পুরষ্কার

ফকল্যান্ড যুদ্ধ শেষে অনেক সৈন্যকে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো। বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনজন সৈন্যকে নিজের কামরায় ডাকলেন ব্রিটিশ জেনারেল।

- যেহেতু তোমরা সত্যিকার কোন যুদ্ধে যাওনি, তাই তোমাদের আমি কোন মেডাল দিতে পারবো না। তবে ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তোমরা তোমাদের শরীরের দু'টি অঙ্গের নাম বলো, যার একটা থেকে আরেকটার দূরত্ব যত ইঞ্চি তার দ্বিগুণ টাকা তোমাকে দেয়া হবে।

১ম সৈনিক বললো, আমি মাথার চুল থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত চাই। জেনারেল বললেন, তাহলে ৭০ ইঞ্চির জন্য তুমি পাচ্ছো ১৪০ পাউন্ড।

২য় সৈনিক বললো, আমি মাথার পেছনে থেকে পায়ের সামনে পর্যন্ত চাই। জেনারেল বললেন, তাহলে ৭৫ ইঞ্চির জন্য তুমি পাবে ১৫০ পাউন্ড।

শেষজন বললো, আমি আমার বাম তালু থেকে ডান হাতের আঙুল পর্যন্ত চাই।

জেনারেল বললেন, তোমার চাওয়াতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু তোমার ডান হাতের আঙুল কই?

-ফকল্যান্ড আইল্যান্ড গুলি লেগে কাটা পড়েছে, স্যার।

Read more


বাদাম

এক লোক তার দূর সম্পর্কের বৃদ্ধা আত্মীয়াকে দেখতে হাসপাতালে গেলো। তখন তার আত্মীয়া ঘুমাচ্ছিলো। সে কিছুক্ষণ ম্যাগাজিন পড়লো, কিছুক্ষণ মোবাইলে গেম খেললো। আর সেই সাথে রোগীর টেবিলের উপর রাখা বাদামের বাটি থেকে বাদাম তুলে তুলে খেলো।

সব বাদাম প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এমন সময় আত্মীয়া জেগে উঠলেন। তাকে উঠতে দেখে লোকটি বললো, আমি তোমার অপেক্ষা করতে করতে প্রায় সব বাদাম খেয়ে ফেলেছি।

আত্মীয়া বললো, কোন সমস্যা নেই। উপরের চকলেটটুকু খেয়ে ফেলার পর ঐ বাদাম এমনিতেও আমার ভালো লাগে না।

Read more


মৃত্যুর পর

তিন বন্ধু এক গাড়ি এ্যাক্সিডেন্টে মারা গেলো। স্বর্গের গেটে তাদের জিজ্ঞেস করা হলো, তোমাদেরকে যখন কফিনে রাখা হচ্ছিলো আর তোমাদের আত্মীয় স্বজনরা কাঁদছিলো, তখন তাদের মুখ থেকে কি কথা শুনতে তোমাদের মন চেয়েছিলো?

১ম বন্ধু বললো, আমি চেয়েছিলাম তারা বলুক আমি কত ভালো ডাক্তার আর পরিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলাম।

২য় বন্ধু বললো, আমি চেয়েছিলাম তারা বলুক আমি কত ভালো শিক্ষক ছিলাম আর কত বাচ্চাকে সঠিক পথ দেখিয়েছি।

৩য় বন্ধু বললো, আমি চেয়েছিলাম তারা বলুক, "দেখো, ও তো নড়ছে"।

Read more


খারাপ মৃত্যু

স্বর্গের দরজায় অনেক ভিড়। সেইন্ট পিটার বললেন, আজকে আর বেশি লোকের জায়গা হবে না। যারা আজকে করুণ মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছো তারাই শুধুমাত্র আজকে যেতে পারবে। তা-ও মাত্র তিনজন।

১ম ব্যক্তি এগিয়ে এলো। বললো, আমার অনেকদিন ধরেই সন্দেহ আমার বউ আমার অগোচরে অন্য কারো সাথে মেলামেশা করে। তাকে হাতে নাতে ধরার জন্য আজকে আগে আগেই অফিস থেকে চলে এলাম। দ্রুত উঠে এলাম ২৫তলায় আমার ফ্ল্যাটে। মনে হলো আমার স্ত্রীর সাথে কেউ ছিলো কিন্তু পুরো ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কাউকে পেলাম না। তারপর ব্যালকনিতে গিয়ে দেখলাম ব্যাটা রেলিং ধরে ঝুলে আছে। রাগের মাথায় তাকে ফেলে দেয়ার জন্য মারা শুরু করলাম কিন্তু ব্যাটা তো হাত আর ছাড়ে না। পরে একটা হাতুড়ি নিয়ে হাতে আঙুলে দিলাম কয়েক ঘা। এবার আর টিকতে না পেরে সে ছেড়ে দিয়ে নিচে পড়ে গেলো। কিন্তু ব্যাটার ভাগ্য ভালো যে একটা ঝোপে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। আমার জিদ তারপরও না কমায় আমি ঘরের ফ্রিজটা তুলে ব্যাটাকে ছুঁড়ে মারলাম। এবার ব্যাটার মরণ হলো। এতো টেনশন আমার সহ্য হলো না, হার্ট এ্যাটাকে মারা গেলাম।

২য় ব্যক্তি এগিয়ে এলো। ১ম ব্যক্তিকে দেখিয়ে বললো, আমি উনার উপরের ফ্ল্যাটে ২৬ তলায় থাকি। বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচে দেখতে দেখতে হঠাৎ পড়ে যাই। ভাগ্য ভালো যে ২৫ তলার বারান্দার রেলিং ধরে বেঁচে যাই। হঠাৎ উনাকে দেখি। ভাবলাম আমাকে বাঁচাবেন। তা না করে উল্টো আমাকে মারা শুরু করলেন। আমি নিচে পড়ে গেলাম। তারপর একটা ভারি ফ্রিজ আমার উপর ফেললেন উনি। তারপর আমি এখানে।

৩য় জন এগিয়ে এলো। সেইন্ট পিটার জানতে চাইলেন, তোমার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে?

সে উত্তর দিলো: আমি ফ্রিজে ছিলাম।

Read more


পোষা

বব আর জো প্রতিবেশী। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাঝে ঝগড়া। বব জো-কে শিক্ষা দেয়ার জন্য একটা কুকুর কিনে আনলো আর তাকে ট্রেনিং দিলো কিভাবে জো-এর বাড়িতে গিয়ে বাথরুম করতে হবে। এমনটা এক বছর চললো কিন্তু জো টুঁ শব্দটি করলো না।

বব এবার একটা গরু কিনে আনলো আর তাকে ট্রেনিং দিলো কিভাবে জো-এর বাড়িতে আর উঠানে বাথরুম করতে হবে। এমনটা এক বছর চললো, গরুটা জো-এর বাড়িঘর দুর্গন্ধময় করে দিলো। কিন্তু জো টুঁ শব্দটি করলো না।

একদিন সকালে আওয়াজ শুনে বব বাইরে এসে দেখলো একটা ১৮ চাকার ট্রাক তার উঠানের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে।

- কি হচ্ছে এসব? জানতে চাইলো বব।

- এটা আমার নতুন পোষা হাতি। জো উত্তর দিলো।

Read more


এরিয়া ৫১

আমেরিকার অতি গোপনীয় এয়ার ফোর্সের আস্তানা এরিয়া-৫১ এর কথা হয়তো অনেকেই জানেন। বাইরের দুনিয়া এটা সম্পর্কে জানেই না বলতে গেলে। কারণ এর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।

হঠাৎ একদিন একটি সেসনা ল্যান্ড করলো এরিয়া ৫১-এ। এয়ারফোর্সের লোকেরা ধরে বেঁধে নিয়ে এলো পাইলটকে।

পাইলট জানালো সে পাশের শহরে উড়ে যাচ্ছিলো, হঠাৎ তার ফুয়েল শেষ হয়ে যাওয়ায় এখানে নেমেছে। এই কথা কি আর এরিয়ার লোকেরা মানবে। তারা তাকে সারারাত জেরা করলো এবং এফবিআই দ্বারা তার পুরো ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করালো। সকালে যখন জানা গেলো যে আসলেই বলা গল্পটা সত্যি এবং সে কোন স্পাই না, তখন তাকে ছেড়ে দেয়া হলো। যাবার আগে তাকে হুমকি দেয়া হলো, যদি কাউকে এরিয়া ৫১ এর কথা বলে, সারাজীবন জেলে পচতে হবে।

পাইলট কথা দিলো সে আর এখানে আসবে না।

পরদিন সেই সেসনা আবার ল্যান্ড করলো একই জায়গায়। এবার প্লেনে দু'জন যাত্রী। এরিয়ার প্রধান রেগেমেগ জানতে চাইলেন, কী ব্যাপার! কালকেই না সাবধান করে দিয়েছি। আজ আবার আরেকজনকে নিয়ে এসেছো? এবার আর তোমার রক্ষা নেই।

পাইলট বললো, তা তো ঠিক আছে, কিন্তু আমার স্ত্রীকে আপনি একটু বলুন গত রাতটা আমি এখানেই কাটিয়েছি।

Read more


মন খারাপ

এক লোক রেস্টুরেন্টে ঢুকে দেখলো তার বন্ধু মন খারাপ করে এক কোনার টেবিলে বসে আছে।

- কি হয়েছে দোস্ত, মন খারাপ কেন?

- গত জুলাই মাসে আমার মা মারা গেছে। আমাকে ২০,০০০ ডলার দিয়ে গেছে।

- আহা, আমি বুঝি তোমার কষ্ট।

- গত আগস্ট মাসে আমার বাবা মারা গেছে। আমাকে ৫০,০০০ ডলার দিয়ে গেছে।

- ইস, দুই মাসে বাবা-মা দু'জনকেই হারালে। সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায়।

- গত মাসে আমার মামা মারা গেছে, আমাকে ১৫,০০০ ডলার দিয়ে গেছে।

- ইস, সব আত্মীয়রা তোমাকে একে একে ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

- কিন্তু এই মাসে এখন পর্যন্ত কোন ইনকাম হলো না।

Read more


ভালো কাজ

স্বর্গে ঢোকার পথে এক লোক বাধা পেলো। সেইন্ট পিটার বললেন, স্বর্গে যাওয়া এতো সহজ না। পৃথিবীতে ভালো কাজ করে এলে তবেই স্বর্গে যেতে পারবে।

জানতে চাওয়া হলো তার জীবনে সে ধর্মকর্ম করেছে কী না? চার্চে নিয়মিত গেছে কী না।

উত্তর এলো- না।

জানতে চাওয়া হলো সে জীবনে দান-খয়রাত করেছে কী না।

উত্তর এলো- না।

জানতে চাওয়া হলো কাউকে জীবনে সাহায্য করেছে কী না। প্রতিবেশীর খেয়াল রেখেছে কী না।

উত্তর এলো - না।

একটু ডেসপারেট হয়ে সেইন্ট পিটার লোকটার দিকে তাকালেন। ভাবলেন, একে স্বর্গে নিতেই হবে। তিনি জানতে চাইলেন, একটু ভাবো, জীবনে কোন না কোন ভালো কাজ তো করেছো। চিন্তা করো।

লোকটি অনেক চিন্তা করে অবশেষে বললো, একটা বিষয় মনে পড়েছে। একবার আমি একটা গলির সামনে দিয়ে যাবার সময় দেখি কয়েকটা বাইকে চড়া মাস্তান এক মহিলাকে বিরক্ত করছে। তারা তার পার্স কেড়ে নিয়েছিলো। আমি সাহস করে এগিয়ে গেলাম। ধাক্কিয়ে মাস্তানগুলোকে সরিয়ে মহিলাকে তার ব্যাগ ফেরত দিলাম।

- দারুণ। সেইন্ট পিটার বললেন। তারপর?

- তারপর ঘুরে গিয়ে মুখোমুখি হলাম মাস্তান সরদারের। বললাম, লজ্জা করে না এক মহিলার পেছনে লাগতে? বাবা মা তুলে গালি দিলাম আর গালে থুতু ছিটিয়ে দিলাম।

- বাহ, বেশ ভালো কাজ করেছো তো। কবে ঘটেছে এটা?

- এই তো, দশ মিনিট আগে।

Read more


মাছ ধরার লাইসেন্স

সংরক্ষিত পুকুরে লুকিয়ে মাছ ধরছিলো দুই বন্ধু। হঠাৎ পাহারাদার তেড়ে এলো। তাকে দেখেই এক বন্ধু দিলো দৌড়। পাহারাদারও তার পিছু ধাওয়া করলো।

আধা মাইলমতো গিয়ে ছেলেটি দম নেয়ার জন্য দাঁড়াতেই পাহারাদার তাকে ধরে ফেললো। বললো, তোমার কাছে মাছ ধরার লাইসেন্স আছে?

ছেলেটি পকেট থেকে লাইসেন্স বের করে দিলো। চেক করে পাহারাদার অবাক, আরে বোকা, লাইসেন্স থাকলে তোমার ভয়ের কি? দৌড় দিলে কেন?

ছেলেটি বললো, আমার লাইসেন্স আছে, কিন্তু আমার বন্ধুর তো নেই।

Read more


স্বীকারো

নতুন দম্পতি হানিমুনে গেছে। বাথটাবে গোসল করতে করতে স্বামী ভাবছে, আমার পায়ে তো খুব দুর্গন্ধ হয়। মোজাগুলোর গন্ধ শুঁকলে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। বিয়ের আগের দিনগুলোতে নাহয় কোনভাবে ব্যাপারটা চাপা দিয়ে রেখেছি। কিন্তু এখন কি হবে?

ওদিকে বিছানায় শুয়ে স্ত্রী ভাবছে, আমার মুখে তো বিশ্রী দুর্গন্ধ। বিয়ের আগে নাহয় কোনভাবে এটাকে লুকিয়ে রেখেছি। এখন কি হবে?

স্বামী গোসল সেরে মনস্থির করলো যে সে তার খারাপ দিকটা স্ত্রীর কাছে স্বীকার করেই ফেলবে। এই ভেবে সে বিছানায় উঠে স্ত্রীকে এক হাতে জড়িয়ে ধরলো। বললো, জানু, তোমাকে আমার একটা খারাপ দিকের কথা বলবো বলে ভাবছি।

স্ত্রী বললো, আমারও একটা কথা বলার আছে।

স্বামী বললো, তোমারটা আমি জানি, আমার মোজা খেয়ে ফেলেছো তুমি, তাই না?

Read more


উদ্ধার

বিশেষ খবর:
গতকাল দু'সিটের একটি সেসনা বিমান আজিমপুর গোরস্তানে আছড়ে পড়েছে। উদ্ধারকর্মীরা সকাল থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত তারা প্রায় ৩০০টি দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন এবং আশংকা করছেন আরো মরদেহ পাওয়া যেতে পারে।

Read more


ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং

সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো প্লেনটি। হঠাৎ ক্যাপ্টেনের গলা শোনা গেলো, সম্মানীত যাত্রীবৃন্দ, ইঞ্জিনে কিছু গোলযোগ দেখা দেয়ায় আমরা ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হচ্ছি। নিচেই সমুদ্রের মধ্যে আশা করি নিরাপদে নামতে পারবো।

- সাগরে হাঙর নেই তো? ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলো এক মধ্যবয়স্কা মহিলা।

- তা আছে, কিন্তু এর জন্য ব্যবস্থাও করা আছে। আপনাদের প্রত্যেকের সিটের পাশে এক বোতল জেলি রাখা আছে। এটা নিয়ে আপনারা সারা হাতে পায়ে মেখে ফেলুন। এয়ারহোস্টেস বললো।

- তাহলে কি হাঙর আমার কাছ থেকে দূরে থাকবে? মহিলার প্রশ্ন।

- না, তারা আপনাকে খাবে ঠিকই, কিন্তু জেলির কারণে ততটা মজা পাবে না।

Read more


ফেরত

প্রফেসর ছাত্রদের ক্লাশ টেস্ট দিয়ে বললেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে তার ডেস্কে জমা দিতে। একে একে পরীক্ষা শেষে সবাই খাতা জমা দিয়ে দিলো। প্রফেসর খেয়াল করলেন একজন তার খাতার সাথে ১০০ ডলারের একটা  নোট স্ট্যাপল করে দিয়েছে। তিনি খাতাটা নিয়ে দেখতে পেলেন লেখা আছে, প্রতি পয়েন্টের জন্য ১ ডলার।

পরদিন খাতা দেখে প্রফেসর খাতা ফেরত দিলেন। সেই ছাত্রটি তার খাতার সাথে ৬৮ ডলার খুচরা ফেরত পেলো।

Read more


চালাক সেলসম্যান

এক সেলসম্যান এক ভদ্রলোককে মাউথওয়াশ বিক্রি করার চেষ্টা করছে।

- স্যার, একটা মাউথওয়াশ নিন। খুব ভালো। মাত্র ২০০ ডলার দাম।

- পাগল নাকি? ভদ্রলোক বললো। এতো দামে মাউথওয়াশ কে কিনবে?

- স্যার, আপনি যদি নেন তাহলে ‌১০০ ডলার রাখবো আপনার খাতিরে। নিন স্যার।

- তোমার কি মাথা খারাপ? ভদ্রলোক বিরক্ত হলো। এতো টাকা কি একটা মাউথওয়াশের দাম নাকি?

একটুও না দমে সেলসম্যান বললো, স্যার আপনাকে অনেক বিরক্ত করেছি। আমার সাথে এক ঢোক ব্রাউনি খান। কোন টাকা লাগবে না।

ভদ্রলোক রাজি হলো আর এক পেগ ব্রাউনি খেয়ে ফেললো। তারপর বললো, আরে, কি বিচ্ছিরি স্বাদ। মুখটা গেলো।

সেলসম্যান এবার বললো, স্যার, একটা মাউথওয়াশ নেন?

Read more


স্ত্রী

এক ভদ্রলোকের স্ত্রী মারা গেলো। ভদ্রলোক খুব কাঁদছে। পাশের বাড়ির এক ভাবি এসে সান্ত্বনা দিচ্ছে - কাঁদবেন না ভাই। কেঁদে আর কী হবে। মানুষতো আর চিরদিন বেঁচে থাকে না।

ভদ্রলোক বললো: ভাবি, যখন আমার মা মারা গেলো, তখন আশেপাশের বয়স্ক মহিলা প্রতিবেশীরা এসে বললো, কেঁদো না, তোমার মা নেই তো কি হয়েছে আজ থেকে আমরাই তোমার মা।

যখন আমার বোন মারা গেলো, তখন আশেপাশের মধ্যবয়স্ক মহিলারা এসে সান্ত্বনা দিয়ে বললো, কেঁদো না, তোমার বোন নেই তো কি হয়েছে, আজ থেকে আমরা তোমার বোন।

কিন্তু আমার বৌ মারা যাবার পর কেউ তো ওরকম সান্ত্বনা দিতে এলো না।

Read more


সিলেটি

এক সিলেটি ভদ্রলোকের সাথে আরেক সিলেটি ভদ্রলোকের দেখা।

১ম জন: এবা গতবছর যে মারা গেছিলাইন, আফনে না আফনের বাই?

২য় জন: আমার বাই।

১ম জন: ইয়ার লেগাইতো খই। তেনারে দেখি, আফনারে দেখিনা খ্যান? ক্যামবাই মারা গেছিলাইন?

২য় জন: সাফে খামরাইছে।

১ম জন: খোনো?

২য় জন: খফালে।

১ম জন : আল্লায় ভাচাইছে। চক্ষু দুইটা ভাইচা গেছে। খনোৎ কবর দিছাইন?

২য় জন: ভাড়ির পেছন, ফুকুর ফাড়ে, গাছতলায়।

১ম জন: বালা খরচাইন, ছায়া ফাইবো, টান্ডা লাগবো। আল্লায় তেনারে বাঁচায়া রাখুক।

Read more


জাঙ্গিয়া

ঢাকার বুদ্দু মিয়া কলকাতায় নয়া গেছে। ঘুরতে ঘুরতে পথে একটা বিজ্ঞাপনী সাইনবোর্ড দেখে দাঁড়িয়ে পড়লো সে। সঙ্গে বন্ধু ছাবেদকে জিজ্ঞেস করলো, দোস্ত দেখছস, কি বোদাইয়ের কাম? এই দ্যাখ, লেখা লাগায়া রাখছে 'গোপাল-এর গেঞ্জি ও জাঙ্গিয়া পরুন'।

- ক' তো দেহি, গোলাপের গেঞ্জি আর জাঙ্গিয়া যদি অন্য কেউ পইরা যায়- ওই হালায় গোলাপে আয়া পিনবো কি?

Read more


গিয়ার চেঞ্জ

পুরান ঢাকার টুলু বেপারির নতুন পয়সা হয়েছে। লেখাপড়া তেমন না জানলেও ব্যবসা বাণিজ্য ভালোই জানে বেপারি। পুরান ঢাকার আগামসি লেনে আলিশান দালান উঠেছে তার। এখন একটা গাড়ি না হলে কি চলে। মহল্লায় তো মান সম্মান থাকে না। ঘিঞ্জি গলিতে গাড়ি ঢুকবে কী না সন্দেহ আছে, তবুও গাড়ি একটা কিনতেই হবে।

কাকরাইলের কার সেন্টারে একটা গাড়ি দেখে পছন্দ হলো টুলু বেপারির। পাড়ার বোচা ড্রাইভারকে নিয়ে সে গাড়ি কিনতে চললো বেশ ঘটা করে।

পাশের বাড়ির মুরুব্বি যাওয়ার সময় বললো: বেপারি, গাড়ি যে কিনবা মগর খুব সাবধানে, আইজকালকার ড্রাইভারগুলা খুব চোর অয়। গাড়ির তেল তো চুরি করেই হালায় যন্তরপাতিবি চুরি কইরা বেইচা ফালায়, সাবধান।

কথাটা বেপারির মাথায় ঢোকে। গাড়ি কিনে ফেরার পথে টুকু বেপারি আয়েশি ভঙ্গিতে ড্রাইভার বোচাকে সে বললো, ওই বোচা, সিটটা ইটটু পিছায়া দে, আরাম কইরা বহি। ওই এউগা গান লাগা।

আচমকা গাড়ি একটু ঝাঁকুনি খায়। বেপারি প্রশ্ন করলো, আব্বে হালায় নয়া গাড়ি, ফাল পাড়ে ক্যালা?

ড্রাইভার বললো: না ফাল পাড়ে না, গাড়ির গিয়ার চেঞ্জ করলাম আর কি।

কথাটা শুনেই আচমকা বেপারি চেঁচিয়ে ওঠে, আমি গাড়িত বইয়া রইছি আর আমার সামনেই তুই গাড়ির গিয়ার চেঞ্জ কইরা ফালাইছস? হালার জানা, আমি গাড়িত না থাকলে তো তুই পুরা গাড়িই চেঞ্জ কইরা ফালাইবি। নাম, নাম হালায় গাড়িত্থে নাম। যা সিদা ভাগ। চোর হালায়.......

Read more


কবিতা

এক হলে বিশাল কবিতা প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে সারাদেশ থেকে ছোট বড়, নামী দামী কবিরা অংশগ্রহণ করে কবিতা পাঠ করছে। দর্শক শ্রোতা বোদ্ধাদের তালি হইচই।

হঠাৎ দেখা গেলো ঢাকাইয়া এক নব্য কবি মাথায় ইয়া ঝাঁকড়া বাবরি দোলানো বিদ্রোহী কবি নজরুল গোছের চুল ময়লা ইস্ত্রি বিহীন ভাঁজপড়া পাঞ্জাবি, কাঁধে কবি কবি ভাবের ব্যাগ ঝোলানো মঞ্চে উঠে এলো।

দর্শক শ্রোতা সবাই উন্মুখ ভালো কোন কবিতা তার কাছ থেকে শোনার জন্য। কবি তার কবিতা খুঁজে পাচ্ছে না - ঝোলা ব্যাগ হাতাচ্ছে। পকেট হাতিয়ে অবশেষে একটা দলানো মোচড়ানো কাগজ বের করে থেমে থেমে পড়া শুরু করলো: দু'টো ছেঁড়া-ফাড়া পাঞ্জাবি, একটি পুরনো শাড়ি, একটি পায়জামা ও ছোট্ট শিশুর দু'টি শার্ট....

বলেই কবি ইতস্তত ভাবে নেমে যাচ্ছে আর বিচারক মন্ডলীর টেবিল থেকে তখন 'বাহবা বাহবা' বলে টেবিল চাপড়ানোর রব উঠলো। দর্শক শ্রোতা না বুঝেই বাহ বাহ করে তুমুল করতালিতে ফেটে পড়লো। মিডিয়ার লোকজন, টিভি রিপোর্টাররা মাইক নিয়ে তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো। ছবির পর ছবি তুলতে লাগলো।

একজন প্রশ্ন করলো, কবি হোসাইন মুহাম্মদ বিষাদ, এই যে পৃথিবী জুড়ে এখন যুদ্ধ সন্ত্রাস হানাহানি, শোষণ, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, সংকট সংশয় এ সময় আপনি এই তৃতীয় বিশ্বের এতো নিগূঢ় সমস্যা টানাপোড়েন কিভাবে কবিতায় তুলে আনলেন?

কবির উত্তর: আরে দূর মিয়ারা, আমিতো ভুলে কবিতা না আইনা হালায় লন্ড্রির স্লিপখানা পকেটে লয়া আয়া পড়ছি। ভাই আমারে মাফ কইরা দেন।

Read more


ফকির

ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর এপারে সোয়ারিঘাট, ওপারে আটি, বছিলা, খোলামোড়ার উদ্দেশে চলাচল করে ছোট ছোট লঞ্চবোট। এক বোটে ভিক্ষুক ছিলো এক লেঙড়া, এক কানা ও এক লুলা। যাহোক কানা ভিক্ষুক ভিক্ষা করতে করতে এক কোনে বসে থাকা লেঙড়া ভিক্ষুকের উপর পা দিয়ে পাড়া দিয়ে দিলো।

লেঙড়া ফকির রেগে গিয়ে বললো: ওই হালা কানারজানা, আমার উপরে পাড়া দিলি কেন? চোখে দেখচনা? এক লাত্থি দিয়া পানিতে হালায়া দিমু। (উল্লেখ্য যে এই ফকিরের একটা পা-ও নেই)।

যা হোক, এই কথা শুনে এগিয়ে এলো লুলা (যার একটা হাতও নেই): দে হালারে পানিতে হালায়াদে - কেস মামলায় কুটি টেকা লাগলে আমি দিমু। হালায় এই কানাডার লেগা ভিক্ষা পাইনা আমরা।

Read more


চিড়া মুড়ি

ঢাকার এক ভদ্রলোক প্রথম কোলকাতায় গেছেন। নতুন জায়গা জলবায়ু, খাবার দাবারের পরিবর্তন ও উল্টাপাল্টা খাওয়ায় তার লুজ মোশন হয়ে গেলো। ওষুধের দোকানে কেউ ওষুধ দিচ্ছে না প্রেসকিপশন ছাড়া। তার এক সঙ্গী বললো, দোস্ত, এক কাম কর, তুই ভাতটাত আর খাইচ না, চিড়া ভিজায়া, কলা-গুড়-চিনি দিয়া খা। পেটটা ঠাণ্ডা থাবো, ডিসেন্ট্রি বন্ধ অইবো।

বন্ধুর কথামতো ভদ্রলোক হোটেলের কাছাকাছি খোঁজাখুঁজি করে একটা মুদি দোকানে গিয়ে বললো, এই যে ভাই, চিড়া আছে? এক পোয়া চিড়া দেন তো।

দোকানি তার কথা বুঝতে না পেরে বললো, কি বলছেন দাদা?

ভদ্রলোক: চিড়া, চিড়া চাইছি, আছে?

দোকানি একটু অবাক হয়ে: চি-ড়া, চিড়া কি দাদা?

ভদ্রলোক বিরক্ত হয়ে, আরে চিড়া-চিড়া, চিড়া চিনলেন না, আরে ওই যে, ভাত রাইন্দা, চেপ্টা কইরা হুকায়া রাখে যে।

দোকানি একটু ইতস্তত ভঙ্গিতে বললো: ভাত রেঁধে..... চেপ্টা করে.... শুকিয়ে রাখে? এ যে চিড়ে, (চিড়ার বয়াম দেখিয়ে) এই চিড়ে চাচ্ছেন মশাই?

ভদ্রলোক: আরে হ..... এইটাইতো চিড়া।

দোকানি: তা কতটুকু দিবো।

ভদ্রলোক: এক পা দেন।

দোকানি: ও, বুঝেছি, আড়াইশো। আর কি দিবো?

ভদ্রলোক: কেলে আছে, কেলে?

দোকানি: কে-লে! কেলে আবার কি দাদা?

ভদ্রলোক দোকানের ভেতরে ঝুলে থাকা কলার কাঁদির দিকে ইশারা করলেন: ওইযে কেলে।

দোকানি বিস্ময়ের সঙ্গে বললো: ওটা কেলে না মশাই, ওটাকে কলা বলে, কলা।

এবার ঢাকাইয়া ভদ্রলোক বললেন: আরে মশাই, চিড়া যদি চিড়ে অয় তাইলে কলা কেন কেলে অইবো না?

Read more


বার বার ৩ বার

এক কৃষক নতুন বিয়ে করা বউকে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে গীর্জা থেকে বাড়ি ফিরছিলো। রাস্তার মাঝে হঠাৎ ঘোড়াটা একটু পা মচকালো।

কৃষক বললো, 'একবার'।

আরেকটু যেয়ে ঘোড়াটার আবার পা মচকালো।

কৃষক বললো, 'দুইবার'।

আরেকটু যেতেই ঘোড়া তৃতীয়বারের মতো খোঁড়ালো।

এবার কৃষক মুখে কিছু বললো না। ওয়াগনের পেছন থেকে দোনলা বন্দুকটা বের করে ঘোড়াটাকে গুলি করে দিলো।

নতুন বিয়ে করা বউ তা দেখে ভয়ে চেঁচিয়ে উঠলো, 'এ কী করলে তুমি!'

কৃষক বললো, 'একবার'।

Read more


পাপ?

এক আইরিশ মেয়ে গীর্জার ফাদারের কাছে গিয়ে দোষ স্বীকারোক্তি দিচ্ছিলো, 'ফাদার, আমার জন্য প্রার্থনা করুন, আমি পাপ করেছি।'

'তুমি কি করেছো, বালিকা?'

মেয়েটি বললো, 'ফাদার, আমি অহংকারের পাপ করেছি। প্রতিদিন আমি আয়নায় নিজেকে দেখি আর মনে মনে বলি আমি কতো সুন্দর।'

ফাদার মেয়েটিকে ভালো করে দেখে বললেন, 'এটা পাপ নয়, বালিকা। এ তো তোমার ভুল ধারণা।'

Read more


আশা-ভরসা-কনফিডেন্স

কনফিডেন্স

একদিন গ্রামবাসীরা মিলে ঠিক করলো তারা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করবে।

সবাই সময়মতো মাঠে হাজির হলো। শুধু একটি ছেলে ছাতা নিয়ে এলো। একেই বলে কনফিডেন্স।


ভরসা

ভরসা হওয়া উচিত এক ছোট বাচ্চার মতো যাকে তুমি শুন্যে ছুঁড়ে দিলেও সে হাসে..... কারণ সে জানে তুমি তাকে ঠিকই লুফে নিবে।


আশা

প্রতিদিন আমরা ঘুমাতে যাই কিন্তু পরদিন জেগে উঠবো কী না তার কোন ঠিক নেই।

তারপরও আমরা পরেরদিনের জন্য কত প্ল্যান করে রাখি।

Read more


স্ত্রীকে খোঁজা

সুপারমার্কেটে এক ব্যক্তি এক খুব সুন্দরী মেয়েকে গিয়ে বললো, আমি আমার স্ত্রীকে মার্কেটের ভিড়ে হারিয়ে ফেলেছি। তুমি কি আমার সাথে দু'মিনিট কথা বলবে?

'কেন?' মেয়েটি অবাক হলো।

'কারণ, যখনই আমি কোন সুন্দরী মেয়ের সাথে কথা বলি, আমার স্ত্রী কোত্থেকে যেন উদয় হয়।'

Read more


কুমিরের ভয়

ফ্লোরিডার তীরে মাছ ধরতে গিয়ে এক টুরিস্ট তার নৌকা উল্টে ফেললো। জায়গাটা ছিলো তীর থেকে একটু দূরেই। কোনমতে একটা শৈবাল পাথরে আশ্রয় নিয়ে সে তীরে যাবার উপায় খুঁজতে লাগলো। কুমিরকে সে ভীষণ ভয় পেতো। যদি পানিতে কুমির থাকে, এই ভয়ে সে কয়েক ঘন্টা সেখানে আটকে রইলো।

অনেকক্ষণ পর এক সমুদ্রতীর-পুলিশকে দেখা গেলো তীরের কাছে। তাকে ডেকে টুরিস্ট জিজ্ঞেস করলো, তোমাদের এই তীরের কাছে কেমন কুমির আছে?

- নাহ, অনেক বছর ধরেই এখানে কুমির নেই। জবাব দিলো পুলিশ।

নিরাপদ বোধ করায় লোকটি তীরের দিকে সাঁতরাতে লাগলো। অর্ধেক পথ এসে সে আবার জানতে চাইলো, তোমরা কুমিরগুলোকে কিভাবে খতম করলে?

পুলিশ বললো, আমরা কিছু করিনি। হাঙ্গরের পাল ওদের খেয়ে ফেলেছে।

Read more


মদ্যপান

এক আইরিশ ডাবলিনের এক বারে এসে তিন পেগ মদ নিয়ে এক কোনায় বসলো। তারপর একে একে তিনটা পেগ একাই খেয়ে নিলো। আরেক দফা বারটেন্ডারের কাছে আসতেই বারটেন্ডার বললো, এই মদ ছোট পেগে খেয়ে মজা কম। যদি তিনটার বদলে একটা বড় পেগ নিতে তাহলে আরো মজা পেতে।

লোকটি হেসে বললো, আসলে আমরা তিন ভাই কাজের প্রয়োজনে তিন দেশে অবস্থান করছি। আমরা আলাদা হবার আগে ঠিক করেছিলাম, যেখানেই থাকি, প্রত্যেকেই আমরা এক পেগ করে প্রত্যেকের তরফ থেকে খাবো এবং পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করবো।

বারটেন্ডার স্বীকার করলো এটা খুবই ভালো জিনিস। এতে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্পর্ক ভালো থাকবে।

এভাবে আইরিশ লোকটা প্রতিদিন বারে আসতো আর তিন পেগ করে মদ খেতো। বারের নিয়মিত সবাই তার কাহিনী শুনেছিলো বলে সবাই এটাকে স্বাভাবিক ভাবেই দেখতো।

একদিন বারে ঢুকে লোকটি বললো, আমাকে দুই পেগ দাও। কথাটা বলামাত্র বারে পিনপতন নিস্তব্ধতা নেমে এলো। বারটেন্ডার মলিন মুখে তাকে তিন পেগ ঢেলে দিতে দিতে বললো, তোমার ভাইয়ের মৃত্যুতে আমিও গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার বিদেহী আত্মার মুক্তি কামনা করি।

কি হয়েছে বুঝতে লোকটি একটু সময় নিলো। তারপর হাসি ফুটে উঠলো তার চেহারায়, আরে না, তোমরা যেটা মনে করছো তেমন নয়। আমার ভাইয়েরা ঠিকই আছে। আজ থেকে আমি মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।

Read more


কন্ট্যাক্ট লেন্স

বাড়ির সামনে বাস্কেটবল খেলতে গিয়ে এক কিশোর তার এক চোখের কন্ট্যাক্ট লেন্স হারিয়ে ফেললো। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরও সে যখন সেটা পেলো না তখন তার মাকে গিয়ে ব্যাপারটা জানালো।

তার মা এবার বাইরে খুঁজতে গেলো এবং দুই মিনিটের মাথায় কন্ট্যাক্ট লেন্সটা খুঁজে নিয়ে এলো।

- মা, তুমি কিভাবে খুঁজে পেলে?

- আমরা তো একই জিনিস খুঁজছিলাম না। তুমি খুঁজছিলে একটুকরা প্লাস্টিক আর আমি খুঁজছিলাম ১৫০ ডলার।

Read more


মেয়েলী ডিকশনারী

হ্যাঁ - না।

না - হ্যাঁ।

হয়তো - না।

আমি দু:খিত - তোমার খবর আছে।

আমাদের দরকার - আমি চাই।

যা মনে চায় করো - পরে এর জন্য তোমাকে ভুগতে হবে।

আমাদের কথা বলা দরকার - আমার অভিযোগ শোন।

ঠিক আছে, করো - আমি চাই না তুমি করো।

আমি আপসেট না - অবশ্যই আমি আপসেট, গবেট।

এই কিচেনে কাজ করা যায়? - আমার নতুন বাড়ি দরকার।

জানালার জন্য পর্দা কিনতে হবে - সেই সাথে, ম্যাচ করা কার্পেট, ফার্নিচার আর ওয়ালপেপার।

একটা আওয়াজ শুনলাম মনে হলো - তুমি মনে হয় ঘুমিয়ে যাচ্ছো?

তুমি কি আমাকে ভালোবাসো? - আমি তোমার কাছ থেকে দামী কিছু চাইতে যাচ্ছি।

তুমি আমাকে কতটুকু ভালোবাসো? - আজকে এমন কাজ করেছি যা তুমি মনেপ্রাণে অপছন্দ করো।

এক মিনিটে রেডি হয়ে আসছি। - জুতা খুলে টিভিতে কোন প্রোগ্রাম দেখতে থাকো।

কথাবার্তা তোমার আরো ভালো করে শেখা উচিত। - আমার কথা মেনে নাও।

Read more


ল্যারির বার

এক লোক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে বললো, ডাক্তার, আমার স্ত্রী আমাকে লুকিয়ে অন্যদের সাথে মেশে। প্রতিদিন সে ল্যারির বারে যায়। যেই তাকে ডাকে তার সাথেই সে শোয়। এসব ভেবে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আপনিই বলুন আমি কি করতে পারি?

ডাক্তার বললো, শান্ত হও, আমি দেখছি কি করা যায়। তার আগে বলো তো, ল্যারির বারটা কোথায়?

Read more


সাহায্য

টিচার ক্লাসে এ্যাসাইনমেন্ট দিলেন গত সপ্তাহে কি অস্বাভাবিক ঘটেছে তা নিয়ে লিখতে।

ছোট্ট জন লিখলো, আব্বু গত সপ্তাহে বাসার সামনের কুয়ায় পড়ে গেছেন।

টিচার এ পর্যন্ত পড়ে বললেন, তোমার আব্বু এখন ভালো আছেন?

ছোট্ট জন উত্তর দিলো, মনে হয়। গতকাল থেকে কুয়া থেকে তার চিৎকার আর শোনা যাচ্ছে না।

Read more


গনোরিয়া

- ডাক্তার, আমার ছেলের মনে হয় গনোরিয়া হয়েছে। ফোনে এক রোগী তার ডাক্তারকে ফোন করলো। বাড়ির কাজের মেয়ের সাথেই সে একমাত্র আকামটি করেছে।

- ঠিক আছে, ও তো একটা বাচ্চা। ওর সাথে খারাপ আচরণ কোরো না। ডাক্তার বললো। ওকে চেম্বারে নিয়ে এসো। সব ঠিক হয়ে যাবে।

- কিন্তু ডাক্তার। আমিও তো ওই কাজের মেয়ের সাথে উল্টাপাল্টা করেছি। আমারও মনে হয় গনোরিয়া হয়েছে।

- তাহলে তুমিও চলে এসো। দু'জনের চিকিৎসা এক সাথে করে দেই।

- ডাক্তার, আমার স্ত্রীর-ও যে গনোরিয়া আছে।

- শয়তানের বাচ্চা। ডাক্তার চেঁচিয়ে উঠলো। তার মানে আমারও গনোরিয়া হয়েছে।

Read more


গরিলা

এক মহিলা নাস্তা খাবার সময় খেয়াল করলো এক ভয়ানক গরিলা তার বাগানে এসে তর তর করে একটা পাম গাছে চড়ে বসলো। ভয়ে মহিলা গরিলা ধরার লোকদের ফোন দিলো।

একটু পরেই এক লোক ট্রাকে করে হাজির। সে মহিলাকে অভয় দিয়ে বললো যে তার কাছে গরিলা ধরার সকল সরঞ্জাম আছে, তাই ভয়ের কিছু নেই।

সে তার ট্রাকের পেছন থেকে একটা মই, শটগান, লম্বা লাঠি, হাতকড়া আর একটা কুকুর বের করলো।

মহিলা তো অবাক, এতো জিনিস দিয়ে কি হবে?

লোকটি ব্যাখ্যা করলো, আমি মই গাছে পেতে উপরে উঠবো। তারপর লাঠি দিয়ে গরিলাকে খোঁচা দিবো। এতে গরিলা নিচে পড়ে যাবে। নিচে পড়তেই আমার ট্রেনিং পাওয়া কুকুর গরিলার নিম্নাঙ্গে কষে একটা কামড় দিবে যার ফলে গরিলা অল্প সময়ের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে। তারপর ওটাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যাবো।

মহিলা বললো, তাহলে শটগানটা কি কাজের?

লোকটি বললো, ওটা আপনার জন্য। যদি গরিলার বদলে আমি নিচে পড়ে যাই, আপনি কুকুরটাকে গুলি করবেন।

Read more


নাম?

বারে এক মেয়ের সাথে এক লোকের কথা হচ্ছে।

লোক: তোমার নাম কি?
মেয়ে: কারমেন।
লোক: সুন্দর নাম। তোমার মা এই নাম রেখেছে?
মেয়ে: না আমিই রেখেছি। আমি কার (গাড়ি) পছন্দ করি আর মেন (পুরুষ) পছন্দ করি, তাই। তোমার নাম কি?
লোক: মদমেয়ে।

Read more


অব্যবহৃত

লম্বা ট্যুর শেষে স্ত্রী বাড়িতে ফিরেই দেখতে পেলো তার স্বামী এক সুন্দরী তরুণীর সাথে বিছানায়। রাগে দু:খে বাড়ি থেকে বের হবার মুহূর্তে স্বামী তাকে থামালো।

বললো, যাওয়ার আগে শুনে যাও কিভাবে এমনটা হলো। বাড়িতে ফেরার পথে দেখলাম এই হতদরিদ্র মেয়েটা ক্লান্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। তাকে গাড়িতে লিফট দিলাম। তার খুব খিদে পেয়েছিলো, তাই তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে কিছু খাবার দিলাম যেটা তুমি ভুলো ফ্রিজে অনেকদিন ফেলে রেখেছিলে। তার জুতো জোড়া ছেঁড়া দেখে তোমার এক জোড়া জুতো দিলাম যা তুমি ফ্যাশন নেই বলে পরো না। তার জামা ছিঁড়ে গিয়েছিলো, তাই তাকে তোমার নতুন জন্মদিনের সোয়েটারটা দিলাম যেটার কালার তোমার পছন্দ না বলে পরো না। তারপর সে যখন চলে যাচ্ছিলো, শেষ মুহূর্তে সে জানতে চাইলো, বাড়িতে আর এমন কি আছে যেটা তোমার স্ত্রী ব্যবহার করে না।

তারপরই ও আর আমি একসাথে বিছানায়।

Read more

Page number

হাসির বাক্স ব্লগে স্বাগতম

কৌতুক কে না ভালোবাসে! সবার জন্য কৌতুকের এই কালেকশন। কেমন লেগেছে জানাবেন। তাহলে আরো শেয়ার করার আগ্রহ পাবো।

নিয়মিত আপডেট পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব বা ফলো করতে পারেন।

সোর্স উল্লেখ করলে এই সাইটের যে কোন কৌতুক যেকোন জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন।

প্রতিদিনের কৌতুক মেইলে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

Enter your email address:

Delivered by FeedBurner

Total Subscribers

Followers

Total Pageviews

Web hosting for webmasters