেলো।

- ম্যাডাম, আপনি সান বাথ করেন আপত্তি নেই, কিন্তু দয়া করে গতকাল যতটুকু কাপড় পরেছিলেন, পরে নিন। ম্যানেজার বললো।

- কেন? ছাদে তো কেউ আসছে না। পাশের বিল্ডিংগুলোও সব নিচু। তাহলে সমস্যা কি?

- আসলে ম্যাডাম, আপনি রোদ আসার জন্য বানানো ছাদের কাঁচের অংশটুকুতে শুয়ে আছেন।

Read more


মৃত্যুর মুহূর্ত

এক মহিলা তার স্বামীর মৃত্যুর আগ মুহূর্তে কাছে দাঁড়িয়ে ছিলো। স্বামীর মুখে নাকে অনেক পাইপ লাগিয়ে তার শ্বাসপ্রশ্বাস চালু রাখা হয়েছিলো। এ কারণে সে কথা বলতে পারছিলো না। যা কথাবার্তা তা শুধু ইশারায় হচ্ছিলো।

হঠাৎ স্বামীটি দম নেবার জন্য হাঁসফাঁস করতে লাগলো আর তার চোখগুলো উপর নিচ করতে লাগলো।তার অস্থিরতা দেখে ডাক্তার পরামর্শ দিলো, আপনি ওকে একটা কাগজ কলম দিন যাতে ও ওর মনের কথা লিখতে পারে।

এক নার্স কাগজ কলম এগিয়ে দিলো। এর কিছুক্ষণ পর লোকটা মারা গেলো।

দীর্ঘক্ষণ কেঁদে কেটে মহিলার খেয়াল হলো তার স্বামী তাকে একটা নোট লিখে দিয়ে গিয়েছে। সে খুলে সেটা পড়লো আর সাথে সাথে ডাক্তারকে কষে একটা চড় লাগালো।

ডাক্তার তো হতভম্ব। তখন তাকে স্বামীর লেখাটা দেখানা হলো যাতে লেখা ছিলো- হতচ্ছাড়া ডাক্তার, আমার অক্সিজেন পাইপ থেকে সরে দাঁড়া।

Read more


বিশ্বাস

এক নাস্তিক বনের মাঝ দিয়ে হাঁটছিলো আর প্রকৃতির মজা নিচ্ছিলো।

- কী দারুণ ঘাস!

- কী সুন্দর লেক!

- কী সুন্দর গাছ! মনে মনে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রশংসা করছিলো সে।

এমন সময় পেছনের ঝোপে খসখস শব্দ শুনে সে চেয়ে দেখলো এক ভয়ানক দর্শন গ্রিজলি ভালুক তার দিকে তেড়ে আসছে। সে ভয়ে পড়িমড়ি করে দৌড় দিলো। প্রাণপণে অনেকদূর দৌড়ে এক পর্যায়ে সে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখলো ভালুকটা তার খুব কাছে এসে গেছে। তাই দেখে সে ভয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লো আর ভালুকটাও তার ঠিক উপরে চলে এলো। তাকে থাবা দেবার জন্য ভালুকটা হাত তুলতেই নাস্তিক ভয়ে বলে উঠলো, ওহ্ গড!

সাথে সাথে ভালুকের হাত স্থির হয়ে গেলো, বনের পাতা নড়া বন্ধ হয়ে গেলো আর সময় থমকে গেলো। এবার আকাশ থেকে এক আলোর ঝলক দেখা গেলো আর শব্দ শোনা গেলো, কিরে, তুই সারাজীবন আমাকে অস্বীকার করে এলি, লোকদেরকে আমাকে বিশ্বাস করতে মানা করলি। এখন কি তুই চাস যে আমি তোকে বাঁচাই? তার মানে কি তুই একজন ঈশ্বর বিশ্বাসী হয়ে গেলি?

নাস্তিক বললো, আমি যদি এখন বলি আমি এখন থেকে সত্যিকার খৃস্টান তাহলে কথাটা মিথ্যা হবে। তারচেয়ে ভালুকটাকে খৃস্টান বানিয়ে দিলে ভালো হবে।

আওয়াজ এলো, ঠিক আছে তাই হবে। তারপর আলো মিলিয়ে গেলো। সময় চালু হয়ে গেলো, বাতাসে গাছের পাতা নড়া শুরু করলো এবং ভালুকটাও নড়াচড়া করে উঠলো।

এবার ভালুকটা এক হাতের পরিবর্তে দুই হাত কড়জোর করলো। তারপর মাথা নিচু করে প্রার্থনা করলো, ওগো আমার ঈশ্বর, এই সুন্দর সুস্বাদু খাবার আমাকে দেবার জন্য তোমাকে এবং যীশুকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমীন।

Read more


মেয়েদের জন্য পাঁচটি জরুরি বিষয়

১. এটা জরুরি যে পুরুষ সঙ্গীটি তোমাকে বাড়ির কাজে সাহায্য করে এবং কোন একটা জব করে।

২. এটা জরুরি যে পুরুষ সঙ্গীটি তোমাকে হাসাতে পারে।

৩. এটা জরুরি যে পুরুষ সঙ্গীটি নির্ভরযোগ্য এবং তোমাকে মিথ্যা বলে না।

৪. এটা জরুরি যে পুরুষ সঙ্গীটি তোমাকে ভালোবাসে এবং তোমাকে আদর করে।

৫. সবচেয়ে জরুরি হলো, এই চারজন ব্যক্তি যেন একজন আরেকজনকে না চেনে।

Read more


কথা ফিরিয়ে নেয়া

আমেরিকার সিনেটে এক সিনেটর বেশ গরম মাথা আর চাঁছাছোলা কথার জন্য কুখ্যাত ছিলো। একদিন সিনেটের মধ্যে সে চেঁচিয়ে উঠে প্রতিবাদ করলো, সিনেটের অর্ধেক মেম্বারই কাপুরুষ আর দুর্নীতিবাজ।

সিনেটের মেম্বাররা এর প্রতিবাদ করে উঠলেন। তারা দাবি জানালেন ওই সিনেটরকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য নতুবা তাকে যেন সিনেটের বাকি সময়টুকু সরিয়ে দেয়া হয়।

এ কথা শুনে সিনেটর তার বক্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে বললেন, আমি আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি। সিনেটের অর্ধেক মেম্বার কাপুরুষ আর দুর্নীতিবাজ নন।

Read more


চেঁচিয়ে উঠেছিলাম প্রায়

১৯৩০ এর দিকের ঘটনা। এক কৃষক তার স্ত্রীকে নিয়ে এসেছে শহরের বিমান বন্দর পরিদর্শন করতে। বিমান দেখতে দেখতে দু'জনেরই খুব শখ হলো প্লেনে চড়ার।

তারা এক পাইলটকে জিজ্ঞেস করলো ভাড়া কত। পাইলট বললো, ৩ মিনিট ১০ ডলার।

- ভাড়া তো অনেক বেশি! কৃষক বললো।

পাইলট তাদেরকে একনজর দেখে বললো, দেখো, তোমাদেরকে একটা বিশেষ অফার দিচ্ছি। তোমরা যদি প্লেনে উঠে কোন চিৎকার না করো তাহলে আমি তোমাদের অর্ধেক রেটে উড়িয়ে আনবো। কিন্তু যদি তোমরা চিৎকার করো, তাহলে প্রতি ৩ মিনিটে পুরো ১০ ডলারই দিতে হবে।

এতে কৃষক রাজি হলো। পাইলট তাদেরকে নিয়ে ভয়ংকর এক উড়ান দিয়ে ফিরে এলো। কিন্তু কৃষক আর তার স্ত্রী একবারও চেঁচালো না।

পাইলট বললো, তোমরা আসলেই খুব সাহসী। এমন ভয়ানক ভাবে প্লেন ওড়ানোর পরও তোমরা ভয় পাওনি।

একথা শুনে কৃষক বললো, বলো কি! একটু আগে আমার স্ত্রী যখন পড়ে যাচ্ছিলো তখন চিৎকার প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিলো মুখ থেকে।

Read more


স্ত্রী না অন্য কেউ?

আমেরিকান এয়ারলাইন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের স্ত্রীদের জন্য অর্ধেক ভাড়ার নিয়ম চালু করলো যদি তারা তাদের স্বামীদের সাথে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করে।


নিয়মটি চালু করার এক মাস ফিডব্যাক নেবার জন্য তারা বিভিন্ন ব্যবসায়ীর স্ত্রীদের কাছে চিঠি পাঠালো এই লিখে যে আপনাদের বিজনেস ট্রিপ কেমন চলছে? 

চারদিক থেকে পাল্টা চিঠি আসা শুরু হলো- কোন ট্রিপ?

Read more


স্থান গ্রহণ

এক এটর্নি গভীর রাতে গভর্নরকে ফোন করলো। তার সেক্রেটারি ফোন ধরলে তাকে জানালো এটা খুবই আর্জেন্ট বিষয়।

গভর্নরকে ফোন দেয়া হলো।

- কি ব্যাপার? ঘুম ঘুম কণ্ঠে গভর্নর জানতে চাইলো।

- স্যার, জাজ ম্যাকলিন একটু আগে মারা গেছেন, আমি তার স্থান গ্রহণ করতে চাই।

- ঠিক আছে, আজরাইল রাজি থাকলে আমার আপত্তি নেই।

Read more


ম্যানেজারকে চাই

এক উদ্ভিন্ন যৌবনা তরুণী বারটেন্ডারের সামনে এসে ইশারায় তাকে ডাকলো। বারটেন্ডার এগিয়ে এলে লাস্যময়ী ভঙ্গিতে তার থুতনি আর গালে হাত বুলিয়ে তরুণী জিজ্ঞেস করলো- তুমিই কি ম্যানেজার?

বারটেন্ডার একটু কেঁপে নিজেকে সামলে বললো- জ্বী না।

তরুণী এবার বারটেন্ডারের মাথার চুল আর কানে হাত বুলিয়ে বললো- ওকে একটু ডেকে দেবে? একটা সমস্যা হয়েছে?

বারটেন্ডার জানতে চাইলো- কি সমস্যা আমাকে বলুন।

তরুণী বারটেন্ডার মুখে তার তর্জনী আর মধ্যমা ঢুকিয়ে সেগুলো বারটেন্ডারকে চুষতে দিলো। খুশিতে বারটেন্ডারের পাগলপ্রায় দশা।

- ম্যানেজারকে বলো লেডিস টয়লেটে টিসু পেপার নেই। তরুণীর জবাব।

Read more


বাচ্চা

এক মহিলা এক গাড়িতে ৫-৬টি বাচ্চা নিয়ে নার্ভাস হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলো। একটা 'থামুন' সাইন সে পার হয়ে গেলে পুলিশ তাকে থামালো।

- আপনি কি থামতে শিখেননি? জানতে চাইলো পুলিশ।

- এগুলো তো আমার বাচ্চা নয়। মহিলার উত্তর।

Read more


অজুহাত

ময়দানে সৈন্যদের খোঁজ নিতে গিয়ে জেনারেল বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলেন একজন সৈন্যও উপস্থিত নেই। কিছুক্ষণ পর হাঁপাতে হাঁপাতে এক সৈন্যে এসে হাজির।

- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।

- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম, থামলো না, একটা ফার্মে গিয়ে একটা ঘোড়া কিনে রওনা দিলাম, মাঝপথে সেটা মারা গেলো। এরপর বাকি ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি।

অজুহাতটা জেনারেলের মনো:পুত হলো না। তারপরও যেহেতু সে এসেছে তাই তাকে ছেড়ে দিলেন।

এরপর আরো আটজন সৈন্য হাঁপাতে হাঁপাতে এলো।

- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।

- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম, থামলো না, একটা ফার্মে গিয়ে একটা ঘোড়া কিনে রওনা দিলাম, মাঝপথে সেটা মারা গেলো। এরপর বাকি ১০ কিলোমিটার দৌড়াতে দৌড়াতে এসেছি। সবাই এই অজুহাত দিলো।

জেনারেল তাদের অজুহাতে ভারি সন্দিহান হয়ে পড়লেন। কিন্তু যেহেতু এই অজুহাতের কারণে প্রথম জনকে ছেড়ে দিয়েছেন তাই তিনি তাদেরকেও ছেড়ে দিলেন।

একটু পর আরেক সৈন্য হাঁপাতে হাঁপাতে এলো।

- কি কারণে দেরি হলো? জেনারেল জানতে চাইলো।

- স্যার, ডেট- এ গিয়ে দেরি হয়ে গেছে। আসার পথে শেষ বাসটাও ধরতে পারলাম না, ট্যাক্সি ক্যাবকে থামতে বললাম .....

- বাকিটা আমি বলি। তুমি ট্যাক্সিকে থামতে বললে, সেটা থামলো না। তারপর তুমি একটা ঘোড়া কিনলে....।

- না স্যার, আমি ট্যাক্সি পেয়েছি ঠিকই। কিন্তু একটু দূরে গিয়ে দেখি রাস্তায় অনেক মরা ঘোড়া পড়ে আছে। সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে আসতে আসতেই দেরি হয়ে গেলো।

Read more


ফুল

এক সোনালি চুলের আর এক লাল চুলের মেয়ে হাঁটছিলো। দূর থেকে তারা দেখতে পেলো লাল চুলের মেয়ের বয়ফ্রেন্ড ফুল কিনছে।

- সর্বনাশ! ও আবার ফুল কিনছে! লাল চুলের মেয়ে বললো।

- তুমি মনে হচ্ছে ফুলে উপহার পেতে পছন্দ করো না? সোনালি চুলের মেয়ের প্রশ্ন।

- করি, কিন্তু ও যখনই ফুল দেয় তখনই ওর মনে কোন বিশেষ ইচ্ছা থাকে। আমি চাই না ফুল পাবার পরের তিন দিন আমি দুইদিকে পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকি।

- কেন তোমাদের বাসায় কি ফুলের ভাস নেই? সোনালি চুলের বিস্ময়কর প্রশ্ন।

Read more


রক্ত চলাচল

ছোট্ট জনিদের ক্লাসে স্যার রক্ত চলাচল সম্পর্কে পড়াচ্ছেন। ভালো করে বোঝার জন্য স্যার উদাহরণ দিলেন, ধরো, যদি আমি মাথার উপর ভর করে দাঁড়াই তাহলে রক্ত আমার মাথায় উঠে আসবে। এবার বুঝেছো?

ছাত্ররা জানালো যে তারা বুঝেছে।

- কিন্তু, এই যে আমি পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আছি, এখন তো রক্ত আমার পায়ে চলে আসছে না। বলতো কেন?

- কারণ এটা বোধহয় খালি নয়। ছোট্ট জনির উত্তর।

Read more


কোটি বারে একবার

এক মহিলার আত্মীয় স্বজন পুরো আমেরিকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো। ভাতিজা, ভাতিজী, ভাগ্নে, ভাগ্নীদের দেখার জন্য সে প্রায়ই প্লেনে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ভ্রমণ করতো। বাচ্চাদের সঙ্গ তার যতই ভালো লাগুক না কেন, প্লেন সম্পর্কে তার একটা ভয় সবসময় কাজ করতো- যদি কেউ প্লেনে বোমা ফাটিয়ে দেয়?

তার ভয়ের কথা জানতে পেরে আত্মীয় স্বজনরা ঠিক করলো তাকে এক স্ট্যাটিসটিক্স অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাবে যাতে তাকে এটা বোঝানো যায় যে প্লেনে বোমা নিয়ে ওঠার সম্ভাবনা শতকরা কতো ভাগ।

স্ট্যাটিসটিক্স অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে মহিলা প্রশ্ন করলো, বোমা নিয়ে প্লেনে কোন খারাপ লোক ওঠার সম্ভাবনা কতটুকু।

লোকটি তাকে জানালো- খুব কম। পঞ্চাশ হাজার বারে একবার।

মহিলা জানতে চাইলো- একই প্লেনে দুইজন বোমা নিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কতদূর?

লোকটি বললো- এটার সম্ভাবনা আরো কম, এক কোটি বারে একবার। কোন ভয় নেই।

মহিলা খুশি হয়ে চলে এলো।

এরপর থেকে সে যতবার প্লেনে চলাফেরা করতো, প্রতিবার সাথে একটা বোম রাখতো।

Read more


প্যারাশুট

এক পাইলট, বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড় মাইকেল জর্ডান, বিল গেটস, পোপ আর এক কলেজের ছাত্র এক বিমানে করে ঝড়ো আবহাওয়ায় যাচ্ছিলো।

এমন সময় পাইলট এসে জানালো যে বিদ্যুৎ পড়ে প্লেনে আগুন ধরে গেছে। তাড়াতাড়ি প্যারাশুট নিয়ে লাফ না দিলে জীবন বিপন্ন হবে। কিন্তু সমস্যা হলো, পাঁচজন লোকের বিপরীতে মাত্র চারটা প্যারাশুট আছে। আমি যেহেতু পাইলট, তাই আমি একটা প্যারাশুট নিচ্ছি। বলেই সে একটা প্যারাশুট নিয়ে লাফ দিলো।

মাইকেল জর্ডান বললো, আমি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। এই বিশ্বে সেরা খেলোয়াড়ের দরকর আছে। তাই আমি একটা প্যারাশুট নিচ্ছি। বলেই সে একটা প্যারাশুট নিয়ে লাফ দিলো।

বিল গেটস বললো, আমি বিশ্বের সবচেয়ে স্মার্ট ব্যক্তি। আমার ওপর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ভর করে। তাই আমি একটা প্যারাশুট নিচ্ছি। বলেই সে একটা প্যারাশুট নিয়ে লাফ দিলো।

পোপ আর কলেজ ছাত্রের সামনে এখন মাত্র একটি প্যারাশুট। বৃদ্ধ পোপ বললেন, আমি বাবা অনেকদিন বেঁচেছি। তোমার এখন বাঁচার সময়। তুমিই প্যারাশুটটা নাও। আমি প্লেনেই থাকবো।

কলেজ ছাত্র হেসে বললো, তার দরকার হবে না। বিশ্বের সবচেয়ে 'স্মার্ট' ব্যক্তি প্যারাশুটের বদলে আমার কলেজের ব্যাগ নিয়েই লাফ দিয়েছে।

Read more


আসল উদ্দেশ্য

ডিয়ার সুসান,

তুমি এনগেজমেন্ট ভেঙে চলে যাবার পর থেকে আমার মন খুব খারাপ। তোমাকে ছাড়া আমার এক মুহূর্তও চলতে চায় না। তোমাকে ছাড়া অন্য কোন মেয়েকে ভালোবাসার কথা আমি চিন্তাই করতে পারি না। তুমি আমার শয়নে-স্বপনে, দিবসে রজনীতে। যা হবার হয়ে গেছে, আমরা কি আবার নতুন করে শুরু করতে পারি না?

তোমারই প্রিয়,
জ্যাক

পুনশ্চ: ক্রীড়া উন্নয়ন লটারির প্রথম পুরষ্কার জেতায় অভিনন্দন।

Read more


ফটোগ্রাফি

এক পত্রিকার পক্ষ থেকে এক ফটোগ্রাফারকে হায়ার করা হলো বনে সম্প্রতি লাগা দাবানলের ছবি তোলার জন্য। ফটোগ্রাফার সেখানে পৌঁছে দেখলো ধোঁয়া এতো বেশি যে ছবি তোলা সম্ভব না।

সে সম্পাদককে ফোন দিয়ে সমস্যার কথা জানালো। সে বললো, যদি একটা প্লেনের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে উপর থেকে ছবি তুলতে সহজ হবে।

সম্পাদক একটু পর তাকে ফোন দিয়ে জানালো দাবানলের কাছেই একটা এয়ারফিল্ডে তার জন্য একটা প্লেন অপেক্ষা করছে।

যথারীতি এয়ারফিল্ডে গিয়ে ফটোগ্রাফার একটা প্লেন দেখতে পেলো। পাইলট সিটে বসাই ছিলো। সে দ্রুত উঠে পাইলটকে তাড়া লাগানো প্লেন ওড়ানোর জন্য।

প্লেন উড়লো। ফটোগ্রাফার তাড়া লাগালো, জলদি করে বনের উত্তর-পশ্চিম কোণে যাও। ওখানে গিয়ে ছবি তুলবো।

তার কথা শুনে পাইলট হাঁ করে তাকিয়ে রইলো, কি বললেন স্যার!

ফটোগ্রাফার একটু বিরক্ত হয়ে বললো, কি বলছি বোঝো না? আমার হাতে এটা ক্যামেরা, এটা দিয়ে ছবি তোলে। যেহেতু এটা আমার হাতে তাই আমি ছবি তুলবো। পরিষ্কার?

দীর্ঘ এক বিরতির পর পাইলটের উত্তর, তার মানে কি আপনি আমার নতুন ইনস্ট্রাক্টর নন? আমাকে আজকে ল্যান্ডিং শেখানোর কথা ছিলো।

Read more


গলফ ম্যাচ

কার্ডিনালদের নিয়ে পোপের এক মিটিঙয়ে আলোচনা হচ্ছিলো ইসরায়েলের ইহুদি নেতা শিমন পেরেজের একটি প্রস্তাব নিয়ে। এক কার্ডিনাল পোপকে জানালো, শিমন পেরেজ খৃস্টান ধর্ম বড় না ইহুদি ধর্ম বড় এ নিয়ে বিতর্কে জেতার জন্য একটি গলফ ম্যাচের আয়োজন করতে চেয়েছেন। যে জিতবে তার ধর্ম বড়।

এ কথা শুনে পোপ দারুণ বিরক্ত হলেন কারণ তিনি জীবনে গলফের ক্লাব ছুঁয়েও দেখেননি।

তখন এক কার্ডিনাল তাকে বুদ্ধি দিলো, আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন গলফার পল নিকলসকে আমরা আমাদের হয়ে লড়তে বলতে পারি। তাকে আমরা কার্ডিনাল বানিয়ে নেবো তাহলে সে আমাদের হয়ে লড়তে পারবে। তাকে শিমন পেরেজ কোনভাবেই হারাতে পারবে না।

এতে পোপ রাজি হলেন।

ম্যাচের দিন পোপ খুব উদ্বিগ্ন হয়ে সময় কাটাচ্ছেন আর খেলার ফলাফলের অপেক্ষা করছেন। এমন সময় পল নিকলসের ফোন এলো। সে জানালো যে সে খেলায় হেরে গেছে।

পোপ বিস্মিত হয়ে বললেন, তুমি চ্যাম্পিয়ন গলফার হয়েও শিমন পেরেজকে হারাতে পারলে না?

পল উত্তর দিলো, শিমন পেরেজ খেলেননি, তার হয়ে রাব্বি উডস খেলেছেন।

Read more


বিয়ের আগে ও পরে


বিয়ের আগে-


মেয়ে: আহ, অবশেষে। আর অপেক্ষা করতে পারছিলাম না।
ছেলে: তুমি কি চাও আমি এখান থেকে চলে যাই?
মেয়ে: একদম না! এমনটা চিন্তাও করো না।
ছেলে: তুমি কি আমাকে ভালোবাসো? 
মেয়ে: অবশ্যই! সবসময়।
ছেলে: তুমি কি আমাকে কখনো ধোঁকা দিয়েছো?
মেয়ে: কক্ষনো না! এটা জিজ্ঞেস করছো কেন? 
ছেলে: তুমি কি আমাকে কিস দেবে?
মেয়ে: যখনই সুযোগ পাবো। 
ছেলে: তুমি কি আমাকে আঘাত করবে?
মেয়ে: তুমি কি পাগল? আমি সেরকম মেয়ে নই।
ছেলে: আমি কি তোমাকে বিশ্বাস করতে পারি?
মেয়ে: হ্যাঁ।
ছেলে: ডার্লিং!


বিয়ের পরে-
উপরের ডায়লগগুলো নিচ থেকে উপরে পড়ুন।

Read more


চাইনিজ শাস্তি

এক লোক বনে পথ হারিয়ে ঘুরতে ঘুরতে এক টিলার উপরে বাড়িতে এসে হাজির হলো। সেখানে থুথ্থুরে বুড়ো এক চাইনিজ বসেছিলো।

-আমাকে রাতটা এখানে থাকতে দিন। আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি।

বুড়ো বললো- থাকতে দিতে পারি এক শর্তে। আমার মেয়ের দিকে নজর দিলে তোমাকে তিনটি চাইনিজ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

লোকটি ভাবলো, লোকটি যেমন বুড়ো তার মেয়েও তেমন বুড়ো হবে। সে রাজি হলো।

ডিনারের সময় দেখা গেলো খুব সুন্দরী এক মেয়ে তাদের সাথে যোগ দিলো। মেয়েটা তার দিকে বারবার ফিরে তাকালো কিন্তু লোকটি শাস্তির ভয়ে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করলো না।

রাতে শোয়ার পর তার বারবার মেয়েটার কথা মনে পড়তে লাগলো যে তার পাশের রুমে শুয়েছিলো। সে ভাবলো, বুড়ো তো ঘুমিয়েই গেছে। এই ভেবে সে পা টিপে টিপে মেয়ের রুমে গিয়ে যা করার করলো।

সকালে তৃপ্ত মনে ঘুম থেকে উঠে সে দেখলো তার বুকের উপর একটা মিডিয়াম সাইজের পাথর। আর একটা কাগজে লেখা, প্রথম চাইনিজ শাস্তি।

সে মনে মনে হেসে বললো এই শাস্তিতে আমার কি হবে। বলে সে পাথরটা জানালা দিয়ে নিচে ছুঁড়ে দিলো। এই সময় তার নজরে পড়লো জানালার পাশে একটা কাগজে লেখা- দ্বিতীয় শাস্তি- তোমার বাম অন্ডকোষের সাথে পাথরটা বাঁধা। ভয়ের সাথে লোকটি খেয়াল করলো পাথরের সাথে বাঁধা বাম অন্ডকোষের দড়িটা টান টান হতে যাচ্ছে। নিচে পাথরে পড়ে নাহয় এক আধটা হাড় ভাঙবে কিন্তু অন্ডকোষ গেলে তো..... এই ভেবে সে জানালা দিয়ে নিচের উপত্যকায় লাফ দিলো।

পাথরের সাথে গড়াতে গড়াতে সে এবার বড় একটা সাইনবোর্ড দেখতে পেলো- তৃতীয় শাস্তি, তোমার ডান অন্ডকোষ বিছানার পায়ার সাথে বাঁধা।

Read more


পরিচিতি

আর্ল তার বসের কাছে প্রায়ই বাহাদুরি করতো যে সব বিখ্যাত লোকদের সাথে তার পরিচয় আছে। তার বাহাদুরিতে একদিন বিরক্ত হয়ে তার বস একদিন বললো, ঠিক আছে। প্রমাণ দাও।
আর্ল বললো, টম ক্রুজের সাথে পরিচয় আছে আমার। প্রমাণ দেবো?
বস বললো: চলো, যাই।
দু'জনে হলিউডে টম ক্রুজের বাড়িতে পৌঁছলো। বেল টিপতেই টম ক্রুজ বেরিয়ে এসে বললো, আরে আর্ল যে! সাথে বন্ধুকেও নিয়ে এসেছো। চলো একসাথে লাঞ্চ করি।
সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বসের মুখ থমথমে। এখনও তার সন্দেহ যায়নি। সে বললো, তুমি হয়তো এই একজন বিখ্যাত ব্যক্তিকেই চেনো। এতে কিছুই প্রমাণ হয় না। আরো বিখ্যাত লোকের সাথে পরিচয় আছে কী না দেখাও।
আর্ল বললো, ঠিক আছে, প্রেসিডেন্ট ওবামার সাথে দেখা করি চলো।
বস রাজি হওয়ায় তারা ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজে পৌঁছলো। প্রেসিডেন্ট ওবামা তাদের দেখেই বললো, আরে আর্ল যে! আমি একটা মিটিঙ-এ যাচ্ছিলাম। তবে তোমরা যেহেতু এসেছো, চলো এক কাপ কফি হয়ে যাক।
সেখান থেকে বেরিয়ে বস এবার একটু সন্দেহমুক্ত। কিন্তু তারপরও মনের শান্তির জন্য আর্লের কাছে আরেকটা প্রমাণ দেখতে চাইলো।
আর্ল বললো: পোপের সাথে দেখা করবো?
বস বললো: ঠিক আছে, আমি পোপের কথা জানি। চলো দেখি।
তারা রোমে পৌছলো। আর্ল তার বসকে বললো: পোপের সাথে দেখা করে আমি তাকে নিয়ে ব্যালকনিতে আসছি। তুমি এখানে খোলা জায়গাটায় দাঁড়াও।
বস দাঁড়ালো আর আর্ল গার্ডদের সাথে কথা বলে ভিতরে গেলো। একটু পর দেখা গেলো ব্যালকনিতে পোপ আর আর্ল পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। দু'জনেই বাইরের জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়লো।
ফিরে এসে আর্ল দেখলো তার বসের হার্ট এ্যাটাক হয়েছে। উদ্বিগ্ন হয়ে সে জানতে চাইলো, কেন এমনটা হলো?
বস বললো, তুমি বারান্দায় পোপের সাথে আসার পর আমার পাশে একজন বললো, আরে! বারান্দায় আর্লের সাথে ওটা কে?

Read more


সময়

ডাক্তার: আপনার জন্য একটা দু:সংবাদ আছে।
রোগী: বলুন ডক্টর।
ডাক্তার: আপনি শীঘ্রই মারা যাবেন।
রোগী: আমার হাতে কেমন সময় আছে?
ডাক্তার: দশ...
রোগী: দশ কি? মাস, সপ্তাহ, নাকি দিন?
ডাক্তার: নয়।
রোগী: মানে?
ডাক্তার: আট.... সাত..... ছয়....।

Read more


জামাই

দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যাবার সময় এক পুলিশ কনস্টেবল তরুণ মোটর আরোহীকে আটক করলো। বললো, এতো তাড়াহুড়া করে কোথায় যাওয়া হচ্ছে শুনি? চলো থানায়।
তরুণ বলার চেষ্টা করলো, কিন্তু অফিসার....
পুলিশ বললো, কোন কিন্ত কিন্তু নয়। ইন্সপেক্টর না আসা পর্যন্ত তোমাকে আটক থাকতে হবে।
তরুণ আবার বলার চেষ্টা করলো, কিন্তু অফিসার, আমি.....
পুলিশ তাকে চুপ করে দিলো আর লকআপে পুরে দিলো।

দু'তিন ঘন্টা পর লকআপে তরুণকে চেক করতে গিয়ে সে জানালো ইন্সপেক্টর তার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গেছেন। সুতরাং যখন তিনি আসবেন তখন ভালো মুডেই থাকবেন। তরুণকে হয়তো তখন ছেড়ে দিবেন।

তরুণ উত্তর দিলো, আমার মনে হয় না। কারণ আমিই তার মেয়ের হবু জামাই।

Read more


কোমা

দীর্ঘদিন কোমায় থাকা এক বিবাহিত মহিলাকে যখন নার্স গোসল করাচ্ছিলো তখন তার দুই পায়ের ফাঁকে প্রাইভেট জায়গায় সাবান ঘষতেই যেন একটু সাড়া পাওয়া গেলো। নার্স তৎক্ষনাৎ ব্যাপারটা ডাক্তারকে জানালো। ডাক্তার মহিলার স্বামীকে ফোন দিলো।
স্বামী আসার পর ডাক্তার ঘটনা খুলে বললো। তারপর বললো, আমার মনে হয় তাকে যদি সেক্সুয়ালি উত্তেজিত করা যায় তাহলে তিনি কোমা থেকে ফিরে আসবেন। আপনি ওকে ওরাল সেক্স দিন।
স্বামী মহিলার সাথে একা রইলো। ডাক্তার ও নার্স বেরিয়ে গেলো।
পনের মিনিট পর স্বামী বেরিয়ে এলো- 'ডাক্তার, ও মারা গেছে।'
- কিভাবে?
- তা তো জানি না, তবে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে।

Read more


মাতালের কাণ্ড

এক লোক বারে মদ খেতে ঢুকলো। দীর্ঘক্ষণ ধরে মদ খেলো সে। সেই সাথে অনেকক্ষণ ধরে সে খেয়াল করলো পুরো বারে একটা মাত্র মেয়ে তার দিকে পিছন ফিরে একটা টেবিলে বসে আছে। সে উঠে গিয়ে মেয়েটাকে ধরে দিলো এক চুমু।

মেয়েটা তো রাগে চেঁচিয়ে উঠলো- এসব কি হচ্ছে?

মাতাল লোকটি বললো, মাফ করবেন, আপনাকে পেছন থেকে দেখে আমার স্ত্রী মনে করেছিলাম।

মেয়েটা এতে শান্ত তো হলোই না বরং আরো জোরে চেঁচিয়ে উঠলো, হারামজাদা, ইতর, লম্পট, বদমাশ.....

মাতালটি বললো, আরে, আপনি তো আমার স্ত্রীর মতোই চেঁচান।

Read more


তিনটি খাম

বিদায়ের মুহূর্তে পুরাতন সিইও নতুন সিইওকে তিনটি খাম দিয়ে বললো, এই খাম তিনটা রাখুন। কোম্পানিতে সমস্যা দেখা দিলে ১,২ তারপর ৩ নম্বর খাম খুলবেন। আশা করি আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
দায়িত্ব নেবার ছয়মাস পর্যন্ত নতুন সিইও খামগুলো ব্যবহারের কথা ভাবলোই না। তারপর একদিন শেয়ার মার্কেটে ব্যাপক দরপতন হলো। পেরেশান হয়ে নতুন সিইও প্রথম খামটা খুললো। তাতে লেখা ছিলো, আগের সিইওর ওপর সব দোষ চাপিয়ে দাও।
পরামর্শমতো নতুন সিইও এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে আগের সিইওর খুব বদনাম করলো। এতে কাজ হলো। মার্কেট আবার চাঙ্গা হয়ে উঠলো।
এর এক বছর পর আবার কোম্পানির বিক্রিতে ধ্বস নামলো। এবার সিইও দ্বিতীয় খামটা খুললো। তাতে লেখা ছিলো, পুরাতনদের ছাঁটাই করে নতুন কর্মী নাও।
এবার পরামর্শ মতো কাজ করার ফলে সমস্যা থেকে কোম্পানি বেরিয়ে এলো।
এর এক বছর পর কোম্পানিতে আবার সমস্যা দেখা দিলো। এবার সিইও তিন নম্বর খাম খুললো। তাতে লেখা ছিলো, তিনটা খাম তৈরি করো।

Read more


জর্জ বুশের স্কুল পরিদর্শন

জর্জ বুশ একটি হাই স্কুল পরিদর্শন করতে গেলো। যথারীতি ছাত্রদের সাথে ক্লাসে তার কথাবার্তা হলো। এবার ছাত্রদের প্রশ্ন করার পালা। জর্জ বুশ ভাবলো হাই স্কুলের ছাত্ররা আর কীই বা প্রশ্ন করবে।

একজন ছাত্র দাঁড়িয়ে বললো, আমার তিনটি প্রশ্ন আছে।

১. আপনি ইরাক আক্রমণ করেছেন কেন? এটা কি অনৈতিক হয়নি?
২. আপনি সাদ্দাম হোসেনকে ঠিকমতো বিচার না করেই কেন ফাঁসি দিয়েছেন?
৩. আপনার কি মনে হয় না যে এবারের ইলেকশনে আপনি গু-হারা হারবেন?

জর্জ বুশ উত্তর দেবার আগে ক্লাস শেষের ঘন্টা বাজলো। সবাই ২০ মিনিট ব্রেক নিয়ে আবার একত্রিত হলো।

জর্জ বুশ বললো, আমরা যেন কোথায় ছিলাম?

আরেক ছাত্র দাঁড়িয়ে বললো, আমার চারটি প্রশ্ন আছে।


১. আপনি ইরাক আক্রমণ করেছেন কেন? এটা কি অনৈতিক হয়নি?
২. আপনি সাদ্দাম হোসেনকে ঠিকমতো বিচার না করেই কেন ফাঁসি দিয়েছেন?
৩. আপনার কি মনে হয় না যে এবারের ইলেকশনে আপনি গু-হারা হারবেন?
৪. ক্লাস শেষ হবার আধাঘন্টা আগে কেন ক্লাস শেষের ঘন্টা বাজলো?

Read more


স্ত্রী

মার্কেটে এক লোক হন্তদন্ত হয়ে হাঁঠতে গিয়ে ধাক্কা খেলো আরেক জনের সাথে।

প্রথম জন বললো, আমি দু:খিত, আমার স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছি না। ওর চিন্তায় কোথায় যাচ্ছি খেয়াল করতে পারিনি।

দ্বিতীয় জন বললো, আমিও তো আমার স্ত্রীকে হারিয়ে ফেলেছি।

প্রথম জন বললো, তোমার স্ত্রী দেখতে কেমন? তাহলে হয়তো আমি খুঁজতে সাহায্য করতে পারবো।

দ্বিতীয় জন বললো, আমার স্ত্রী লাল চুলের, সবুজ চোখ, লম্বা সুগঠিত পা আর শর্ট স্কার্ট পরে আছে। তোমার স্ত্রী দেখতে কেমন?

প্রথম জন বললো, আমারটার কথা বাদ দাও। চলো তোমার স্ত্রীকে খুঁজি।

Read more


টাই

এক লোক মরুভূমিতে পথ হারিয়ে হাঁটছিলো। তৃষ্ণায় তার প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এমন সময় সে ব্যাগ নিয়ে এক লোককে গাছের নিচে বসে থাকতে দেখলো।

- আমাকে একটু পানির সন্ধান দিতে পারবে? জানতে চাইল লোকটি।

- হ্যাঁ, যদি তুমি আমার কাছ থেকে একটা টাই কেনো যার দাম ৫০ ডলার।

রেগেমেগে তৃষ্ণার্ত লোকটি বললো, তোমার অমন উল্টাপাল্টা দামের টাই আমার দরকার নেই। পানির খবর বলো নইলে তোমার খবর আছে।

টাইওয়ালা বললো, ঠিক আছে। বলছি। এখান থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে সুন্দর একটা হোটেল দেখতে পাবে। সেখানে ঠান্ডা পানি পাওয়া যায়। আমার ভাই ওই জায়গার মালিক।

লোকটি পশ্চিমে রওনা হবার পর কয়েক ঘন্টা কেটে গেলো। এরপর আবার টাইওয়ালার কাছে ফিরে এলো সে।

- হোটেলের মালিক তোর ভাই আরেক হারামজাদা, টাই ছাড়া নাকি আমাকে ওখানে ঢুকতে দিবে না।

Read more


জাদুর পুল

এক লোক পার্টি দিয়ে তার বন্ধুদের বললো, আমার সুইমিং পুলটা জাদুর। সুইমিং পুলে নেমে যে তরল পদার্থের নাম করবে পুরো পুলের পানি সেই পদার্থ হয়ে যাবে।

তার এক বাঙালি বন্ধু পুলে নেমে বললো, কোক। সাথে সাথে পুরো পুলের পানি কোকে পরিবর্তন হয়ে গেলো। সে প্রাণ ভরে কোক খেয়ে উঠে এলো।

এবার তার এক রাশিয়ান বন্ধু নেমে বললো, ভদকা। সাথে সাথে পুরো পুলের পানি ভদকায় পরিবর্তন হয়ে গেলো। সে প্রাণ ভরে ভদকা খেয়ে উঠে এলো।

এবার তার এক আমেরিকান বন্ধু ঝাঁপ দিতেই বাঙালিটি তাকে মনে করিয়ে দিলো, আরে, তোমার পকেটে তো মোবাইল ফোনটা রয়ে গেছে।

আমেরিকান বললো, শিট!

Read more


জাদুর আয়না

এক ব্যক্তি জাদুর একটি আয়না এই বলে বিক্রি করছিলো যে এর সামনে দাঁড়িয়ে মিথ্যা কথা বললে মিথ্যাবাদী লোকটি গায়েব হয়ে যাবে।

এক চাইনীজ মহিলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বললো, আমি ভাবি যে, আমি দুনিয়ার সবচেয়ে বুদ্ধিমতী মেয়ে। সাথে সাথে সে গায়েব হয়ে গেলো।

এক কালো চুলের মহিলা বললো, আমি ভাবি যে, আমি দুনিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় মেয়ে। সাথে সাথে সে গায়েব হয়ে গেলো।

এবার এক ব্লন্ডি (সোনালি চুলের) মহিলা এসে বললো, আমি ভাবছি... বলামাত্র সে গায়েব হয়ে গেলো।

Read more


ছোট্ট জনির এসাইনমেন্ট

ক্লাসে টিচার সকল ছেলেকে এসাইনমেন্ট দিলেন, তোমার বাড়ির আশেপাশে কি তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে লিখবে। তারপর তিনি সকল ছেলেকে বেরিয়ে যেতে বললেন। এবার তিনি মেয়েদেরকে বললেন, ছোট্ট জনি কালকে নিশ্চয়ই বিশ্রী কোন কথা লিখে আনবে। আমি চাই ওর এসাইনমেন্ট পড়ার সাথে সাথে তোমরা ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাবে যাতে ও বুঝতে পারে ওর কথা তোমরা পছন্দ করো না। তাহলে হয়তো ওর একটা শিক্ষা হবে।

পরদিন সব ছেলে এসাইনমেন্ট করে এনেছে।

জিম পড়ছে- আমাদের বাসার কাছে একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তৈরি হচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জিনিস কেনাকাটায় অনেক সুবিধা হবে।

বিল পড়ছে- আমাদের বাসার কাছে একটা মার্কেট তৈরি হচ্ছে। আমার  মায়ের কেনাকাটায় সুবিধা হবে।

জনি এগিয়ে এলো তার এসাইনমেন্ট পড়ার জন্য। টিচার সব মেয়েদের গোপনে ইশারা করে দিলেন।

জনি পড়লো- আমাদের বাসার কাছে একটা বেশ্যাপাড়া তৈরি হচ্ছে। এ পর্যন্ত পড়ে সে দেখলো মেয়েরা দরজার দিকে লাইন দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই দেখে সে বললো- আরে আরে, তোমরা কোথায় যাও? এখনও তো বিল্ডিংটা বানানো শেষ হয়নি।

Read more


রেডিওর অভিজ্ঞতা

মিলিটারিতে নতুন যোগ দিয়ে আর সবার সাথে জিম লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। সার্জেন্ট এসে সবাইকে আজকের কাজের লিস্ট বুঝিয়ে দিলো। তারপর বললো, কারো টেলিকমিউনিকেশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে?

জিম আগে টেলিফোন অপারেটর হিসেবে কাজ করেছলো। সে হাত তুললো।

সার্জেন্ট বললো, গুড, টেলিফোনের নতুন খাম্বা গাড়তে হবে। গর্ত করার কাজটা তোমাকে দেয়া হলো।

Read more


বেলুন যাত্রী

বেলুনে করে ভ্রমণে বের হওয়া এক ব্যক্তি রাস্তা হারিয়ে ফেললো। কিছুদূর গিয়ে সে এক ব্যক্তিকে দেখে চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করলো, এই যে জনাব, আমি কোথায় আছি বলতে পারেন?


নিচের লোকটি জবাব দিলো- হ্যাঁ, তুমি বেলুনে আছো।

বেলুনের লোকটি বললো- আপনি মনে হয় আইটি সেকশনে কাজ করেন?

নিচের লোকটি বললো- হ্যাঁ। কিভাবে বুঝলে?

বেলুনের লোকটি বললো- কারণ আপনি আমাকে যেই তথ্যটা দিলেন সেটা টেকনিক্যালি ঠিক থাকলেও কোন কাজের না।

নিচের লোকটি বললো- আর আপনি মনে হয় ম্যানেজমেন্টে আছেন?

বেলুনের লোকটি বললো- কিভাবে বুঝলেন?

নিচের লোকটির জবাব- কারণ তুমি জানো না তুমি কোথায় কিভাবে যাচ্ছো, কিন্তু আশা করছো যে আমি সাহায্য করবো। আমার সাথে দেখা হবার আগে তোমার অবস্থা যা ছিলো এখনও তা-ই আছে, কিন্তু এখন এর দোষ দিচ্ছো তুমি আমাকে।

Read more


খোদার প্রশংসা

এক মহিলা প্রতিদিন তার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে- সকল প্রশংসা আল্লাহর।

পাশের বাড়ির এক নাস্তিক তাই শুনে জবাব দেয়- আল্লাহ বলতে কিছু নেই।

একদিন মহিলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করলো- আল্লাহ, আমার বাজারটা করে দাও।

একটু পরে সে দেখলো তার বাড়ির বাইরে ব্যাগ ভর্তি তরকারি-মাছ ইত্যাদি পড়ে আছে।

সে তা দেখে চিৎকার করে বললো- সকল প্রশংসা আল্লাহর।

পাশের বাড়ির নাস্তিকটি বললো, আল্লাহ বলে কিছুই নেই। আমি ওই বাজার করে দিয়েছি।

মহিলা বললো- সকল প্রশংসা আল্লাহর। তিনি শুধু আমার বাজারই করে দেননি, শয়তানকে দিয়ে তার দামও পরিশোধ করিয়েছেন।

Read more


শয়তান

স্বামীর প্রতিরাতে মাতাল হয়ে ঘরে ফেরায় অতিষ্ট হয়ে স্ত্রী অবশেষে ঠিক করলো তাকে ভয় দেখাবে। দোকান থেকে শয়তানের শিং, লেজ ওয়ালা কস্টিউম নিয়ে এসে সে দাঁড়িয়ে রইলো গেটের ঠিক বাইরে গাছের আড়ালে।

যথারীতি স্বামী মাতাল হয়ে ফিরছে। স্ত্রী শয়তানের বেশে হাউ-মাউ করে তার সামনে গিয়ে পড়লো। স্বামী ভড়কে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কে?

স্ত্রী মোটা গলায় উত্তর দিলো: আমি শয়তান।

স্বামী বললো: তাই নাকি। তাহলে বাসায় চলো। তোমার বোনকে তো আমি বিয়ে করেছি।

Read more


ড্রাম

বব: জিম, তুমি কবে এই হারমোনিয়াম কিনলে?


জিম: কিনিনি, পাশের বাসার রিকের কাছ থেকে এনেছি।

বব: আমি জানতাম না তুমি হারমোনিয়াম বাজাতে পারো।

জিম: আমি পারি না। কিন্তু এখন রিকও পারে না।

Read more


বোকা ছেলে

একবার এক হুজুর আর কয়েকজন মিলে একসাথে খাবার খাচ্ছিলো। এক দুষ্টমনা লোক হুজুরদের দেখতে পারতো না। সে পাশের জনকে বললো, আমার যদি কোন বোকা ছেলে থাকতো, সে মনে হয় হুজুর-ই হতো। কথাটা সে এমনভাবে বললো যাতে সবাই শুনতে পায়।

শুনে হুজুর একটু হেসে উত্তর দিলেন, তোমার বাবা মনে হয় তোমার এই মতবাদের সাথে একমত নন।

Read more


ক্রেডিট কার্ড

-আব্বু, অনেকদিন ধরেই তো তোমার ক্রেডিট কার্ডটা হারিয়েছে। পুলিশে রিপোর্ট করছো না কেন?

- কারণ, চোরটা তোর আম্মুর থেকে অনেক কম খরচ করে।

Read more


জাদু

এক জাদুকর জাদু করে তার স্ত্রীকে সোফা আর বাচ্চাদের চেয়ার বানিয়ে ফেললো। কিন্তু পরে আর তাদেরকে আসল রূপে ফিরিয়ে আনতে পারলো না।

হাসপাতালে সোফা আর চেয়ার নিয়ে সে ডাক্তারকে সব বুঝিয়ে বললো। ডাক্তার বললো, সার্জারি করতে হবে। সবাইকে সার্জারি রুমে নেয়া হলো। জাদুকর বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলো।

একটু পর ডাক্তার বের হয়ে এলে জাদুকর জানতে চাইলো, ওরা এখন কেমন?

- আরামদায়ক! ডাক্তারের উত্তর।

Read more


বাড়ি পরিষ্কার

- বস, কালকে আমার স্ত্রী স্প্রিং ক্লিনিং (ইউরোপ আমেরিকায় বসন্ত কালে ব্যাপক পরিচ্ছন্নতা করা হয় অর্থাৎ কাজে লাগে না এমন জিনিস সবা্ই ফেলে দেয়) করতে চায়। বাড়িতে অনেক কাজ। আমার স্ত্রী বলেছে ওর সাথে কালকে কাজ করতে। বসের সামনে জিমি বললো।

- অসম্ভব। বস বললো। আমাদের এমনিতেই লোক কম আছে। তোমাকে কালকে ছুটি দেয়া যাবে না।

- ধন্যবাদ বস। জিমি বললো। আমি জানতাম আপনার উপর ভরসা রাখা যায়।

Read more


শেষ ইচ্ছা

মৃত্যুর আগে এক ব্যক্তি তার ডাক্তার, পাদ্রী আর আইনজীবীকে বললো, আমার বালিশের নিচে ৯০,০০০ ডলার আছে। আমি চাই আমার মৃত্যুর পর তোমরা প্রত্যেকে ৩০,০০০ ডলার করে কবরে রেখে দিবে। বলেই লোকটি মারা গেলো।

যথারীতি কবর দেয়ার পর পাদ্রী বাকি দু'জনকে বললো, গীর্জার প্রয়োজনে আমার ১০,০০০ ডলার প্রয়োজন ছিলো। তাই আমি কবরে ২০,০০০ ডলার রেখেছি।

ডাক্তার বললো, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ আমার ২০,০০০ ডলার দরকার ছিলো। তাই আমি কবরে ১০,০০০ ডলার রেখেছি।

ল'ইয়ার তাদের কথাবার্তা শুনে অবাক। বললো, তোমরা একটা মৃত ব্যক্তির শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ দেখলে? আমি তো আমার দায়িত্ব পালন করেছি। পুরো ৩০,০০০ ডলারের চেক কবরে রেখে দিয়েছি। এক পয়সাও ঠকাইনি।

Read more


নানের চুমু

ট্যাক্সিতে উঠে নান খেয়াল করলো ট্যাক্সি ড্রাইভার তাকে আয়নায় দেখছে।

- তুমি কিছু বলবে? নান জানতে চাইলো।

- আমার অনেক দিনের শখ আমি একজন নানের চুমু খাবো।

- খেতে পারো এক শর্তে, যদি তুমি অবিবাহিত ক্যাথলিক হও। বললো নান।

- আমি অবিবাহিত আর আমি ক্যাথলিক।

নান এবার তাকে সুন্দর একটি কিস করার সুযোগ দিলো।

কিস শেষে লজ্জিত ভঙ্গিতে ড্রাইভার বললো, আমি আপনাকে মিথ্যা কথা বলেছি। আমি বিবাহিত আর আমি ক্যাথলিক নই। আমাকে মাফ করে দিন।

নান বললো, চিন্তা কোরো না। আমার নাম গ্যারি। একটা যেমন খুশি তেমন সাজো পার্টিতে যাচ্ছি।

Read more


প্রার্থনা

চিঠিপত্র গোছাতে গোছাতে ডাকবিভাগের কর্মচারী এক মহিলার একটা পোস্ট কার্ড পেলো ঈশ্বরের নামে। তা দেখে তার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।

তাতে লেখা ছিলো, ঈশ্বর, আমার বয়স এখন ৮০ পার হয়েছে। সারাজীবন কোথাও ঘুরতে যেতে পারিনি। মরার আগে আমাকে ভালো একটা ছুটি কাটাবার সুযোগ করে দাও। মাত্র ২৫০ পাউন্ড হলেই আমি যেতে পারি।

কর্মচারীটি ভাবলো সে মহিলাটিকে সাহায্য করবে। সহকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার আয়োজন করলো সে। মোটমাট ২০০ পাউন্ড উঠলো। আর জোগাড় করতে না পেরে সেটাই সে পাঠিয়ে দিলো মহিলার কাছে।

কয়েক সপ্তাহ পর ঐ মহিলার আরেক পোস্টকার্ড জমা পড়লো ডাক অফিসে। সেই কর্মচারীটি পড়ে দেখলো তাতে লেখা আছে, ঈশ্বর, তোমার কৃপায় আমি দারুণ একটা ছুটি কাটিয়ে এসেছি। তবে তোমার পাঠানো টাকায় ৫০ পাউন্ড টাকা কম ছিলো। ডাক বিভাগের হারামী কর্মচারীগুলো মনে হয় টাকাটা মেরে দিয়েছে।

Read more


স্কুলে যাওয়া

সকালে বাবা ছেলের দরজা ধাক্কিয়ে ঘুম ভাঙাচ্ছে, ওঠো, তোমার স্কুলে যাবার সময় হয়েছে।

ছেলে ঘুম জড়ানো কণ্ঠে উত্তর দিলো, বাবা, তিনটা কারণে আমি স্কুলে যাবো না - প্রথমত আমি খুবই ক্লান্ত, দ্বিতীয়ত স্কুলটাকে একদম পছন্দ করি না আর তৃতীয়ত স্কুলের ছেলেদের সাথে আমার একদম বনে না।

বাবা বললো, তোমাকে তিনটা কারণে স্কুলে যেতেই হবে, প্রথমত এটা তোমার দায়িত্ব, দ্বিতীয়ত তোমার বয়স এখন ৪৮ তৃতীয়ত তুমি স্কুলের হেডমাস্টার।

Read more


পাগল না সুস্থ

এক বিখ্যাত ব্যক্তি পাগলাগারদ পরিদর্শনে এসে জানতে চাইলো মনোবিদরা কিভাবে বোঝেন একজন রোগীকে হাসপাতালে রাখতে হবে কী না।

জবাব এলো, আমরা রোগীকে একটা চা চামচ, একটা চায়ের কাপ আর একটা বালতি দেই। তারপর পানিভরা বাথটাব দেখিয়ে বলি খালি করার জন্য। এখান থেকেই বুঝতে পারি লোকটা পাগল না সুস্থ।

বিখ্যাত ব্যক্তি বললো, ও বুঝেছি। সুস্থ লোক বালতি দিয়ে বাথটাবের পানি সরাবে কারণ এটাই সবচেয়ে দ্রুত উপায়।

- না, সুস্থ লোক বাথটাবের পানি বেরিয়ে যাবার প্লাগটা খুলে দিবে। জবাব এলো।

Read more


স্পিড

এক লোক নতুন McLaren F1 GTR কিনেছে। গাড়ির স্পিড কতো হতে পারে তা সম্পর্কে তার ধারণা ছিলো না। এক পুলিশ তাকে থামালো।

- অফিসার, আমি কি খুব জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলাম? লোকটি জানতে চাইলো।

- না, আপনি খুব আস্তে উড়ছিলেন।

Read more


ঘোড়ার লাফ

এক ট্রেইনার ঘোড়ার জকিকে শেখাচ্ছিলো কিভাবে বাধা পেরোবার সময় ঘোড়াকে 'লাফ দাও' কথাটা বলে আদেশ দিতে হবে। জকি ভাবলো এমন বোকার কাজ কেউ করে। ঘোড়া তো বাধা দেখলে নিজে থেকেই লাফ দিবে।

রেসের সময় প্রথম দুই বাধা ঘোড়া ঠিকমতো পেরোতে পারলো না। বাধ্য হয়ে জকি 'লাফ দাও' চিৎকার করতেই ঘোড়াটা  বাকি রেসের বাধাগুলো ঠিকমতো পেরিয়ে এলো।

রেস শেষে ট্রেইনার জানতে চাইলো, তুমি প্রথম দুই বাধার সময় আমার কথা মতো আদেশ দাওনি তাই না?

জকি বললো, ঘোড়াটা মনে হয় বধির। নাহলে এমন কথা বলার কোন অর্থ আছে?

ট্রেইনার বললো, বধির? না। কানা হতে পারে, কিন্তু বধির কিছুতেই না।

Read more


হিক্কা

এক লোক ডাক্তারের কাছে গিয়ে হিক্কার জন্য ওষুধ চাইলো। ডাক্তার চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে লোকটির মাথা ধরে নিচু করলেন। তারপর কষে একটা কিল বসিয়ে দিলেন পিঠে।

- হিক্কা গেছে? ডাক্তার জানতে চাইলেন।

- গাড়িতে আমার স্ত্রী বসা আছে। ওকে জিজ্ঞেস করে দেখি। লোকটির জবাব।

Read more


ছবি বিক্রি

এক আর্টিস্ট গ্যালারির মালিকের কাছে জানতে চাইলো তার কোন ছবি বিক্রি হয়েছে কী না। মালিক একটু ইতস্তত করে বললো, একটা ভালো খবর আছে আরেকটা খারাপ খবর আছে।

- ভালো খবরটা হলো, এক ব্যক্তি তোমার ছবিগুলো সম্পর্কে জানতে চাইছিলেন, তোমার মৃত্যুর পর সেগুলোর মূল্য বাড়বে কী না। আমি বলেছি হ্যাঁ। তখন তিনি সবগুলো ছবি কিনে নিয়েছেন।

- আর খারাপ খবর কী? আর্টিস্ট জানতে চাইলো।

- যে তোমার ছবিগুলো কিনেছে সে তোমার ডাক্তার।

Read more


চিৎকার

টেকঅফের আগে যাত্রীরা অপেক্ষা করছে পাইলটরা কখন আসবে। এমন সময় কালো সানগ্লাস এবং পাইলটের সুট পরা দুই ব্যক্তি ককপিটে গিয়ে বসলো। যাত্রীরা ওড়ার জন্য প্রস্তুত হলো।

রানওয়েতে প্লেনটা চলা শুরু করলো। কিন্তু যে পর্যায়ে গিয়ে ওড়ার কথা সেখানে গিয়ে না উড়ে প্লেনটা চলতেই থাকলো। যাত্রীরা দেখলো রানওয়ের শেষে এক পুকুরে প্লেনটা ক্র্যাশ করতে যাচ্ছে। তারা ভয়ে চিৎকার শুরু করলো। এই সময় প্লেনটা নাক উঁচু করে উড়াল দিলো।

যাত্রীরা হাফ ছেড়ে বাঁচলো। এমন সময় তারা শুনলো এক পাইলট আরেক পাইলটকে বলছে, একদিন যাত্রীরা যদি চিৎকার না করে, আমাদের কপালে মরণ আছে।

Read more


বই

নাতি দাদাকে বই পড়তে দেখে জানতে চাইলো, দাদু তুমি কি পড়ছো?

- ইতিহাসের বই।

- মিথ্যা কথা, তুমি সেক্সের বই পড়ছো।

- ওটা তো আমার জন্য ইতিহাসই।

Read more


ব্লন্ডি

এক ভেন্ট্রিলোকুইস্ট তার ডামি পুতুল নিয়ে স্টেজে মজার মজার কৌতুক বলছিলো। ব্লন্ডি (সোনালি চুলওয়ালা) মেয়েদের বোকামি নিয়ে কিছু কৌতুক বলতেই এক ব্লন্ডি দর্শকের আসন থেকে চেঁচিয়ে উঠলো।

- সোনালি চুলের লোকদের এভাবে অপমান করার কোন অধিকার তোমার নেই। তোমার মতো আবর্জনারাই দেশের জনসংখ্যা শুধু শুধু বাড়িয়ে চলেছো।

বিব্রত হয়ে ভেন্ট্রিলোকুইস্ট মহিলার কাছে ক্ষমা চাইতে লাগলো আর বলতে লাগলো সে আর এমনটা করবে না।

মহিলা আরো রেগে বললো, তুমি এর থেকে দূরে থাকো। তোমার কোলে বসে থাকা লোকটাকে ক্ষমা চাইতে বলো।

Read more


প্রার্থনা

এক লোক অফিসের বাইরে পার্কিং করার জন্য একটা জায়গা হন্যে হয়ে খুঁজছিলো। শেষে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো, ঈশ্বর, যদি একটা পার্কিং করার জায়গা খুঁজে দাও তাহলে সারাজীবন গীর্জায় যাবো আর প্রার্থনা করবো।

হঠাৎ একটা পার্কিংএর জায়গা পেয়ে সে আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো, যা বলেছি কিছু মনে কোরো না। আমি নিজেই একটা খুঁজে নিয়েছি।

Read more


ভূত

দুই বন্ধু কবরস্থানে তাদের আত্মীয়ের কবরে প্রার্থনা করে ফিরছিলো। এমন সময় পাথরে পাথরে ঘষার কর্কশ আওয়াজ শোনা গেলো। ভয়ে দুই বন্ধুর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাড়াতাড়ি কবরস্থান থেকে বের হতে গিয়ে তারা দেখলো এক বৃদ্ধ কবরের নামফলক ঘষছে।

এই না দেখে দুই বন্ধুর ভয় কমে গেলো। তারা বৃদ্ধকে বললো, আপনি আওয়াজ করে আমাদের খুব পাইয়ে দিয়েছিলেন। আমরা মনে করেছিলাম আপনি ভূত।

বৃদ্ধ বললো, আর বোলো না। বোকার হদ্দ মিস্ত্রীগুলো কবরের নামফলকে আমার নামটা ভুল লিখেছে।

Read more


অক্ষরের ক্রমানুসারে

অনেক যাত্রী নিয়ে একটা প্লেন উড়ে যাচ্ছিলো। আচমকা প্লেন কেঁপে উঠলো। পাইলটের গলা শোনা গেলো, আমাদের ডানদিকের একটা ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে। সবার লাগেজ ফেলে প্লেন হালকা করতে হবে।

সবার লাগেজ ফেলে দেয়া হলো।

এমন সময় দ্বিতীয় ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলো। পাইলট বললো, এবার আমাদের সাথে যত খাবারদাবার, প্লেট ইত্যাদি ফেলে দিতে হবে।

সব ফেলে দেয়া হলো।

এবার তৃতীয় ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলো। পাইলট বললো, আমরা ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করবো। কিন্তু তার আগে আমাদের ভার হালকা করার জন্য কিছু যাত্রীকেও ফেলে দিতে হবে।

যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো। সবাই অপেক্ষা করছে কাকে ফেলা হবে দেখার জন্য।

পাইলট বললো, আমরা অক্ষরের ক্রমানুসারে ফেলবো। কোন এশিয়ান (Asian) আছেন? নেই। কোন নিগ্রো (Black) আছেন? নেই।

এমন সময় এক ছোট বাচ্চা তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, বাবা, আমরা কি?

বাবা বললেন, আজকের জন্য আমরা জুলু (Zulu)।

Read more


সবকিছুই বড়

এক অন্ধ লোক টেক্সাসে বেড়াতে গেছে। ট্রেনে সিটটাকে অনুভব করে পাশের যাত্রীকে সে বললো, ট্রেনের সিটটা তো নরমাল ট্রেনের চেয়ে বড়!

পাশেরজন জবাব দিলো, টেক্সাসে সবকিছুই বড়।

হোটেলে ওঠার পর লোকটি বারে গেলো কিছু পান করতে। অনুভব করে বুঝলো গ্লাসটা অনেক বড়। সে বললো, গ্লাস তো আসলেই বড়!

বারটেন্ডার জবাব দিলো, টেক্সাসে সবকিছুই বড়।

একটু পর লোকটির বাথরুমে যাবার প্রয়োজন হলো। বারটেন্ডারকে জিজ্ঞেস করতেই সে টয়লেটে যাবার দিকনির্দেশনা দিয়ে দিলো।

অন্ধ লোকটি কিছুদূর ঠিকমতো গিয়ে এক জায়গায় ভুল মোড় নিয়ে নিলো আর সোজা গিয়ে পড়লো হোটেলের সুইমিং পুলে। ভয়ে আতঙ্কে চেঁচিয়ে উঠলো সে, 'ফ্লাশ কোরো না, ফ্লাশ কোরো না।'

Read more


ছোট্ট জনির ক্লাস

ক্লাস সিক্সে অল্পবয়স্ক এক ম্যাডাম এ্যাসাইনমেন্ট দিচ্ছিলেন। এ্যাসাইনমেন্টের টাইটেলটা অনেক বড় হওয়ায় তিনি বোর্ডের অনেক উপর থেকে লেখা শুরু করলেন। এমন সময় পেছন থেকে এক ছেলের খিখি হাসি শোনা গেল। ফিরে তিনি দেখলেন রিক হাসছে।

- তুমি কেন হাসলে?

- ম্যাডাম, আপনার অন্তর্বাস দেখা যাচ্ছিলো তাই।

- ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাও। আগামী ৩ দিন আমার সামনে আসবে না।

রিক বেরিয়ে গেলো মাথা নিচু করে।

ম্যাডাম আবার লেখা শুরু করলেন। এবার বিলের কণ্ঠে আরো জোরে হাসি শোনা গেলো। ম্যাডাম রেগেমেগে জানতে চাইলেন, কেন হাসলে?

- ম্যাডাম আপনার অন্তর্বাস পুরোটাই দেখা যাচ্ছিলো তাই।

- ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাও। আগামী ৩ সপ্তাহ আমার সামনে আসবে না।

বিল মাথা নিচু করে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলো।

ম্যাডাম এবার লিখতে গিয়ে হাত থেকে মার্কার পড়ে গেলো। সেটা তুলতেই এক ছাত্রের হাসি শুনতে পেলেন। ফিরে তিনি দেখলেন ছোট্ট জনি ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।

- তুমি কোথাও যাচ্ছো?

- ম্যাডাম, আমি যা দেখেছি তা যদি বলি তাহলে বাকি জীবন আমার আর ক্লাস করা হবে বলে মনে হয় না।

Read more


হরিণ শিকার

দুই শিকারি এক পাইলটকে ভাড়া করলো দূরের জঙ্গলে হরিণ শিকার করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা দু'জন বেশ ভালোই শিকার করে মোট ছয়টি মোটাতাজা হরিণ মারলো। নির্দিষ্ট দিনে পাইলট তাদের নিতে এলো। যখন তারা তাদের জিনিসপত্রের সাথে হরিণগুলোকেও তুলতে গেলো পাইলট বললো, ছয়টা হরিণ তুললে প্লেন ঠিকমতো উড়তে পারবে না।

এক বন্ধু যুক্তি দিলো, গত বছরও আমরা শিকারে এসেছিলাম। তখনও তো ছয়টা হরিণ মেরেছিলাম আর ঠিক এই মডেলের প্লেনেই তুলেছিলাম। তখন তো পাইলট নিতে আপত্তি করেনি।

একথা শুনে পাইলট অগত্যা রাজি হলো। কিন্তু এতো ভার প্লেনটা সইতে পারলো না। কিছুদূর গিয়েই প্লেনটা ক্র্যাশ করলো। প্লেনের ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে এক শিকারি বললো, জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে।

দ্বিতীয় জন বললো, হ্যাঁ, গত বছর প্লেন করে তো এখানেই পড়েছিলাম।

Read more


পুরষ্কার

ফকল্যান্ড যুদ্ধ শেষে অনেক সৈন্যকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো। বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনজন সৈন্যকে নিজের কামরায় ডাকলেন ব্রিটিশ জেনারেল।

- যেহেতু তোমরা সত্যিকার কোন যুদ্ধে যাওনি, তাই তোমাদের আমি কোন মেডাল দিতে পারবো না। তবে ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তোমরা তোমাদের শরীরের দু'টি অঙ্গের নাম বলো, যার একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব যত ইঞ্চি তার দ্বিগুণ টাকা তোমাকে দেয়া হবে।

১ম সৈনিক বললো, আমি মাথার চুল থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত চাই। জেনারেল বললেন, তাহলে ৭০ ইঞ্চির জন্য তুমি পাচ্ছো ১৪০ পাউন্ড।

২য় সৈনিক বললো, আমি মাথার পেছনে থেকে পায়ের সামনে পর্যন্ত চাই। জেনারেল বললেন, তাহলে ৭৫ ইঞ্চির জন্য তুমি পাবে ১৫০ পাউন্ড।

শেষজন বললো, আমি আমার বাম তালু থেকে ডান হাতের আঙুল পর্যন্ত চাই।

জেনারেল বললেন, তোমার চাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তোমার ডান হাতের আঙুল কই?

-ফকল্যান্ড আইল্যান্ড গুলি লেগে কাটা পড়েছে, স্যার।

Read more


বাদাম

এক লোক তার দূর সম্পর্কের বৃদ্ধা আত্মীয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলো। তখন তার আত্মীয়া ঘুমাচ্ছিলো। সে কিছুক্ষণ ম্যাগাজিন পড়লো, কিছুক্ষণ মোবাইলে গেম খেললো। আর সেই সাথে রোগীর টেবিলের উপর রাখা বাদামের বাটি থেকে বাদাম তুলে তুলে খেলো।

সব বাদাম প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এমন সময় আত্মীয়া জেগে উঠলেন। তাকে উঠতে দেখে লোকটি বললো, আমি তোমার অপেক্ষা করতে করতে প্রায় সব বাদাম খেয়ে ফেলেছি।

আত্মীয়া বললো, কোন সমস্যা নেই। উপরের চকলেটটুকু খেয়ে ফেলার পর ঐ বাদাম এমনিতেও আমার ভালো লাগে না।

Read more


মৃত্যুর পর

তিন বন্ধু এক গাড়ি এ্যাক্সিডেন্টে মারা গেলো। স্বর্গের গেটে তাদের জিজ্ঞেস করা হলো, তোমাদেরকে যখন কফিনে রাখা হচ্ছিলো আর তোমাদের আত্মীয় স্বজনরা কাঁদছিলো, তখন তাদের মুখ থেকে কি কথা শুনতে তোমাদের মন চেয়েছিলো?

১ম বন্ধু বললো, আমি চেয়েছিলাম তারা বলুক আমি কত ভালো ডাক্তার আর পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলাম।

২য় বন্ধু বললো, আমি চেয়েছিলাম তারা বলুক আমি কত ভালো শিক্ষক ছিলাম আর কত বাচ্চাকে সঠিক পথ দেখিয়েছি।

৩য় বন্ধু বললো, আমি চেয়েছিলাম তারা বলুক, "দেখো, ও তো নড়ছে"।

Read more


খারাপ মৃত্যু

স্বর্গের দরজায় অনেক ভিড়। সেইন্ট পিটার বললেন, আজকে আর বেশি লোকের জায়গা হবে না। যারা আজকে করুণ মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছো তারাই শুধুমাত্র আজকে যেতে পারবে। তা-ও মাত্র তিনজন।

১ম ব্যক্তি এগিয়ে এলো। বললো, আমার অনেকদিন ধরেই সন্দেহ আমার বউ আমার অগোচরে অন্য কারো সাথে মেলামেশা করে। তাকে হাতে নাতে ধরার জন্য আজকে আগে আগেই অফিস থেকে চলে এলাম। দ্রুত উঠে এলাম ২৫তলায় আমার ফ্ল্যাটে। মনে হলো আমার স্ত্রীর সাথে কেউ ছিলো কিন্তু পুরো ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কাউকে পেলাম না। তারপর ব্যালকনিতে গিয়ে দেখলাম ব্যাটা রেলিং ধরে ঝুলে আছে। রাগের মাথায় তাকে ফেলে দেয়ার জন্য মারা শুরু করলাম কিন্তু ব্যাটা তো হাত আর ছাড়ে না। পরে একটা হাতুড়ি নিয়ে হাতে আঙুলে দিলাম কয়েক ঘা। এবার আর টিকতে না পেরে সে ছেড়ে দিয়ে নিচে পড়ে গেলো। কিন্তু ব্যাটার ভাগ্য ভালো যে একটা ঝোপে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। আমার জিদ তারপরও না কমায় আমি ঘরের ফ্রিজটা তুলে ব্যাটাকে ছুঁড়ে মারলাম। এবার ব্যাটার মরণ হলো। এতো টেনশন আমার সহ্য হলো না, হার্ট এ্যাটাকে মারা গেলাম।

২য় ব্যক্তি এগিয়ে এলো। ১ম ব্যক্তিকে দেখিয়ে বললো, আমি উনার উপরের ফ্ল্যাটে ২৬ তলায় থাকি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচে দেখতে দেখতে হঠাৎ পড়ে যাই। ভাগ্য ভালো যে ২৫ তলার বারান্দার রেলিং ধরে বেঁচে যাই। হঠাৎ উনাকে দেখি। ভাবলাম আমাকে বাঁচাবেন। তা না করে উল্টো আমাকে মারা শুরু করলেন। আমি নিচে পড়ে গেলাম। তারপর একটা ভারি ফ্রিজ আমার উপর ফেললেন উনি। তারপর আমি এখানে।

৩য় জন এগিয়ে এলো। সেইন্ট পিটার জানতে চাইলেন, তোমার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?

সে উত্তর দিলো: আমি ফ্রিজে ছিলাম।

Read more


পোষা

বব আর জো প্রতিবেশী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাঝে ঝগড়া। বব জো-কে শিক্ষা দেয়ার জন্য একটা কুকুর কিনে আনলো আর তাকে ট্রেনিং দিলো কিভাবে জো-এর বাড়িতে গিয়ে বাথরুম করতে হবে। এমনটা এক বছর চললো কিন্তু জো টুঁ শব্দটি করলো না।

বব এবার একটা গরু কিনে আনলো আর তাকে ট্রেনিং দিলো কিভাবে জো-এর বাড়িতে আর উঠানে বাথরুম করতে হবে। এমনটা এক বছর চললো, গরুটা জো-এর বাড়িঘর দুর্গন্ধময় করে দিলো। কিন্তু জো টুঁ শব্দটি করলো না।

একদিন সকালে আওয়াজ শুনে বব বাইরে এসে দেখলো একটা ১৮ চাকার ট্রাক তার উঠানের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে।

- কি হচ্ছে এসব? জানতে চাইলো বব।

- এটা আমার নতুন পোষা হাতি। জো উত্তর দিলো।

Read more


এরিয়া ৫১

আমেরিকার অতি গোপনীয় এয়ার ফোর্সের আস্তানা এরিয়া-৫১ এর কথা হয়তো অনেকেই জানেন। বাইরের দুনিয়া এটা সম্পর্কে জানেই না বলতে গেলে। কারণ এর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।

হঠাৎ একদিন একটি সেসনা ল্যান্ড করলো এরিয়া ৫১-এ। এয়ারফোর্সের লোকেরা ধরে বেঁধে নিয়ে এলো পাইলটকে।

পাইলট জানালো সে পাশের শহরে উড়ে যাচ্ছিলো, হঠাৎ তার ফুয়েল শেষ হয়ে যাওয়ায় এখানে নেমেছে। এই কথা কি আর এরিয়ার লোকেরা মানবে। তারা তাকে সারারাত জেরা করলো এবং এফবিআই দ্বারা তার পুরো ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করালো। সকালে যখন জানা গেলো যে আসলেই বলা গল্পটা সত্যি এবং সে কোন স্পাই না, তখন তাকে ছেড়ে দেয়া হলো। যাবার আগে তাকে হুমকি দেয়া হলো, যদি কাউকে এরিয়া ৫১ এর কথা বলে, সারাজীবন জেলে পচতে হবে।

পাইলট কথা দিলো সে আর এখানে আসবে না।

পরদিন সেই সেসনা আবার ল্যান্ড করলো একই জায়গায়। এবার প্লেনে দু'জন যাত্রী। এরিয়ার প্রধান রেগেমেগ জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার! কালকেই না সাবধান করে দিয়েছি। আজ আবার আরেকজনকে নিয়ে এসেছো? এবার আর তোমার রক্ষা নেই।

পাইলট বললো, তা তো ঠিক আছে, কিন্তু আমার স্ত্রীকে আপনি একটু বলুন গত রাতটা আমি এখানেই কাটিয়েছি।

Read more


মন খারাপ

এক লোক রেস্টুরেন্টে ঢুকে দেখলো তার বন্ধু মন খারাপ করে এক কোনার টেবিলে বসে আছে।

- কি হয়েছে দোস্ত, মন খারাপ কেন?

- গত জুলাই মাসে আমার মা মারা গেছে। আমাকে ২০,০০০ ডলার দিয়ে গেছে।

- আহা, আমি বুঝি তোমার কষ্ট।

- গত আগস্ট মাসে আমার বাবা মারা গেছে। আমাকে ৫০,০০০ ডলার দিয়ে গেছে।

- ইস, দুই মাসে বাবা-মা দু'জনকেই হারালে। সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায়।

- গত মাসে আমার মামা মারা গেছে, আমাকে ১৫,০০০ ডলার দিয়ে গেছে।

- ইস, সব আত্মীয়রা তোমাকে একে একে ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

- কিন্তু এই মাসে এখন পর্যন্ত কোন ইনকাম হলো না।

Read more


ভালো কাজ

স্বর্গে ঢোকার পথে এক লোক বাধা পেলো। সেইন্ট পিটার বললেন, স্বর্গে যাওয়া এতো সহজ না। পৃথিবীতে ভালো কাজ করে এলে তবেই স্বর্গে যেতে পারবে।

জানতে চাওয়া হলো তার জীবনে সে ধর্মকর্ম করেছে কী না? চার্চে নিয়মিত গেছে কী না।

উত্তর এলো- না।

জানতে চাওয়া হলো সে জীবনে দান-খয়রাত করেছে কী না।

উত্তর এলো- না।

জানতে চাওয়া হলো কাউকে জীবনে সাহায্য করেছে কী না। প্রতিবেশীর খেয়াল রেখেছে কী না।

উত্তর এলো - না।

একটু ডেসপারেট হয়ে সেইন্ট পিটার লোকটার দিকে তাকালেন। ভাবলেন, একে স্বর্গে নিতেই হবে। তিনি জানতে চাইলেন, একটু ভাবো, জীবনে কোন না কোন ভালো কাজ তো করেছো। চিন্তা করো।

লোকটি অনেক চিন্তা করে অবশেষে বললো, একটা বিষয় মনে পড়েছে। একবার আমি একটা গলির সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখি কয়েকটা বাইকে চড়া মাস্তান এক মহিলাকে বিরক্ত করছে। তারা তার পার্স কেড়ে নিয়েছিলো। আমি সাহস করে এগিয়ে গেলাম। ধাক্কিয়ে মাস্তানগুলোকে সরিয়ে মহিলাকে তার ব্যাগ ফেরত দিলাম।

- দারুণ। সেইন্ট পিটার বললেন। তারপর?

- তারপর ঘুরে গিয়ে মুখোমুখি হলাম মাস্তান সরদারের। বললাম, লজ্জা করে না এক মহিলার পেছনে লাগতে? বাবা মা তুলে গালি দিলাম আর গালে থুতু ছিটিয়ে দিলাম।

- বাহ, বেশ ভালো কাজ করেছো তো। কবে ঘটেছে এটা?

- এই তো, দশ মিনিট আগে।

Read more


মাছ ধরার লাইসেন্স

সংরক্ষিত পুকুরে লুকিয়ে মাছ ধরছিলো দুই বন্ধু। হঠাৎ পাহারাদার তেড়ে এলো। তাকে দেখেই এক বন্ধু দিলো দৌড়। পাহারাদারও তার পিছু ধাওয়া করলো।

আধা মাইলমতো গিয়ে ছেলেটি দম নেয়ার জন্য দাঁড়াতেই পাহারাদার তাকে ধরে ফেললো। বললো, তোমার কাছে মাছ ধরার লাইসেন্স আছে?

ছেলেটি পকেট থেকে লাইসেন্স বের করে দিলো। চেক করে পাহারাদার অবাক, আরে বোকা, লাইসেন্স থাকলে তোমার ভয়ের কি? দৌড় দিলে কেন?

ছেলেটি বললো, আমার লাইসেন্স আছে, কিন্তু আমার বন্ধুর তো নেই।

Read more


স্বীকারো

নতুন দম্পতি হানিমুনে গেছে। বাথটাবে গোসল করতে করতে স্বামী ভাবছে, আমার পায়ে তো খুব দুর্গন্ধ হয়। মোজাগুলোর গন্ধ শুঁকলে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বিয়ের আগের দিনগুলোতে নাহয় কোনভাবে ব্যাপারটা চাপা দিয়ে রেখেছি। কিন্তু এখন কি হবে?

ওদিকে বিছানায় শুয়ে স্ত্রী ভাবছে, আমার মুখে তো বিশ্রী দুর্গন্ধ। বিয়ের আগে নাহয় কোনভাবে এটাকে লুকিয়ে রেখেছি। এখন কি হবে?

স্বামী গোসল সেরে মনস্থির করলো যে সে তার খারাপ দিকটা স্ত্রীর কাছে স্বীকার করেই ফেলবে। এই ভেবে সে বিছানায় উঠে স্ত্রীকে এক হাতে জড়িয়ে ধরলো। বললো, জানু, তোমাকে আমার একটা খারাপ দিকের কথা বলবো বলে ভাবছি।

স্ত্রী বললো, আমারও একটা কথা বলার আছে।

স্বামী বললো, তোমারটা আমি জানি, আমার মোজা খেয়ে ফেলেছো তুমি, তাই না?

Read more


উদ্ধার

বিশেষ খবর:
গতকাল দু'সিটের একটি সেসনা বিমান আজিমপুর গোরস্তানে আছড়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সকাল থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তারা প্রায় ৩০০টি দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন এবং আশংকা করছেন আরো মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।

Read more


ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং

সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো প্লেনটি। হঠাৎ ক্যাপ্টেনের গলা শোনা গেলো, সম্মানীত যাত্রীবৃন্দ, ইঞ্জিনে কিছু গোলযোগ দেখা দেয়ায় আমরা ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হচ্ছি। নিচেই সমুদ্রের মধ্যে আশা করি নিরাপদে নামতে পারবো।

- সাগরে হাঙর নেই তো? ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলো এক মধ্যবয়স্কা মহিলা।

- তা আছে, কিন্তু এর জন্য ব্যবস্থাও করা আছে। আপনাদের প্রত্যেকের সিটের পাশে এক বোতল জেলি রাখা আছে। এটা নিয়ে আপনারা সারা হাতে পায়ে মেখে ফেলুন। এয়ারহোস্টেস বললো।

- তাহলে কি হাঙর আমার কাছ থেকে দূরে থাকবে? মহিলার প্রশ্ন।

- না, তারা আপনাকে খাবে ঠিকই, কিন্তু জেলির কারণে ততটা মজা পাবে না।

Read more


ফেরত

প্রফেসর ছাত্রদের ক্লাশ টেস্ট দিয়ে বললেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে তার ডেস্কে জমা দিতে। একে একে পরীক্ষা শেষে সবাই খাতা জমা দিয়ে দিলো। প্রফেসর খেয়াল করলেন একজন তার খাতার সাথে ১০০ ডলারের একটা  নোট স্ট্যাপল করে দিয়েছে। তিনি খাতাটা নিয়ে দেখতে পেলেন লেখা আছে, প্রতি পয়েন্টের জন্য ১ ডলার।

পরদিন খাতা দেখে প্রফেসর খাতা ফেরত দিলেন। সেই ছাত্রটি তার খাতার সাথে ৬৮ ডলার খুচরা ফেরত পেলো।

Read more


চালাক সেলসম্যান

এক সেলসম্যান এক ভদ্রলোককে মাউথওয়াশ বিক্রি করার চেষ্টা করছে।

- স্যার, একটা মাউথওয়াশ নিন। খুব ভালো। মাত্র ২০০ ডলার দাম।

- পাগল নাকি? ভদ্রলোক বললো। এতো দামে মাউথওয়াশ কে কিনবে?

- স্যার, আপনি যদি নেন তাহলে ‌১০০ ডলার রাখবো আপনার খাতিরে। নিন স্যার।

- তোমার কি মাথা খারাপ? ভদ্রলোক বিরক্ত হলো। এতো টাকা কি একটা মাউথওয়াশের দাম নাকি?

একটুও না দমে সেলসম্যান বললো, স্যার আপনাকে অনেক বিরক্ত করেছি। আমার সাথে এক ঢোক ব্রাউনি খান। কোন টাকা লাগবে না।

ভদ্রলোক রাজি হলো আর এক পেগ ব্রাউনি খেয়ে ফেললো। তারপর বললো, আরে, কি বিচ্ছিরি স্বাদ। মুখটা গেলো।

সেলসম্যান এবার বললো, স্যার, একটা মাউথওয়াশ নেন?

Read more


স্ত্রী

এক ভদ্রলোকের স্ত্রী মারা গেলো। ভদ্রলোক খুব কাঁদছে। পাশের বাড়ির এক ভাবি এসে সান্ত্বনা দিচ্ছে - কাঁদবেন না ভাই। কেঁদে আর কী হবে। মানুষতো আর চিরদিন বেঁচে থাকে না।

ভদ্রলোক বললো: ভাবি, যখন আমার মা মারা গেলো, তখন আশেপাশের বয়স্ক মহিলা প্রতিবেশীরা এসে বললো, কেঁদো না, তোমার মা নেই তো কি হয়েছে আজ থেকে আমরাই তোমার মা।

যখন আমার বোন মারা গেলো, তখন আশেপাশের মধ্যবয়স্ক মহিলারা এসে সান্ত্বনা দিয়ে বললো, কেঁদো না, তোমার বোন নেই তো কি হয়েছে, আজ থেকে আমরা তোমার বোন।

কিন্তু আমার বৌ মারা যাবার পর কেউ তো ওরকম সান্ত্বনা দিতে এলো না।

Read more


সিলেটি

এক সিলেটি ভদ্রলোকের সাথে আরেক সিলেটি ভদ্রলোকের দেখা।

১ম জন: এবা গতবছর যে মারা গেছিলাইন, আফনে না আফনের বাই?

২য় জন: আমার বাই।

১ম জন: ইয়ার লেগাইতো খই। তেনারে দেখি, আফনারে দেখিনা খ্যান? ক্যামবাই মারা গেছিলাইন?

২য় জন: সাফে খামরাইছে।

১ম জন: খোনো?

২য় জন: খফালে।

১ম জন : আল্লায় ভাচাইছে। চক্ষু দুইটা ভাইচা গেছে। খনোৎ কবর দিছাইন?

২য় জন: ভাড়ির পেছন, ফুকুর ফাড়ে, গাছতলায়।

১ম জন: বালা খরচাইন, ছায়া ফাইবো, টান্ডা লাগবো। আল্লায় তেনারে বাঁচায়া রাখুক।

Read more


জাঙ্গিয়া

ঢাকার বুদ্দু মিয়া কলকাতায় নয়া গেছে। ঘুরতে ঘুরতে পথে একটা বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো সে। সঙ্গে বন্ধু ছাবেদকে জিজ্ঞেস করলো, দোস্ত দেখছস, কি বোদাইয়ের কাম? এই দ্যাখ, লেখা লাগায়া রাখছে 'গোপাল-এর গেঞ্জি ও জাঙ্গিয়া পরুন'।

- ক' তো দেহি, গোলাপের গেঞ্জি আর জাঙ্গিয়া যদি অন্য কেউ পইরা যায়- ওই হালায় গোলাপে আয়া পিনবো কি?

Read more


গিয়ার চেঞ্জ

পুরান ঢাকার টুলু বেপারির নতুন পয়সা হয়েছে। লেখাপড়া তেমন না জানলেও ব্যবসা বাণিজ্য ভালোই জানে বেপারি। পুরান ঢাকার আগামসি লেনে আলিশান দালান উঠেছে তার। এখন একটা গাড়ি না হলে কি চলে। মহল্লায় তো মান সম্মান থাকে না। ঘিঞ্জি গলিতে গাড়ি ঢুকবে কী না সন্দেহ আছে, তবুও গাড়ি একটা কিনতেই হবে।

কাকরাইলের কার সেন্টারে একটা গাড়ি দেখে পছন্দ হলো টুলু বেপারির। পাড়ার বোচা ড্রাইভারকে নিয়ে সে গাড়ি কিনতে চললো বেশ ঘটা করে।

পাশের বাড়ির মুরুব্বি যাওয়ার সময় বললো: বেপারি, গাড়ি যে কিনবা মগর খুব সাবধানে, আইজকালকার ড্রাইভারগুলা খুব চোর অয়। গাড়ির তেল তো চুরি করেই হালায় যন্তরপাতিবি চুরি কইরা বেইচা ফালায়, সাবধান।

কথাটা বেপারির মাথায় ঢোকে। গাড়ি কিনে ফেরার পথে টুকু বেপারি আয়েশি ভঙ্গিতে ড্রাইভার বোচাকে সে বললো, ওই বোচা, সিটটা ইটটু পিছায়া দে, আরাম কইরা বহি। ওই এউগা গান লাগা।

আচমকা গাড়ি একটু ঝাঁকুনি খায়। বেপারি প্রশ্ন করলো, আব্বে হালায় নয়া গাড়ি, ফাল পাড়ে ক্যালা?

ড্রাইভার বললো: না ফাল পাড়ে না, গাড়ির গিয়ার চেঞ্জ করলাম আর কি।

কথাটা শুনেই আচমকা বেপারি চেঁচিয়ে ওঠে, আমি গাড়িত বইয়া রইছি আর আমার সামনেই তুই গাড়ির গিয়ার চেঞ্জ কইরা ফালাইছস? হালার জানা, আমি গাড়িত না থাকলে তো তুই পুরা গাড়িই চেঞ্জ কইরা ফালাইবি। নাম, নাম হালায় গাড়িত্থে নাম। যা সিদা ভাগ। চোর হালায়.......

Read more


কবিতা

এক হলে বিশাল কবিতা প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে সারাদেশ থেকে ছোট বড়, নামী দামী কবিরা অংশগ্রহণ করে কবিতা পাঠ করছে। দর্শক শ্রোতা বোদ্ধাদের তালি হইচই।

হঠাৎ দেখা গেলো ঢাকাইয়া এক নব্য কবি মাথায় ইয়া ঝাঁকড়া বাবরি দোলানো বিদ্রোহী কবি নজরুল গোছের চুল ময়লা ইস্ত্রি বিহীন ভাঁজপড়া পাঞ্জাবি, কাঁধে কবি কবি ভাবের ব্যাগ ঝোলানো মঞ্চে উঠে এলো।

দর্শক শ্রোতা সবাই উন্মুখ ভালো কোন কবিতা তার কাছ থেকে শোনার জন্য। কবি তার কবিতা খুঁজে পাচ্ছে না - ঝোলা ব্যাগ হাতাচ্ছে। পকেট হাতিয়ে অবশেষে একটা দলানো মোচড়ানো কাগজ বের করে থেমে থেমে পড়া শুরু করলো: দু'টো ছেঁড়া-ফাড়া পাঞ্জাবি, একটি পুরনো শাড়ি, একটি পায়জামা ও ছোট্ট শিশুর দু'টি শার্ট....

বলেই কবি ইতস্তত ভাবে নেমে যাচ্ছে আর বিচারক মন্ডলীর টেবিল থেকে তখন 'বাহবা বাহবা' বলে টেবিল চাপড়ানোর রব উঠলো। দর্শক শ্রোতা না বুঝেই বাহ বাহ করে তুমুল করতালিতে ফেটে পড়লো। মিডিয়ার লোকজন, টিভি রিপোর্টাররা মাইক নিয়ে তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো। ছবির পর ছবি তুলতে লাগলো।

একজন প্রশ্ন করলো, কবি হোসাইন মুহাম্মদ বিষাদ, এই যে পৃথিবী জুড়ে এখন যুদ্ধ সন্ত্রাস হানাহানি, শোষণ, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, সংকট সংশয় এ সময় আপনি এই তৃতীয় বিশ্বের এতো নিগূঢ় সমস্যা টানাপোড়েন কিভাবে কবিতায় তুলে আনলেন?

কবির উত্তর: আরে দূর মিয়ারা, আমিতো ভুলে কবিতা না আইনা হালায় লন্ড্রির স্লিপখানা পকেটে লয়া আয়া পড়ছি। ভাই আমারে মাফ কইরা দেন।

Read more


ফকির

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর এপারে সোয়ারিঘাট, ওপারে আটি, বছিলা, খোলামোড়ার উদ্দেশে চলাচল করে ছোট ছোট লঞ্চবোট। এক বোটে ভিক্ষুক ছিলো এক লেঙড়া, এক কানা ও এক লুলা। যাহোক কানা ভিক্ষুক ভিক্ষা করতে করতে এক কোনে বসে থাকা লেঙড়া ভিক্ষুকের উপর পা দিয়ে পাড়া দিয়ে দিলো।

লেঙড়া ফকির রেগে গিয়ে বললো: ওই হালা কানারজানা, আমার উপরে পাড়া দিলি কেন? চোখে দেখচনা? এক লাত্থি দিয়া পানিতে হালায়া দিমু। (উল্লেখ্য যে এই ফকিরের একটা পা-ও নেই)।

যা হোক, এই কথা শুনে এগিয়ে এলো লুলা (যার একটা হাতও নেই): দে হালারে পানিতে হালায়াদে - কেস মামলায় কুটি টেকা লাগলে আমি দিমু। হালায় এই কানাডার লেগা ভিক্ষা পাইনা আমরা।

Read more


চিড়া মুড়ি

ঢাকার এক ভদ্রলোক প্রথম কোলকাতায় গেছেন। নতুন জায়গা জলবায়ু, খাবার দাবারের পরিবর্তন ও উল্টাপাল্টা খাওয়ায় তার লুজ মোশন হয়ে গেলো। ওষুধের দোকানে কেউ ওষুধ দিচ্ছে না প্রেসকিপশন ছাড়া। তার এক সঙ্গী বললো, দোস্ত, এক কাম কর, তুই ভাতটাত আর খাইচ না, চিড়া ভিজায়া, কলা-গুড়-চিনি দিয়া খা। পেটটা ঠাণ্ডা থাবো, ডিসেন্ট্রি বন্ধ অইবো।

বন্ধুর কথামতো ভদ্রলোক হোটেলের কাছাকাছি খোঁজাখুঁজি করে একটা মুদি দোকানে গিয়ে বললো, এই যে ভাই, চিড়া আছে? এক পোয়া চিড়া দেন তো।

দোকানি তার কথা বুঝতে না পেরে বললো, কি বলছেন দাদা?

ভদ্রলোক: চিড়া, চিড়া চাইছি, আছে?

দোকানি একটু অবাক হয়ে: চি-ড়া, চিড়া কি দাদা?

ভদ্রলোক বিরক্ত হয়ে, আরে চিড়া-চিড়া, চিড়া চিনলেন না, আরে ওই যে, ভাত রাইন্দা, চেপ্টা কইরা হুকায়া রাখে যে।

দোকানি একটু ইতস্তত ভঙ্গিতে বললো: ভাত রেঁধে..... চেপ্টা করে.... শুকিয়ে রাখে? এ যে চিড়ে, (চিড়ার বয়াম দেখিয়ে) এই চিড়ে চাচ্ছেন মশাই?

ভদ্রলোক: আরে হ..... এইটাইতো চিড়া।

দোকানি: তা কতটুকু দিবো।

ভদ্রলোক: এক পা দেন।

দোকানি: ও, বুঝেছি, আড়াইশো। আর কি দিবো?

ভদ্রলোক: কেলে আছে, কেলে?

দোকানি: কে-লে! কেলে আবার কি দাদা?

ভদ্রলোক দোকানের ভেতরে ঝুলে থাকা কলার কাঁদির দিকে ইশারা করলেন: ওইযে কেলে।

দোকানি বিস্ময়ের সঙ্গে বললো: ওটা কেলে না মশাই, ওটাকে কলা বলে, কলা।

এবার ঢাকাইয়া ভদ্রলোক বললেন: আরে মশাই, চিড়া যদি চিড়ে অয় তাইলে কলা কেন কেলে অইবো না?

Read more


বার বার ৩ বার

এক কৃষক নতুন বিয়ে করা বউকে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে গীর্জা থেকে বাড়ি ফিরছিলো। রাস্তার মাঝে হঠাৎ ঘোড়াটা একটু পা মচকালো।

কৃষক বললো, 'একবার'।

আরেকটু যেয়ে ঘোড়াটার আবার পা মচকালো।

কৃষক বললো, 'দুইবার'।

আরেকটু যেতেই ঘোড়া তৃতীয়বারের মতো খোঁড়ালো।

এবার কৃষক মুখে কিছু বললো না। ওয়াগনের পেছন থেকে দোনলা বন্দুকটা বের করে ঘোড়াটাকে গুলি করে দিলো।

নতুন বিয়ে করা বউ তা দেখে ভয়ে চেঁচিয়ে উঠলো, 'এ কী করলে তুমি!'

কৃষক বললো, 'একবার'।

Read more


পাপ?

এক আইরিশ মেয়ে গীর্জার ফাদারের কাছে গিয়ে দোষ স্বীকারোক্তি দিচ্ছিলো, 'ফাদার, আমার জন্য প্রার্থনা করুন, আমি পাপ করেছি।'

'তুমি কি করেছো, বালিকা?'

মেয়েটি বললো, 'ফাদার, আমি অহংকারের পাপ করেছি। প্রতিদিন আমি আয়নায় নিজেকে দেখি আর মনে মনে বলি আমি কতো সুন্দর।'

ফাদার মেয়েটিকে ভালো করে দেখে বললেন, 'এটা পাপ নয়, বালিকা। এ তো তোমার ভুল ধারণা।'

Read more


আশা-ভরসা-কনফিডেন্স

কনফিডেন্স

একদিন গ্রামবাসীরা মিলে ঠিক করলো তারা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করবে।

সবাই সময়মতো মাঠে হাজির হলো। শুধু একটি ছেলে ছাতা নিয়ে এলো। একেই বলে কনফিডেন্স।


ভরসা

ভরসা হওয়া উচিত এক ছোট বাচ্চার মতো যাকে তুমি শুন্যে ছুঁড়ে দিলেও সে হাসে..... কারণ সে জানে তুমি তাকে ঠিকই লুফে নিবে।


আশা

প্রতিদিন আমরা ঘুমাতে যাই কিন্তু পরদিন জেগে উঠবো কী না তার কোন ঠিক নেই।

তারপরও আমরা পরেরদিনের জন্য কত প্ল্যান করে রাখি।

Read more


স্ত্রীকে খোঁজা

সুপারমার্কেটে এক ব্যক্তি এক খুব সুন্দরী মেয়েকে গিয়ে বললো, আমি আমার স্ত্রীকে মার্কেটের ভিড়ে হারিয়ে ফেলেছি। তুমি কি আমার সাথে দু'মিনিট কথা বলবে?

'কেন?' মেয়েটি অবাক হলো।

'কারণ, যখনই আমি কোন সুন্দরী মেয়ের সাথে কথা বলি, আমার স্ত্রী কোত্থেকে যেন উদয় হয়।'

Read more


কুমিরের ভয়

ফ্লোরিডার তীরে মাছ ধরতে গিয়ে এক টুরিস্ট তার নৌকা উল্টে ফেললো। জায়গাটা ছিলো তীর থেকে একটু দূরেই। কোনমতে একটা শৈবাল পাথরে আশ্রয় নিয়ে সে তীরে যাবার উপায় খুঁজতে লাগলো। কুমিরকে সে ভীষণ ভয় পেতো। যদি পানিতে কুমির থাকে, এই ভয়ে সে কয়েক ঘন্টা সেখানে আটকে রইলো।

অনেকক্ষণ পর এক সমুদ্রতীর-পুলিশকে দেখা গেলো তীরের কাছে। তাকে ডেকে টুরিস্ট জিজ্ঞেস করলো, তোমাদের এই তীরের কাছে কেমন কুমির আছে?

- নাহ, অনেক বছর ধরেই এখানে কুমির নেই। জবাব দিলো পুলিশ।

নিরাপদ বোধ করায় লোকটি তীরের দিকে সাঁতরাতে লাগলো। অর্ধেক পথ এসে সে আবার জানতে চাইলো, তোমরা কুমিরগুলোকে কিভাবে খতম করলে?

পুলিশ বললো, আমরা কিছু করিনি। হাঙ্গরের পাল ওদের খেয়ে ফেলেছে।

Read more


মদ্যপান

এক আইরিশ ডাবলিনের এক বারে এসে তিন পেগ মদ নিয়ে এক কোনায় বসলো। তারপর একে একে তিনটা পেগ একাই খেয়ে নিলো। আরেক দফা বারটেন্ডারের কাছে আসতেই বারটেন্ডার বললো, এই মদ ছোট পেগে খেয়ে মজা কম। যদি তিনটার বদলে একটা বড় পেগ নিতে তাহলে আরো মজা পেতে।

লোকটি হেসে বললো, আসলে আমরা তিন ভাই কাজের প্রয়োজনে তিন দেশে অবস্থান করছি। আমরা আলাদা হবার আগে ঠিক করেছিলাম, যেখানেই থাকি, প্রত্যেকেই আমরা এক পেগ করে প্রত্যেকের তরফ থেকে খাবো এবং পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করবো।

বারটেন্ডার স্বীকার করলো এটা খুবই ভালো জিনিস। এতে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্পর্ক ভালো থাকবে।

এভাবে আইরিশ লোকটা প্রতিদিন বারে আসতো আর তিন পেগ করে মদ খেতো। বারের নিয়মিত সবাই তার কাহিনী শুনেছিলো বলে সবাই এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই দেখতো।

একদিন বারে ঢুকে লোকটি বললো, আমাকে দুই পেগ দাও। কথাটা বলামাত্র বারে পিনপতন নিস্তব্ধতা নেমে এলো। বারটেন্ডার মলিন মুখে তাকে তিন পেগ ঢেলে দিতে দিতে বললো, তোমার ভাইয়ের মৃত্যুতে আমিও গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার বিদেহী আত্মার মুক্তি কামনা করি।

কি হয়েছে বুঝতে লোকটি একটু সময় নিলো। তারপর হাসি ফুটে উঠলো তার চেহারায়, আরে না, তোমরা যেটা মনে করছো তেমন নয়। আমার ভাইয়েরা ঠিকই আছে। আজ থেকে আমি মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।

Read more


কন্ট্যাক্ট লেন্স

বাড়ির সামনে বাস্কেটবল খেলতে গিয়ে এক কিশোর তার এক চোখের কন্ট্যাক্ট লেন্স হারিয়ে ফেললো। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও সে যখন সেটা পেলো না তখন তার মাকে গিয়ে ব্যাপারটা জানালো।

তার মা এবার বাইরে খুঁজতে গেলো এবং দুই মিনিটের মাথায় কন্ট্যাক্ট লেন্সটা খুঁজে নিয়ে এলো।

- মা, তুমি কিভাবে খুঁজে পেলে?

- আমরা তো একই জিনিস খুঁজছিলাম না। তুমি খুঁজছিলে একটুকরা প্লাস্টিক আর আমি খুঁজছিলাম ১৫০ ডলার।

Read more


মেয়েলী ডিকশনারী

হ্যাঁ - না।

না - হ্যাঁ।

হয়তো - না।

আমি দু:খিত - তোমার খবর আছে।

আমাদের দরকার - আমি চাই।

যা মনে চায় করো - পরে এর জন্য তোমাকে ভুগতে হবে।

আমাদের কথা বলা দরকার - আমার অভিযোগ শোন।

ঠিক আছে, করো - আমি চাই না তুমি করো।

আমি আপসেট না - অবশ্যই আমি আপসেট, গবেট।

এই কিচেনে কাজ করা যায়? - আমার নতুন বাড়ি দরকার।

জানালার জন্য পর্দা কিনতে হবে - সেই সাথে, ম্যাচ করা কার্পেট, ফার্নিচার আর ওয়ালপেপার।

একটা আওয়াজ শুনলাম মনে হলো - তুমি মনে হয় ঘুমিয়ে যাচ্ছো?

তুমি কি আমাকে ভালোবাসো? - আমি তোমার কাছ থেকে দামী কিছু চাইতে যাচ্ছি।

তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাসো? - আজকে এমন কাজ করেছি যা তুমি মনেপ্রাণে অপছন্দ করো।

এক মিনিটে রেডি হয়ে আসছি। - জুতা খুলে টিভিতে কোন প্রোগ্রাম দেখতে থাকো।

কথাবার্তা তোমার আরো ভালো করে শেখা উচিত। - আমার কথা মেনে নাও।

Read more


ল্যারির বার

এক লোক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে বললো, ডাক্তার, আমার স্ত্রী আমাকে লুকিয়ে অন্যদের সাথে মেশে। প্রতিদিন সে ল্যারির বারে যায়। যেই তাকে ডাকে তার সাথেই সে শোয়। এসব ভেবে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আপনিই বলুন আমি কি করতে পারি?

ডাক্তার বললো, শান্ত হও, আমি দেখছি কি করা যায়। তার আগে বলো তো, ল্যারির বারটা কোথায়?

Read more


সাহায্য

টিচার ক্লাসে এ্যাসাইনমেন্ট দিলেন গত সপ্তাহে কি অস্বাভাবিক ঘটেছে তা নিয়ে লিখতে।

ছোট্ট জন লিখলো, আব্বু গত সপ্তাহে বাসার সামনের কুয়ায় পড়ে গেছেন।

টিচার এ পর্যন্ত পড়ে বললেন, তোমার আব্বু এখন ভালো আছেন?

ছোট্ট জন উত্তর দিলো, মনে হয়। গতকাল থেকে কুয়া থেকে তার চিৎকার আর শোনা যাচ্ছে না।

Read more


গনোরিয়া

- ডাক্তার, আমার ছেলের মনে হয় গনোরিয়া হয়েছে। ফোনে এক রোগী তার ডাক্তারকে ফোন করলো। বাড়ির কাজের মেয়ের সাথেই সে একমাত্র আকামটি করেছে।

- ঠিক আছে, ও তো একটা বাচ্চা। ওর সাথে খারাপ আচরণ কোরো না। ডাক্তার বললো। ওকে চেম্বারে নিয়ে এসো। সব ঠিক হয়ে যাবে।

- কিন্তু ডাক্তার। আমিও তো ওই কাজের মেয়ের সাথে উল্টাপাল্টা করেছি। আমারও মনে হয় গনোরিয়া হয়েছে।

- তাহলে তুমিও চলে এসো। দু'জনের চিকিৎসা এক সাথে করে দেই।

- ডাক্তার, আমার স্ত্রীর-ও যে গনোরিয়া আছে।

- শয়তানের বাচ্চা। ডাক্তার চেঁচিয়ে উঠলো। তার মানে আমারও গনোরিয়া হয়েছে।

Read more


গরিলা

এক মহিলা নাস্তা খাবার সময় খেয়াল করলো এক ভয়ানক গরিলা তার বাগানে এসে তর তর করে একটা পাম গাছে চড়ে বসলো। ভয়ে মহিলা গরিলা ধরার লোকদের ফোন দিলো।

একটু পরেই এক লোক ট্রাকে করে হাজির। সে মহিলাকে অভয় দিয়ে বললো যে তার কাছে গরিলা ধরার সকল সরঞ্জাম আছে, তাই ভয়ের কিছু নেই।

সে তার ট্রাকের পেছন থেকে একটা মই, শটগান, লম্বা লাঠি, হাতকড়া আর একটা কুকুর বের করলো।

মহিলা তো অবাক, এতো জিনিস দিয়ে কি হবে?

লোকটি ব্যাখ্যা করলো, আমি মই গাছে পেতে উপরে উঠবো। তারপর লাঠি দিয়ে গরিলাকে খোঁচা দিবো। এতে গরিলা নিচে পড়ে যাবে। নিচে পড়তেই আমার ট্রেনিং পাওয়া কুকুর গরিলার নিম্নাঙ্গে কষে একটা কামড় দিবে যার ফলে গরিলা অল্প সময়ের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। তারপর ওটাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যাবো।

মহিলা বললো, তাহলে শটগানটা কি কাজের?

লোকটি বললো, ওটা আপনার জন্য। যদি গরিলার বদলে আমি নিচে পড়ে যাই, আপনি কুকুরটাকে গুলি করবেন।

Read more


নাম?

বারে এক মেয়ের সাথে এক লোকের কথা হচ্ছে।

লোক: তোমার নাম কি?
মেয়ে: কারমেন।
লোক: সুন্দর নাম। তোমার মা এই নাম রেখেছে?
মেয়ে: না আমিই রেখেছি। আমি কার (গাড়ি) পছন্দ করি আর মেন (পুরুষ) পছন্দ করি, তাই। তোমার নাম কি?
লোক: মদমেয়ে।

Read more


অব্যবহৃত

লম্বা ট্যুর শেষে স্ত্রী বাড়িতে ফিরেই দেখতে পেলো তার স্বামী এক সুন্দরী তরুণীর সাথে বিছানায়। রাগে দু:খে বাড়ি থেকে বের হবার মুহূর্তে স্বামী তাকে থামালো।

বললো, যাওয়ার আগে শুনে যাও কিভাবে এমনটা হলো। বাড়িতে ফেরার পথে দেখলাম এই হতদরিদ্র মেয়েটা ক্লান্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। তাকে গাড়িতে লিফট দিলাম। তার খুব খিদে পেয়েছিলো, তাই তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে কিছু খাবার দিলাম যেটা তুমি ভুলো ফ্রিজে অনেকদিন ফেলে রেখেছিলে। তার জুতো জোড়া ছেঁড়া দেখে তোমার এক জোড়া জুতো দিলাম যা তুমি ফ্যাশন নেই বলে পরো না। তার জামা ছিঁড়ে গিয়েছিলো, তাই তাকে তোমার নতুন জন্মদিনের সোয়েটারটা দিলাম যেটার কালার তোমার পছন্দ না বলে পরো না। তারপর সে যখন চলে যাচ্ছিলো, শেষ মুহূর্তে সে জানতে চাইলো, বাড়িতে আর এমন কি আছে যেটা তোমার স্ত্রী ব্যবহার করে না।

তারপরই ও আর আমি একসাথে বিছানায়।

Read more


ট্যাক্সি ড্রাইভার

ছোট মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্ক শহরে ঘুরতে এসেছে মা। ট্যাক্সির জন্য মা অপেক্ষা করছিলো। এমন সময় মেয়ে দেখলো উদ্ভট জামা পরে কড়া মেকআপ করে কিছু মেয়ে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলো।

এমন সময় একটা খালি ট্যাক্সি পেয়ে মা-মেয়ে উঠে পড়লো। মেয়েটি তার মা-কে জিজ্ঞেস করলো, মা, ওই মেয়েগুলো কারা?

মা তো আর আসল কথা বলতে পারে না, তাই বললো, ওরা ওদের স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছে। অফিস ছুটির পর ওদের স্বামীরা ওদের বাসায় নিয়ে যাবে।

ট্যাক্সি ড্রাইভার ঘাড় ঘুরিয়ে বললো, কাম অন, ম্যাম। বাচ্চাকে সত্যি কথা বলুন। ওরা আসলে বেশ্যা।

এক মুহূর্ত চুপ থেকে মেয়েটি জানতে চাইলো, মা, ওই বেশ্যাদেরও কি বাচ্চা হয়?

মা উত্তর দিলো, অবশ্যই হয়। নাহলে ট্যাক্সি ড্রাইভারগুলো আসে কোত্থেকে, বলো তো?

Read more


৩ জন

এক লোক ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো, ডাক্তার, আমি একটা ঝামেলায় পড়েছি। শুক্রবারে আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডেট আছে, শনিবার আমার সাবেক স্ত্রী আসছে আর রবিবার আমার স্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে আসছে। তাদের প্রত্যেককে সন্তুষ্ট করার জন্য আমাকে ৩টি ভায়াগ্রা দিন।

ডাক্তার বললো, তোমার বয়সের লোকের জন্য পরপর তিনদিন তিনটি ভায়াগ্রা খুব বিপদজনক। তোমাকে এক শর্তে দিতে পারি, তুমি সোমবারে এসে তোমার শারীরিক অবস্থা চেক করিয়ে যাবে।

লোকটি রাজি হলো। ডাক্তার তাকে ভায়াগ্রা দিয়ে দিলো।

সোমবার লোকটা ডাক্তারের কাছে এলো। তার ঘাড়ের সাথে ব্যান্ডেজ বাঁধা হাত ঝুলছিলো।

ডাক্তার অবাক, কি হয়েছে তোমার?

লোকটা উত্তর দিলো, ৩ জনের একজনও আসেনি।

Read more


বিল পরিশোধ

বিয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে জন ও জেনি দুই সপ্তাহের জন্য অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। প্লেনে হঠাৎ ক্যাপ্টেনের গলা শোনা গেলো, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, আপনাদের একটা খুব খারাপ সংবাদ দিতে হচ্ছে। প্লেনের ইঞ্জিন কাজ করছে না তাই ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হচ্ছি। ভাগ্য ভালো যে আমাদের নিচেই একটা অজানা দ্বীপ দেখা যাচ্ছে যেখানে আমরা ল্যান্ড করতে পারি। তবে দু:খজনক ব্যাপার হচ্ছে আমাদেরকে কেউ হয়তো এখানে খুঁজে পাবে না।

ক্যাপ্টেনের দক্ষতায় প্লেন ঠিকমতোই দ্বীপে ল্যান্ড করলো। সবাই খুব মনমরা যে আর কখনো তারা লোকালয়ে ফিরে যেতে পারবে না।

জন কিছুক্ষণ পায়চারি করে জেনির কাছে ফিরে এলো, জেনি, তুমি কি মর্টগেজের ৫,০০০ ডলার পরিশোধ করেছিলে?

জেনি বললো, সরি জন, আমি তো ভুলেই গেছি।

জন তারপর জানতে চাইলো, তুমি কি আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডের ক্রেডিট শোধ করেছিলে?

জেনি বললো, সরি জন, আমি তো ভুলেই গেছি।

জন আবার বললো, আরেকটা কথা বলো তো, তুমি কি ভিসা আর মাস্টারকার্ডের ক্রেডিট শোধ করেছিলে?

জেনি দু:খের সাথে বললো, সরি জন, একদমই মনে ছিলো না।

আনন্দে আত্মহারা হয়ে জন জেনিকে জড়িয়ে ধরে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় কিস দিলো।

জেনি তো অবাক, কি হয়েছে তোমার?

জন উত্তর দিলো, ঐ কোম্পানিগুলোই আমাদের খুঁজে নেবে এখান থেকে।

Read more


নামের খেলা

ক্লাস ওয়ানে প্রাণীদের নাম শেখানো হচ্ছে।

টিচার একটা বিড়ালের ছবি দেখিয়ে জানতে চাইলেন, বলো তো, এটা কিসের ছবি?

একজন উত্তর দিলো, বিড়াল।

টিচার বললেন, ভেরি গুড। এবার বলো তো এটা কিসের ছবি?

আরেকজন উত্তর দিলো, কুকুর।

টিচার বললেন, ভেরি গুড।

এবার হরিণের (ডিয়ার) ছবি দেখিয়ে বললেন, বল তো এটা কিসের ছবি?

সবাই চুপ। টিচার বললেন, এটা হচ্ছে তোমার মা তোমার বাবাকে যা বলে ডাকে।

এবার এক ছাত্র হাত তুললো, 'মুখপোড়া মিনসে', ম্যাম।

Read more


দ্বিগুণ

এক লোক সমুদ্রতীরে হাঁটতে হাঁটতে একটা পুরনো কুপি খুঁজে পেলো। ঘষতেই সেটা থেকে বেরিয়ে এলো এক জ্বিন।

জ্বিন বললো, হুকুম করুন মালিক। আপনার তিনটি ইচ্ছা আমি পূরণ করবো। তবে এতে একটা ব্যাপার আছে।

লোকটি জানতে চাইলো, কি?

জ্বিন বললো, আপনি যা-ই চাইবেন, আপনার প্রতিবেশী তার দ্বিগুণ পাবে।

লোকটি তার প্রতিবেশীকে দু'চোখে দেখতে পারতো না। তারপরও নিজে তো অন্তত পাবে এই ভেবে সে তার প্রথম ইচ্ছার কথা বললো, আমি একটা ফেরারি গাড়ি চাই।

জ্বিন বললো, আপনার বাড়ির গ্যারেজে একটা ফেরারি গাড়ি রেডি হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার প্রতিবেশী পেয়েছে দুইটি ফেরারি।

লোকটি বললো, ঠিক আছে, আমি এবার চাই ১ কোটি টাকা।

জ্বিন বললো, আপনার একাউন্টে ১ কোটি টাকা জমা হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার প্রতিবেশী পেয়েছে ২ কোটি টাকা।

লোকটি এবার তার তৃতীয় ও শেষ ইচ্ছা বললো, আমি আমার একটা কিডনি দান করতে চাই।

Read more


মাথাব্যথা

দীর্ঘদিন ধরে জো মাথাব্যথায় ভুগছিলো। অনেক ডাক্তার দেখানোর পরও তা সারছিলো না। একদিন এক নতুন ডাক্তারকে দেখানোর পর ডাক্তার বললো, তোমার মাথাব্যথার কারণটা আমি ধরতে পেরেছি। তোমার অন্ডকোষ মাঝে মাঝে চাপ খেয়ে মেরুদন্ডে প্রেশার সৃষ্টি করে যার ফলে তোমার মাথাব্যথা হয়। তোমার একটাই উপায় আর তা হলো অপারেশন করে অন্ডকোষ ফেলে দেয়া।

জো অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর ভাবলো মাথাব্যথা থেকে তাকে বাঁচতেই হবে। সে অপারেশনে রাজি হলো।

অপারেশন হবার পর তার মনে হতে লাগলো যে সে একটা নতুন মানুষে পরিণত হয়েছে। হাঁটা চলায় কেমন যেন অদ্ভূত মনে হচ্ছিলো। একটা কাপড়ের দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় সে ভাবলো নতুন জামা ট্রাই করা যাক। এতে মন খারাপ কিছুটা হলেও কমবে।

দোকানদারকে গিয়ে জো বললো, আমার একটা নতুন স্যুট দরকার।

দোকানদার বললো, স্যার, আপনি এই ৪৪ সাইজ ট্রাই করুন।

জো অবাক হলো, আপনি কিভাবে জানলেন আমার ৪৪ সাইজ লাগে।

দোকানদার বললো, এটা জানাই তো স্যার আমার কাজ।

জো দেখলো স্যুটটা দারুণ ফিট হয়েছে। দোকানদার পেছন থেকে বললো, নতুন শার্ট ট্রাই করবেন, স্যার?



জো রাজি হলো। দোকানদার বললো, আপনার হাতা ৩৪....... ১৬ এবং অর্ধেক ঘাড়। জো অবাক হলো, আপনি কিভাবে জানলেন?

দোকানদার বললো, এটা জানাই তো স্যার আমার কাজ।

জো শার্ট ট্রাই করলো এবং পারফেক্ট ফিট হলো। দোকানদার বললো, স্যার আমাদের এখানে নতুন ভালো জুতা আছে। ট্রাই করবেন?

জো রাজি হলো। দোকানদার বললো, স্যার আপনার সাড়ে নয় সাইজ লাগবে।

জো অবাক হলো, কিভাবে জানলেন?

দোকানদার বললো, এটা জানাই তো স্যার আমার কাজ।

জুতাও সুন্দরভাবে ফিট হলো।

দোকানদার বললো, স্যার আমাদের এখানে সুন্দর আন্ডারওয়্যার আছে। ট্রাই করবেন?

জো রাজি হলো।

দোকানদার বললো, স্যার, আপনার ৩৬ সাইজ লাগবে।

জো বললো, হয়নি। আমি গত ৫ বছর ধরে ৩৪ সাইজ সুন্দরমতো পরে আসছি।

দোকানদার বললো, স্যার, যদি ৩৪ সাইজ পরেন, তাহলে আপনার অন্ডকোষ চাপ দিয়ে মেরুদন্ডে প্রেশার সৃষ্টি করবে এবং এর ফলে আপনার মারাত্মক মাথাব্যথা হতে পারে।

Read more


বিল ও হিলারি ক্লিনটন

হিলারি ক্লিনটন এবং এটর্নি জেনারেল জেনেট রেনো টিপিক্যাল মেয়েলি কথাবার্তা বলছিলো।

হিলারি ক্লিনটন বলতে লাগলো কিভাবে পুরষরা মেয়েদের বিরক্ত করে। তারা সেক্স ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না। এজন্য বাধ্য হয়ে বিলের সাথে সম্পর্ক করতে হয়েছে। তবে সেও আমাকে যখন তখন সেক্সের জন্য বিরক্ত করে।

জেনেট বললো, আমার চেহারা ভালো না বলে মনে কোরো না পুরুষরা আমাকে বিরক্ত করে না। তবে তাদের ভাগানোর ওষুধও আছে আমার কাছে।

হিলারি জানতে চাইলো, কিরকম?

জেনেট বললো, যখন কোন পুরুষ আমাকে পাবার জন্য বিরক্ত করে তখন আমি কষে একটা বায়ু নির্গমণ করি। আওয়াজ পেয়ে ভয়ে সেই লোক ভেগে যায়।

হিলারি ভাবলো বিল তাকে রাত্রে বিরক্ত করলে এই সিস্টেম কাজে লাগাবে।

যথারীতি রাতে বিল ক্লিনটন শুয়ে আছে। অন্ধকার ঘরে হিলারি ঘুমাতে এলো। তার উপস্থিতি টের পেয়ে বিল তার মনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য নড়াচড়া শুরু করলো। হিলারি সারাদিন ধরে এ জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। সে পেটের সকল গ্যাস একত্র করে খুব জোরে বায়ুদূষণ করলো।

ক্লিনটনের অবাক গলা শোনা গেলো, জেনেট, তুমি নাকি?

Read more


স্বীকারোক্তি

এক বিবাহিত লোক পাদ্রীর কাছে স্বীকারোক্তি করতে গেলো, ফাদার, এক মেয়ের সাথে আমার 'প্রায়' এ্যাফেয়ার হয়ে গিয়েছে।

- 'প্রায়' মানে কি? ফাদার জানতে চাইলো।

- মানে আমরা কাপড় খুলো একটু ঘষাঘষি করেছি। কিন্তু তারপর আর কিছু করিনি।

- ঘষাঘষি করা আর মূল কাজ করা একই ব্যাপার। পাদ্রী ব্যাখ্যা করলো। ওই মেয়ের ধারে কাছেও আর যাবে না। এখন পাপমুক্তির জন্য মা মেরির বন্দনা করো আর দান বাক্সে ৫০ ডলার ফেলো।

লোকটি স্বীকারোক্তি দিয়ে প্রার্থনা করলো তারপর দান বাক্সের কাছে গিয়ে একটু থেমে ফিরে এলো।

পাদ্রী বললো, আমি সব দেখেছি.... তুমি টাকা ভেতরে না ফেলে হাতে ঘষেছো শুধু।

লোকটি বললো, ফাদার, আপনিই তো বললেন, ঘষা আর মূল কাজ একই জিনিস।

Read more


ট্র্যাজেডি

আমেরিকার সিনেটর জন কেরি একটি প্রাইমারি স্কুল ভিজিটে গেলেন। একটি ক্লাশে ঢুকে তিনি দেখলেন সেখানে শব্দের অর্থ পড়ানো হচ্ছে।

ক্লাশ টিচার সিনেটরকে অনুরোধ করলেন কিছু বলার জন্য। সিনেটর তাদেরকে কিছুক্ষণ 'ট্র্যাজেডি' শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করলেন। তারপর সবার কাছে জানতে চাইলেন, তোমাদের মধ্যে কি কেউ আমাকে ট্র্যাজেডির একটা উদাহরণ দিতে পারবে?

একজন ছাত্র হাত তুলে বললো, আমার এক বন্ধুর একটি খামারবাড়ি আছে। যদি তার ক্ষেতের ট্রাকটর তাকে পিষে মেরে ফেলে সেটা কি ট্র্যাজেডি হবে?

সিনেটর বললেন, না, এটা বরং 'এ্যাকসিডেন্ট'।

দ্বিতীয় আরেকজন বললো, যদি একটা স্কুল বাস ৫০ জন বাচ্চাকে নিয়ে পাহাড় থেকে পড়ে যায়, সেটা কি ট্র্যাজেডি হবে?

সিনেটর বললেন, না, বরং একে আমরা 'অপূরণীয় ক্ষতি' বলবো।

এরপর সবাই চুপ। সিনেটর তাদের সাহস দিলেন, আর কেউ কি নেই যে আমাকে সঠিক উদাহরণ দিতে পারবে?

শেষ বেঞ্চ থেকে একজন হাত তুললো। বললো, যদি সিনেটর মি. জন কেরি একটা প্লেন দিয়ে যাবার সময় একটা মিসাইল প্লেনে আঘাত করে এবং প্লেনটা টুকরা টুকরা হয়ে যায়, সেটা কি ট্র্যাজেডি হবে?

ফ্যানটাসটিক- বললেন সিনেটর, একদম ঠিক উদাহরণ দিয়েছো। তুমি কি ব্যাখ্যা করতে পারবে এটা কেন ট্র্যাজেডি?

ছাত্রটি উত্তর দিলো, কারণ এটা নিশ্চিতভাবেই 'অপূরণীয় ক্ষতি' না, আর কোনভাবে 'এ্যাকসিডেন্ট' তো নয়-ই। সুতরাং এটা ট্র্যাজেডিই হবে।

Read more


কোকের লেক

দুই বাঙালি লেকে মাছ ধরছিলো। একজনের বড়শিতে একটা পুরনো বোতল উঠে এলো। বোতলটা ধরতেই একটা জ্বিন এসে বললো, বলুন মালিক, আপনার একটি ইচ্ছা আমি পূরণ করবো।

যে বোতলটি পেয়েছিলো তার খুব কোকাকোলা খাবার শখ ছিলো। সে বললো, এই পুরো লেকটাকে কোক দিয়ে ভরে দাও।

বলার সাথে সাথে পুরো লেক কোকে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো।

সে তার সঙ্গীর দিকে তাকিয়ে কৃতিত্বের হাসি হেসে বললো, দেখলে, কি দারুণ কাজ করলাম।

তার সঙ্গী বললো, আরে গাধা, এখন নৌকার মধ্যেই পেশাব করতে হবে সে খেয়াল আছে?

Read more


হারানো বিড়াল

এক লোক তার স্ত্রীর বিড়ালটাকো দুচোখে দেখতে পারতো না। একদিন বিড়ালটাকে গাড়িতে তুলে অলিগলি ঘুরে অনেক দূরে ফেলে আসলো।

বাড়িতে আসতে না আসেতই সে দেখতে পেলো বিড়ালটা ফিরে এসেছে।

পরেরদিন সে বিড়ালটাকে আরো অনেক দূরে ফেলে এলো। কিন্তু বাড়িতে আসতে না আসতেই বিড়ালটা পথ চিনে ঠিকঠাক ফিরে এলো।

এমনিভাবে যত দূরেই বিড়ালটাকে ফেলে আসুক না কেন কোন লাভ হচ্ছিলো না।

একদিন সে চিন্তা করলো এতো দূরে নিয়ে ফেলবো যে বিড়াল কেন বিড়ালের বাপও পথ চিনে আসতে পারবে না। কয়েক ঘন্টা পর বাড়িতে তার স্ত্রীর কাছে একটা ফোন এলো।

মহিলার স্বামীই ফোন করেছিলো, হ্যালো, জেন, বিড়ালটা কি ফিরে এসেছে?

- হ্যাঁ, কেন জানতে চাইছো?

ফোনের অপর প্রান্তে বিরক্ত কণ্ঠে লোকটি বললো, বিড়াল হারামজাদাটাকে ফোন দাও। আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি এখন ওর কাছ থেকে পথ জানতে হবে।

Read more


টিয়ার ভদ্রতা

জেরি জন্মদিনে একটা টিয়া উপহার পেয়েছিলো।

টিয়াটা ছিলো খুবই রাগী আর খারাপ খারাপ গালি দিতো। জেরি নরম ভদ্র কথা বললেও তার উত্তর হতো খারাপ। জেরি সফট মিউজিক বাজিয়ে শোনাতো বা এরকম আরো কাজ করতো যাতে পাখিটার স্বভাব নরম করা যায়। কিন্তু কোন লাভ হতো না।

পাখিকে ধমকালে পাখি উল্টা গালিগালাজ করতো। পাখিকে গালিগালাজ করলে সেটা আরো মুখ খারাপ করতো। রেগেমেগে একদিন জেরি পাখিটাকে ফ্রিজে ভরে রাখলো।

কয়েক সেকেন্ড পর সে টিয়ার এক চিৎকার শুনতে পেলো.... তারপর সব চুপচাপ।

ভয়ে ভয়ে জেরি ফ্রিজের দরজা তাড়াতাড়ি করে খুলে দিলো।

টিয়াটা আস্তে হেঁটে জেরির কাঁধে এসে বসলো। বললো, জেরি, আমি আমার খারাপ কথা দিয়ে তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আমি আর এমন করবো না। আমাকে মাফ করে দাও।

জেরি টিয়ার এমন পরিবর্তনে তো অবাক! সে বুঝতে পারলো না পাখির এমন পরিবর্তন কিভাবে হলো।

টিয়া তখন বললো, একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি? মুরগীটার কি দোষ ছিলো?

Read more


ছুটি

এক সরকারি অফিসে দারুণ কাজের চাপ। দুই সহকর্মী ছুটি তো দূরে থাক, সারাদিন দম ফেলার সুযোগ পায় না।

একদিন একজন আরেকজনকে বললো, আমি জানি কিভাবে ছুটি আদায় করতে হয়।

অন্যজন জানতে চাইলো, কিভাবে?

প্রথমজন এদিক ওদিক তাকালো। দেখলো তাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কোন দেখা নেই। সে টেবিলে লাফ দিয়ে উঠে ছাদের কয়েকটা টাই খুলে ফেললো। সামান্য সিমেন্ট খুড়তেই সিমেন্ট আর রড দেখা গেলো। বারান্দায় ডিপার্টমেন্ট প্রধানের আওয়াজ শুনে সে রড ধরে ঝুলে পড়লো।

রুমে ঢুকে প্রধান তো অবাক। তিনি জানতে চাইলেন, এখানে কি হচ্ছে?

ঝুলতে থাকা কর্মচারী জবাব দিলো, আমি একটা বাল্ব।

প্রধান বললো, আমার মনে হয় তোমার ছুটি নেয়া উচিত। তোমাকে এখন থেকে ছুটি দেয়া হলো, ২ দিনের আগে যেন তোমার ছায়া দেখা না যায়.... এটা আমার অর্ডার।

ইয়েস স্যার -  বলে ছাদ থেকে নেমে বাইরে চলে গেলো প্রথম কর্মচারী।

দ্বিতীয়জনও বাইরে হাঁটা ধরলো। প্রধান তাকে থামালো, তুমি কোথায় যাচ্ছো শুনি?

দ্বিতীয়জন বললো, বাড়িতে। বাল্ব ছাড়া অন্ধকারে কিভাবে কাজ করবো?

Read more


চাকরির আবেদনপত্র

এটি একটি বাস্তব আবেদনপত্র। ১৭ বছরের এক বালক এটি ম্যাকডোনাল্ডস, ফ্লোরিডায় সাবমিট করেছিলো.... সে চাকরিও পেয়েছিলো কারণ তার দেয়া তথ্যগুলো ছিলো সরল এবং আনন্দদায়ক।


নাম- গ্রেগ বুলমাশ

সেক্স - এখনও হয়নি। পছন্দের কাউকে পাবার অপেক্ষায় আছি।

পছন্দনীয় পদ - কোম্পানির প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে সত্যি কথা বলতে, যে পদই খালি থাকুক তাতে কাজ করতে রাজি। আমার যদি বেছে নেয়ার সুযোগ থাকতো তাহলে এখানে আবেদনই করতাম না।

পছন্দসই বেতন- প্রতি বছর ১,৮৫,০০০ ডলার প্লাস কোম্পানির শেয়ার। যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা অফার করুন যাতে আমরা আলোচনা করে ঠিক করতে পারি।

শিক্ষা - আছে।

আগে যে পদে ছিলেন - Target for middle management hostility.

বেতন ছিলো - আমার যোগ্যতার চেয়ে কম।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন - চুরি করা কলমের এক অদ্বিতীয় কালেকশন।

চাকরি ছাড়ার কারণ - ভুয়া চাকরি।

কখন সময় দিতে পারবেন - যে কোন সময়।

পছন্দের সময় - দুপুর ১:৩০ - ৩:৩০, সোম, মঙ্গল আর বৃহস্পতিবার।

কোন বিশেষ যোগ্যতা আছে কি? - হ্যাঁ, কিন্তু কোন অন্তরঙ্গ মুহূর্তেই সেটা দেখানো উচিত।

আপনার বর্তমান চাকরিদাতার সাথে যোগাযোগ করা যাবে কি? - আমার কোন চাকরিদাতা থেকে থাকলে কি এখানে আবেদন করি?

আপনার এমন কোন শারীরিক সমস্যা আছে যার ফলে আপনি ৫০ পাউন্ডের মতো ওজন তুলতে পারবেন না? - কোথায়?

আপনার গাড়ি আছে? - প্রশ্নটা এভাবে করলে ভালো হতো যে 'তোমার এমন গাড়ি আছে যেটা চলে?'

ধূমপান করেন? - চাকরি করা অবস্থায় করি না, বিরতির সময় করি।

পাঁচ বছর পর কোন অবস্থানে থাকতে চান? - সুন্দরী এক মেয়েকে বিয়ে করে বাহামায় থাকতে চাই যে আমাকে স্লাইস পাউরুটির পর সবচেয়ে সেরা জিনিস মনে করবে। সত্যি বলতে কি আমি এখনই এমনটা করতে চাই্।

স্বাক্ষর: এরিয়েস।

Read more


৪ সপ্তাহ

বাইবেলের অনুসারী কিছু ব্যক্তি আলোচনা করছিলো কিভাবে মানুষের মৃত্যু হঠাৎ এসে পড়ে। একজন বললো, আমরা একদিন না একদিন মারা যাবো। আমরা সেই সময়টা জানি না। কিন্তু যদি জানতাম তাহলে আরো ভালোভাবে পরকালের জন্য প্রস্তুত হতে পারতাম।

প্রত্যেকেই তার কথায় সায় দিলো।

তাদের নেতাগোছের লোকটি বললো, যদি আমরা মরার ৪ সপ্তাহ আগে জানতে পারি, তাহলে আমরা কি করবো?

একজন বললো, আমি সমাজে গিয়ে বাইবেলের বাণী প্রচার করবো। সকলেই একমত হলো যে এটা খুবই ভালো কাজ হবে।

দ্বিতীয়জন বললো, আমি জীবনের ঐ ৪ সপ্তাহ খোদা, পরিবার আর সাধারণ জনগণের জন্য ব্যয় করবো। সবাই একমত হলো যে এটা খুবই ভালো কাজ হবে।

কিন্তু একজন বললো, আমি আমার শ্বাশুড়ীর বাড়িতে গিয়ে ঐ ৪ সপ্তাহ কাটাবো।

সবাই অবাক - কেন?

সে উত্তর দিলো, কারণ ঐ সময়টুকু হবে আমার জীবনের সবচেয়ে লম্বা সময়।

Read more


ঢাকাইয়া কৌতুক-৩

চানখাঁরপুলের হোটেলের এক পিচ্চি বেয়ারা ছুটছে অর্ডার নিয়ে, কেউ চাচ্ছে পুরি, ভাজি, কেউ বা এক গ্লাস পানি।
কেউ বলছে- ওই পিচ্চি এক কাপ চা দে, চিনি ভাসায়া, মালাই ডুবাইয়া। পিচ্চি বেচারার দম ফেলার জো নেই।
এর মধ্যে একজন বললো - ওই পিচ্চি, পানি কম দুধ বেশি এক কাপ চা আন।
দ্বিতীয় কাস্টোমার- পিচ্চি, দুধ ছাড়া এক কাপ চা।
পিচ্চি ছুটছে- কোনটা রেখে কোনটা আনবে। সবাই চোখ মুখ লাল করে ধমকায় তাকে।
আরেক কাস্টোমার এসে হাঁক দেয় - ওই পিচ্চি হালায় হোন, এক কাপ চা আন। দুধ, চিনি, লিকার ছাড়া।
পিচ্চি তো অবাক! ছুটতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়। তাহলে সে আনবেটা কি?

Read more


ঢাকাইয়া কৌতুক-২

পুরান ঢাকার পাতলা খান লেনের লাউলার সঙ্গে কাউলার দেখা।

লাউলা কাউলাকে জিজ্ঞেস করলো- দোস্ত, তোর বাপে নাকি হজ্বে যাইবার লাগছে? কবে, কহন?

কাউলা: কচ কি হালায় তয়................ যাইবার ভি পারে। শয়তান আছে।

Read more


ঢাকাইয়া কৌতুক-১

দুই চাপাবাজ, একজন ঢাকাইয়া আরেকজন কোলকাতাইয়া। দীর্ঘদিন বাদে দেখা। ঢাকাইয়া জিজ্ঞেস করলো, কি দোস্ত কেমুন আছো?
কোলকাতাইয়া: আর দাদা বোলো না। আছি বেশ। দু'আঙুলে কোলকাতাকে নাচাচ্ছি।
ঢাকাইয়া: কউ কি দোস্ত! খাড়াও তোমার এউগা পরীক্ষা লই। পাশ করলে বুঝমু কেমুন তুমি শেঠ।
কোলকাতাইয়া: ঠিক আছে, হয়ে যাক। বলো কি করতে হবে?
ঢাকাইয়া দোস্ত: ওই যে দেখবার লাগছো কাউয়্যাঠুটির গাছ, এউগা কাউয়ার বাসা ভি দেহা যাইতাছে। ওইহানে এউগা কাউয়া বয়া রইছে, ওর পেটের নিচে আন্ডা ভি আছে। এউগা আন্ডা গাছে উইঠা লয়া আইবা মাগার কাউয়া উড়বো না, পারবা?
কোলকাতাইয়া দোস্ত তর তর করে গাছে উঠে গেলো এবং কাকের পেটের তলা থেকে কাকের ডিমও নিয়ে এলো অথচ কাক টেরও পেলো না।
নেমে তৃপ্তির স্বরে সে বললো: এই নাও বন্ধু, কাকের পেটের তলা থেকে ডিম নিয়ে এলুম অথচ কাক ঠিকই বসে আছে (বাহাদুরি দেখিয়ে)।
ঢাকাইয়া: হ, তুমি কোলকাতারে দুই আঙুলে ঘুরাও ঠিকই। গাছে উইঠা কাউয়া না উড়ায়া কাউয়ার পেটের তলা থেইকা আন্ডা ভি লিয়া আইছো ঠিকই। মগর উঠোনের টাইমে যে দুই আঙুলে তোর ধুতি আমি খুইলা রাইখা দিছি দাদা, তুমি হালায় টেরই পাইলা না। নিচে চায়া দেহো পুরা কোলকাতা দেহা যাইবার লাগছে।

Read more


ফার্মহাউজ

এক শহুরে ভদ্রলোক একটি ফার্মহাউজ কেনার জন্য গেলো। মালিকের সাথে ফার্মহাউজ দেখতে দেখতে হঠাৎ তার নজরে পড়লো একটা বড় মৌচাক।

মৌমাছিকে সে কতটা ভয় পায় তা সে মালিককে জানালো। মালিক বললো, এগুলো একটুও কামড়ায় না। কিন্তু তাতে শহুরে ভদ্রলোকের মন ভরলো না।

শেষমেষ মালিক তাকে প্রস্তাব দিলো, আপনি সব কাপড় খুলে এই গাছের সাথে দাঁড়াবেন আর আমি আপনাকে বেঁধে দিবো। এক ঘন্টার মধ্যে যদি কোন মৌমাছি আপনাকে কামড়ায় তাহলে এই ফার্মহাউজ আপনার জন্য ফ্রি। আর না কামড়ালে আপনি কিনবেন।

প্রস্তাবটা ক্রেতা ভদ্রলোকের পছন্দ হলো। ফ্রি ফার্মহাউজ পাবার জন্য রিস্কটা নেয়া যায়। শর্তমতো তাকে মৌমাছির চাকের নিচে গাছে বেঁধে মালিক চলে গেলো।

এক ঘন্টা পর মালিক ভয়ে ভয়ে ফিরে এলো, না জানি কোন মৌমাছি ক্রেতা ভদ্রলোককে কামড়ে দেয়।

ভদ্রলোক যেমন ছিলেন তেমনই বাঁধা ছিলো। মালিক তাকে জিজ্ঞেস করলো, কোন মৌমাছি কি আপনাকে কামড়েছে?

ভদ্রলোক বললো, না, কোন মৌমাছি আমাকে স্পর্শও করেনি। কিন্তু ঐ বাছুরটার কি কোন মা নেই?

Read more


পুকুর

এক বৃদ্ধ লোকের একটি বড় ফার্মহাউজ ছিলো। ফার্মহাউজের পেছনে একটা বড় পুকুর ছিলো। সে সেটাকে কেটে গভীর করলো, কিছু পিকনিক টেবিল বসালো এবং কিছু গাছপালা লাগালো যাতে এটাকে একটা পিকনিক স্পট বানানো যায়।

একদিন বিকালে লোকটি পুকুরের অবস্থা দেখার জন্য চললো। তার হাতে ছিলো একটা বালতি।

পুকুরের কাছে আসতেই তার নজরে পড়লো কিছু নারীকণ্ঠ। আরেকটু এগোতেই সে দেখলো স্বল্প বসনা কিছু মেয়ে পুকুরের পাশে হাসি-আনন্দ করছে। বৃদ্ধ ভাবলো, হয়তো তারা পাশের কোন বাড়ি থেকে এসেছে। নিজের উপস্থিতি জানানোর জন্য সে গলা খাঁকারি দিলো।

তার আওয়াজ শুনে মেয়েরা সবাই গলা পানিতে নেমে গেলো। একজন বললো, চাচা, আপনি এখান থেকে না গেলে আমরা উঠবো না।

বৃদ্ধ বললো, আমি তোমাদের শরীর দেখার জন্য এখানে আসিনি। আমি পুকুরের কুমিরগুলোর জন্য খাবার এনেছি।

Read more


বাজি

আমেরিকায় তখন ভয়ানক মন্দা চলছে। একদিন এক বারে এক লোক ঢুকে বারটেন্ডারকে বললো, 'আজকে এই বারের সবাইকে আমার তরফ থেকে এক পেগ।'
বারটেন্ডার বললো, 'তা ঠিক আছে। কিন্তু এই মন্দার সময় তোমার কাছে এতো টাকা আছে তো...?'
লোকটি একতাড়া ডলার বের করে দেখালো। বারটেন্ডার অবাক হয়ে গেলো, 'তুমি এতো টাকা কোথায় পেলে?'
লোকটি উত্তর দিলো, 'বাজি ধরা আমার পেশা।'
বারটেন্ডার বললো, ' কিন্তু বাজি মানেই তো ৫০:৫০ চান্স। তাহলে?'
লোকটি বললো, 'ঠিক আছে, চলো ৫০ ডলার বাজি ধরি, আমি আমার ডান চোখে কামড় দিবো।'
বারটেন্ডার রাজি হলো। বাজিকর তখন তার নকল ডান চোখ খুলো কামড়ে দিলো।
বারটেন্ডার বাজিতে হেরে ৫০ ডলার দিয়ে দিলো।
বাজিকর বললো, 'হেরে তোমার মন খুব খারাপ হয়েছে বুঝতে পারছি। চলো তোমাকে আরেকটা চান্স দেই টাকা ফেরত নেবার। এসো বাজি ধরি, আমি আমার বাম চোখে কামড় দিবো।'
বারটেন্ডার খুশি হয়ে উঠলো, 'তোমার ডান চোখ নকল, আবার বারে তুমি দেখে দেখেই ঢুকেছো, তোমার বাম চোখটা তাহলে নকল না। আমি বাজিতে রাজি।'
বাজিকর তখন তার নকল দাঁত খোলে বাম চোখে কামড় দিলো।
'ধুত' - বারটেন্ডার বিরক্ত হয়ে বললো।
'দেখলে, এভাবেই আমি আমার বাজিগুলো জিতি। এবারের ৫০ ডলার আমি তোমার কাছ থেকে নিলাম না। তার বদলে এক বোতল হুইস্কি দাও।'
এক বোতল হুইস্কি নিয়ে বাজিকর চলে গেলো জুয়ার রুমে। প্রায় সারারাত ধরে সে জুয়া খেললো আর হুইস্কির বোতলটা প্রায় খালি করে ফেললো। ভোরের দিকে সে বারটেন্ডারের কাছে এগিয়ে এলো। সে নেশার কারণে ঠিকমতো পা ফেলতে পারছিলো না।
কোনমতে বারের উপর ভর রেখে বাজিকর জড়ানো কণ্ঠে বললো, 'আমি তোমার সাথে শেষ বাজি ধরতে এসেছি। আমি তোমার এই টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে তোমার পেছনের একটা খালি হুইস্কির বোতলে প্রস্রাব করে দেখাবো। বাজি ১,০০০ ডলার।'
বারটেন্ডার বাজিকরকে সারারাতই হুইস্কি খেতে দেখেছে। সে নিশ্চিত সে কোনভাবেই এই বাজিতে জিততে পারবে না। তাই সে খুশি মনে রাজি হয়ে গেলো।
বাজিকর টেবিলের উপর উঠে পেছনের একটা হুইস্কির খালি বোতলে পেশাব ফেলার অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু সে এমনভাবে কাঁপছিলো যে সে বোতল বাদে আর সব জায়গাতেই পেশাব দিয়ে ভরিয়ে দিলো।
শেষমেষ লজ্জিত কণ্ঠে বললো, 'বারটেন্ডার, আমি পারলাম না।'
বারটেন্ডার খুশিতে লাফ দিয়ে বললে, 'ইয়েস, আমি ১,০০০ ডলার জিতেছি।'
বাজিকর খুশিমনে তাকে ১,০০০ ডলার দিয়ে দিলো। বারটেন্ডার অবাক হয়ে বললো, 'কি ব্যাপার! তুমি এতো সহজে হার স্বীকার করে নিলে?'
বাজিকর বললো, 'জুয়ার রুমের লোকগুলোর সাথে আমার বাজি রয়েছে যে আমি তোমার পুরো বারে প্রস্রাব করবো কিন্তু তুমি হাসবে আর আমাকে মারবে না। ওদের সাথে আমি ৫,০০০ ডলার জিতেছি।'

Read more


২০ বছর

এক মহিলা গভীর রাতে উঠে দেখলো তার স্বামী তার পাশে নেই। সে গায়ে জামা চড়িয়ে নিচে এসে দেখলো তার স্বামী রান্নাঘরের টেবিলে এক কাপ কফি হাতে বসে আছে। তার স্বামী কোন কিছু নিয়ে গভীর চিন্তা করছিলো। মহিলা দেখলো তার স্বামীর গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।

'কি হয়েছে, প্রিয়?' মহিলা আস্তে করে জানতে চাইলো। 'এতো রাতে তুমি এখানে কেন?'

স্বামী চোখ তুলে তাকিয়ে বললো, 'তোমার মনে পড়ে, ২০ বছর আগে তোমার সাথে আমার সম্পর্ক হয়, তখন তোমার বয়স ছিলো মাত্র ১৬?'

'হ্যাঁ, মনে পড়ে।'

'মনে পড়ে, তোমার বাবা আমাদেরকে একটা গাড়ির পেছনে হাতে নাতে ধরে ফেলেছিলেন?'

'হ্যাঁ, মনে পড়ে।'

'মনে পড়ে, তিনি তার শটগান আমার দিকে তাক করে বলেছিলেন, "হয় তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করবে নয়তো তোমাকে ২০ বছরের জন্য জেলে পাঠাবো"?

'হ্যাঁ, এটাও মনে আছে।'

স্বামীর গাল বেয়ে আরেক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো..... 'আমি এখন স্বাধীন।'

Read more


ছোট্ট জনি

ছোট্ট জনি আর জেনি দু'জনের বয়সই ১০ বছর, কিন্তু তারা জানে তারা একে অপরকে ভালোবাসে। একদিন তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলো। জনি জেনির বাবার কাছে গেলো বিয়ের কথা বলতে।

সাহসের সাথে জনি জেনির বাবার কাছে গিয়ে বললো, মি. স্মিথ, আমি আর জেনি পরস্পরকে ভালোবাসি। এজন্য আপনার কাছে জেনিকে বিয়ে করার অনুমতি চাইতে এসেছি।

মি. স্মিথ বাচ্চার মুখে এমন কথা শুনে মজা পেলেন। বললেন, জনি, তোমার বয়স তো মাত্র ১০ বছর। তোমরা দু'জন কোথায় থাকবে?

জনি কোন রকম চিন্তা না করেই বললো, জেনির রুমে থাকবো। আমার রুমের চেয়ে ওরটা বড়। দু'জনের বেশ জায়গা হয়ে যাবে।

মি. স্মিথ তার কথায় আরো মজা পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তো অনেক ছোট। কোন কাজই তো করতে পারবে না। তাহলে জেনিকে খাওয়াবে কি?

জনি কোনরকম দ্বিধা না করে উত্তর দিলো, আমি প্রতি সপ্তাহে ১০ ডলার হাতখরচ পাই, জেনিও ৫ ডলার পায়। মাসে ৬০ ডলারে দু'জনের বেশ ভালোভাবেই চলে যাবে।

এবার মি. স্মিথ একটু অবাক হলেন। কারণ জনি সব উত্তর আগে থেকেই ভেবে রেখেছে। তাই তিনি এবার এমন প্রশ্ন করলেন যেটার উত্তর তৈরি করে রাখা জনির পক্ষে সম্ভব না।

মি. স্মিথ জানতে চাইলেন, তুমি তো সব বিষয়েই চিন্তা করে রেখেছো। আরেকটা উত্তর দাও তো। যদি তোমাদের ঘরে কোন বাচ্চা জন্ম নেয়, তোমরা তখন কি করবে?

জনি শ্রাগ করে বললো, এখন পর্যন্ত আমরা ভাগ্যবান যে এমন কিছুই হয়নি.....।

Read more


নামের গুরুত্ব

পিটার তার বন্ধু ববের সাথে নৌকায় ঘুরতে বের হলো। হঠাৎ প্রচন্ড ঝড় উঠলো। তারা কোনরকমে তীরের কাছে একটা ফার্ম হাউজে এসে উঠলো। দরজায় ধাক্কা দিতে একজন সুন্দরী মহিলা দরজা খুললো। দুই বন্ধু রাতে থাকার জন্য তার কাছে আশ্রয় চাইলো।

'কিছুদিন হলো আমার স্বামী মারা গেছেন।' মহিলা বললো। 'আমি তোমাদের বাড়িতে জায়গা দিলে লোকে নানা কথা বলবে।'

'ঠিক আছে, ম্যাম। আমরা বুঝতে পেরেছি। আমরা আস্তাবলে শুতে পারবো।' পিটার বললো।

নয় মাস পর, পিটার সেই বিধবা মহিলার উকিলের কাছ থেকে একটা চিঠি পেলো। বন্ধু ববের কাছে গিয়ে বললো, 'মনে আছে, আমরা কয়েক মাস আগে এক ফার্ম হাউজে এক সুন্দরী বিধবার দেখা পেয়েছিলাম?'

'হ্যাঁ, মনে আছে।'

'তুই কি ঐ রাতে ঘুম থেকে উঠে মহিলার সাথে কিছু করেছিলি?'

'হ্যাঁ, স্বীকার করি, করেছিলাম।'

'তুই কি তখন তাকে নিজের নাম না বলে আমার নাম বলেছিলি?'

'দোস্ত, মাফ করে দে। আমার ভুল হয়ে গেছে।' ধরা পড়ে বব বললো।

'না-রে, বরং তোকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি।' পিটার হেসে বললো। 'ঐ বিধবা কয়েকদিন আগে মারা গেছে আর সব সম্পত্তি আমার নামে করে গেছে।'

Read more

Page number

হাসির বাক্স ব্লগে স্বাগতম

কৌতুক কে না ভালোবাসে! সবার জন্য কৌতুকের এই কালেকশন। কেমন লেগেছে জানাবেন। তাহলে আরো শেয়ার করার আগ্রহ পাবো।

নিয়মিত আপডেট পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব বা ফলো করতে পারেন।

সোর্স উল্লেখ করলে এই সাইটের যে কোন কৌতুক যেকোন জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন।

প্রতিদিনের কৌতুক মেইলে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Total Subscribers

পুরোনো পোস্টসমূহ

Followers

Total Pageviews

Web hosting for webmasters