ছোট মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্ক শহরে ঘুরতে এসেছে মা। ট্যাক্সির জন্য মা অপেক্ষা করছিলো। এমন সময় মেয়ে দেখলো উদ্ভট জামা পরে কড়া মেকআপ করে কিছু মেয়ে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিলো।
এমন সময় একটা খালি ট্যাক্সি পেয়ে মা-মেয়ে উঠে পড়লো। মেয়েটি তার মা-কে জিজ্ঞেস করলো, মা, ওই মেয়েগুলো কারা?
মা তো আর আসল কথা বলতে পারে না, তাই বললো, ওরা ওদের স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছে। অফিস ছুটির পর ওদের স্বামীরা ওদের বাসায় নিয়ে যাবে।
ট্যাক্সি ড্রাইভার ঘাড় ঘুরিয়ে বললো, কাম অন, ম্যাম। বাচ্চাকে সত্যি কথা বলুন। ওরা আসলে বেশ্যা।
এক মুহূর্ত চুপ থেকে মেয়েটি জানতে চাইলো, মা, ওই বেশ্যাদেরও কি বাচ্চা হয়?
মা উত্তর দিলো, অবশ্যই হয়। নাহলে ট্যাক্সি ড্রাইভারগুলো আসে কোত্থেকে, বলো তো?
এক লোক ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো, ডাক্তার, আমি একটা ঝামেলায় পড়েছি। শুক্রবারে আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডেট আছে, শনিবার আমার সাবেক স্ত্রী আসছে আর রবিবার আমার স্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে আসছে। তাদের প্রত্যেককে সন্তুষ্ট করার জন্য আমাকে ৩টি ভায়াগ্রা দিন।
ডাক্তার বললো, তোমার বয়সের লোকের জন্য পরপর তিনদিন তিনটি ভায়াগ্রা খুব বিপদজনক। তোমাকে এক শর্তে দিতে পারি, তুমি সোমবারে এসে তোমার শারীরিক অবস্থা চেক করিয়ে যাবে।
লোকটি রাজি হলো। ডাক্তার তাকে ভায়াগ্রা দিয়ে দিলো।
সোমবার লোকটা ডাক্তারের কাছে এলো। তার ঘাড়ের সাথে ব্যান্ডেজ বাঁধা হাত ঝুলছিলো।
ডাক্তার অবাক, কি হয়েছে তোমার?
লোকটা উত্তর দিলো, ৩ জনের একজনও আসেনি।
বিয়ের ৪০ বছর পূর্তিতে জন ও জেনি দুই সপ্তাহের জন্য অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। প্লেনে হঠাৎ ক্যাপ্টেনের গলা শোনা গেলো, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, আপনাদের একটা খুব খারাপ সংবাদ দিতে হচ্ছে। প্লেনের ইঞ্জিন কাজ করছে না তাই ইমারজেন্সি ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হচ্ছি। ভাগ্য ভালো যে আমাদের নিচেই একটা অজানা দ্বীপ দেখা যাচ্ছে যেখানে আমরা ল্যান্ড করতে পারি। তবে দু:খজনক ব্যাপার হচ্ছে আমাদেরকে কেউ হয়তো এখানে খুঁজে পাবে না।
ক্যাপ্টেনের দক্ষতায় প্লেন ঠিকমতোই দ্বীপে ল্যান্ড করলো। সবাই খুব মনমরা যে আর কখনো তারা লোকালয়ে ফিরে যেতে পারবে না।
জন কিছুক্ষণ পায়চারি করে জেনির কাছে ফিরে এলো, জেনি, তুমি কি মর্টগেজের ৫,০০০ ডলার পরিশোধ করেছিলে?
জেনি বললো, সরি জন, আমি তো ভুলেই গেছি।
জন তারপর জানতে চাইলো, তুমি কি আমেরিকান এক্সপ্রেস কার্ডের ক্রেডিট শোধ করেছিলে?
জেনি বললো, সরি জন, আমি তো ভুলেই গেছি।
জন আবার বললো, আরেকটা কথা বলো তো, তুমি কি ভিসা আর মাস্টারকার্ডের ক্রেডিট শোধ করেছিলে?
জেনি দু:খের সাথে বললো, সরি জন, একদমই মনে ছিলো না।
আনন্দে আত্মহারা হয়ে জন জেনিকে জড়িয়ে ধরে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় কিস দিলো।
জেনি তো অবাক, কি হয়েছে তোমার?
জন উত্তর দিলো, ঐ কোম্পানিগুলোই আমাদের খুঁজে নেবে এখান থেকে।
ক্লাস ওয়ানে প্রাণীদের নাম শেখানো হচ্ছে।
টিচার একটা বিড়ালের ছবি দেখিয়ে জানতে চাইলেন, বলো তো, এটা কিসের ছবি?
একজন উত্তর দিলো, বিড়াল।
টিচার বললেন, ভেরি গুড। এবার বলো তো এটা কিসের ছবি?
আরেকজন উত্তর দিলো, কুকুর।
টিচার বললেন, ভেরি গুড।
এবার হরিণের (ডিয়ার) ছবি দেখিয়ে বললেন, বল তো এটা কিসের ছবি?
সবাই চুপ। টিচার বললেন, এটা হচ্ছে তোমার মা তোমার বাবাকে যা বলে ডাকে।
এবার এক ছাত্র হাত তুললো, 'মুখপোড়া মিনসে', ম্যাম।
এক লোক সমুদ্রতীরে হাঁটতে হাঁটতে একটা পুরনো কুপি খুঁজে পেলো। ঘষতেই সেটা থেকে বেরিয়ে এলো এক জ্বিন।
জ্বিন বললো, হুকুম করুন মালিক। আপনার তিনটি ইচ্ছা আমি পূরণ করবো। তবে এতে একটা ব্যাপার আছে।
লোকটি জানতে চাইলো, কি?
জ্বিন বললো, আপনি যা-ই চাইবেন, আপনার প্রতিবেশী তার দ্বিগুণ পাবে।
লোকটি তার প্রতিবেশীকে দু'চোখে দেখতে পারতো না। তারপরও নিজে তো অন্তত পাবে এই ভেবে সে তার প্রথম ইচ্ছার কথা বললো, আমি একটা ফেরারি গাড়ি চাই।
জ্বিন বললো, আপনার বাড়ির গ্যারেজে একটা ফেরারি গাড়ি রেডি হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার প্রতিবেশী পেয়েছে দুইটি ফেরারি।
লোকটি বললো, ঠিক আছে, আমি এবার চাই ১ কোটি টাকা।
জ্বিন বললো, আপনার একাউন্টে ১ কোটি টাকা জমা হয়ে গেছে। কিন্তু আপনার প্রতিবেশী পেয়েছে ২ কোটি টাকা।
লোকটি এবার তার তৃতীয় ও শেষ ইচ্ছা বললো, আমি আমার একটা কিডনি দান করতে চাই।
দীর্ঘদিন ধরে জো মাথাব্যথায় ভুগছিলো। অনেক ডাক্তার দেখানোর পরও তা সারছিলো না। একদিন এক নতুন ডাক্তারকে দেখানোর পর ডাক্তার বললো, তোমার মাথাব্যথার কারণটা আমি ধরতে পেরেছি। তোমার অন্ডকোষ মাঝে মাঝে চাপ খেয়ে মেরুদন্ডে প্রেশার সৃষ্টি করে যার ফলে তোমার মাথাব্যথা হয়। তোমার একটাই উপায় আর তা হলো অপারেশন করে অন্ডকোষ ফেলে দেয়া।
জো অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর ভাবলো মাথাব্যথা থেকে তাকে বাঁচতেই হবে। সে অপারেশনে রাজি হলো।
অপারেশন হবার পর তার মনে হতে লাগলো যে সে একটা নতুন মানুষে পরিণত হয়েছে। হাঁটা চলায় কেমন যেন অদ্ভূত মনে হচ্ছিলো। একটা কাপড়ের দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় সে ভাবলো নতুন জামা ট্রাই করা যাক। এতে মন খারাপ কিছুটা হলেও কমবে।
দোকানদারকে গিয়ে জো বললো, আমার একটা নতুন স্যুট দরকার।
দোকানদার বললো, স্যার, আপনি এই ৪৪ সাইজ ট্রাই করুন।
জো অবাক হলো, আপনি কিভাবে জানলেন আমার ৪৪ সাইজ লাগে।
দোকানদার বললো, এটা জানাই তো স্যার আমার কাজ।
জো দেখলো স্যুটটা দারুণ ফিট হয়েছে। দোকানদার পেছন থেকে বললো, নতুন শার্ট ট্রাই করবেন, স্যার?
জো রাজি হলো। দোকানদার বললো, আপনার হাতা ৩৪....... ১৬ এবং অর্ধেক ঘাড়। জো অবাক হলো, আপনি কিভাবে জানলেন?
দোকানদার বললো, এটা জানাই তো স্যার আমার কাজ।
জো শার্ট ট্রাই করলো এবং পারফেক্ট ফিট হলো। দোকানদার বললো, স্যার আমাদের এখানে নতুন ভালো জুতা আছে। ট্রাই করবেন?
জো রাজি হলো। দোকানদার বললো, স্যার আপনার সাড়ে নয় সাইজ লাগবে।
জো অবাক হলো, কিভাবে জানলেন?
দোকানদার বললো, এটা জানাই তো স্যার আমার কাজ।
জুতাও সুন্দরভাবে ফিট হলো।
দোকানদার বললো, স্যার আমাদের এখানে সুন্দর আন্ডারওয়্যার আছে। ট্রাই করবেন?
জো রাজি হলো।
দোকানদার বললো, স্যার, আপনার ৩৬ সাইজ লাগবে।
জো বললো, হয়নি। আমি গত ৫ বছর ধরে ৩৪ সাইজ সুন্দরমতো পরে আসছি।
দোকানদার বললো, স্যার, যদি ৩৪ সাইজ পরেন, তাহলে আপনার অন্ডকোষ চাপ দিয়ে মেরুদন্ডে প্রেশার সৃষ্টি করবে এবং এর ফলে আপনার মারাত্মক মাথাব্যথা হতে পারে।
হিলারি ক্লিনটন এবং এটর্নি জেনারেল জেনেট রেনো টিপিক্যাল মেয়েলি কথাবার্তা বলছিলো।
হিলারি ক্লিনটন বলতে লাগলো কিভাবে পুরষরা মেয়েদের বিরক্ত করে। তারা সেক্স ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না। এজন্য বাধ্য হয়ে বিলের সাথে সম্পর্ক করতে হয়েছে। তবে সেও আমাকে যখন তখন সেক্সের জন্য বিরক্ত করে।
জেনেট বললো, আমার চেহারা ভালো না বলে মনে কোরো না পুরুষরা আমাকে বিরক্ত করে না। তবে তাদের ভাগানোর ওষুধও আছে আমার কাছে।
হিলারি জানতে চাইলো, কিরকম?
জেনেট বললো, যখন কোন পুরুষ আমাকে পাবার জন্য বিরক্ত করে তখন আমি কষে একটা বায়ু নির্গমণ করি। আওয়াজ পেয়ে ভয়ে সেই লোক ভেগে যায়।
হিলারি ভাবলো বিল তাকে রাত্রে বিরক্ত করলে এই সিস্টেম কাজে লাগাবে।
যথারীতি রাতে বিল ক্লিনটন শুয়ে আছে। অন্ধকার ঘরে হিলারি ঘুমাতে এলো। তার উপস্থিতি টের পেয়ে বিল তার মনের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য নড়াচড়া শুরু করলো। হিলারি সারাদিন ধরে এ জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। সে পেটের সকল গ্যাস একত্র করে খুব জোরে বায়ুদূষণ করলো।
ক্লিনটনের অবাক গলা শোনা গেলো, জেনেট, তুমি নাকি?
এক বিবাহিত লোক পাদ্রীর কাছে স্বীকারোক্তি করতে গেলো, ফাদার, এক মেয়ের সাথে আমার 'প্রায়' এ্যাফেয়ার হয়ে গিয়েছে।
- 'প্রায়' মানে কি? ফাদার জানতে চাইলো।
- মানে আমরা কাপড় খুলো একটু ঘষাঘষি করেছি। কিন্তু তারপর আর কিছু করিনি।
- ঘষাঘষি করা আর মূল কাজ করা একই ব্যাপার। পাদ্রী ব্যাখ্যা করলো। ওই মেয়ের ধারে কাছেও আর যাবে না। এখন পাপমুক্তির জন্য মা মেরির বন্দনা করো আর দান বাক্সে ৫০ ডলার ফেলো।
লোকটি স্বীকারোক্তি দিয়ে প্রার্থনা করলো তারপর দান বাক্সের কাছে গিয়ে একটু থেমে ফিরে এলো।
পাদ্রী বললো, আমি সব দেখেছি.... তুমি টাকা ভেতরে না ফেলে হাতে ঘষেছো শুধু।
লোকটি বললো, ফাদার, আপনিই তো বললেন, ঘষা আর মূল কাজ একই জিনিস।
আমেরিকার সিনেটর জন কেরি একটি প্রাইমারি স্কুল ভিজিটে গেলেন। একটি ক্লাশে ঢুকে তিনি দেখলেন সেখানে শব্দের অর্থ পড়ানো হচ্ছে।
ক্লাশ টিচার সিনেটরকে অনুরোধ করলেন কিছু বলার জন্য। সিনেটর তাদেরকে কিছুক্ষণ 'ট্র্যাজেডি' শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করলেন। তারপর সবার কাছে জানতে চাইলেন, তোমাদের মধ্যে কি কেউ আমাকে ট্র্যাজেডির একটা উদাহরণ দিতে পারবে?
একজন ছাত্র হাত তুলে বললো, আমার এক বন্ধুর একটি খামারবাড়ি আছে। যদি তার ক্ষেতের ট্রাকটর তাকে পিষে মেরে ফেলে সেটা কি ট্র্যাজেডি হবে?
সিনেটর বললেন, না, এটা বরং 'এ্যাকসিডেন্ট'।
দ্বিতীয় আরেকজন বললো, যদি একটা স্কুল বাস ৫০ জন বাচ্চাকে নিয়ে পাহাড় থেকে পড়ে যায়, সেটা কি ট্র্যাজেডি হবে?
সিনেটর বললেন, না, বরং একে আমরা 'অপূরণীয় ক্ষতি' বলবো।
এরপর সবাই চুপ। সিনেটর তাদের সাহস দিলেন, আর কেউ কি নেই যে আমাকে সঠিক উদাহরণ দিতে পারবে?
শেষ বেঞ্চ থেকে একজন হাত তুললো। বললো, যদি সিনেটর মি. জন কেরি একটা প্লেন দিয়ে যাবার সময় একটা মিসাইল প্লেনে আঘাত করে এবং প্লেনটা টুকরা টুকরা হয়ে যায়, সেটা কি ট্র্যাজেডি হবে?
ফ্যানটাসটিক- বললেন সিনেটর, একদম ঠিক উদাহরণ দিয়েছো। তুমি কি ব্যাখ্যা করতে পারবে এটা কেন ট্র্যাজেডি?
ছাত্রটি উত্তর দিলো, কারণ এটা নিশ্চিতভাবেই 'অপূরণীয় ক্ষতি' না, আর কোনভাবে 'এ্যাকসিডেন্ট' তো নয়-ই। সুতরাং এটা ট্র্যাজেডিই হবে।
দুই বাঙালি লেকে মাছ ধরছিলো। একজনের বড়শিতে একটা পুরনো বোতল উঠে এলো। বোতলটা ধরতেই একটা জ্বিন এসে বললো, বলুন মালিক, আপনার একটি ইচ্ছা আমি পূরণ করবো।
যে বোতলটি পেয়েছিলো তার খুব কোকাকোলা খাবার শখ ছিলো। সে বললো, এই পুরো লেকটাকে কোক দিয়ে ভরে দাও।
বলার সাথে সাথে পুরো লেক কোকে পরিপূর্ণ হয়ে গেলো।
সে তার সঙ্গীর দিকে তাকিয়ে কৃতিত্বের হাসি হেসে বললো, দেখলে, কি দারুণ কাজ করলাম।
তার সঙ্গী বললো, আরে গাধা, এখন নৌকার মধ্যেই পেশাব করতে হবে সে খেয়াল আছে?
এক লোক তার স্ত্রীর বিড়ালটাকো দুচোখে দেখতে পারতো না। একদিন বিড়ালটাকে গাড়িতে তুলে অলিগলি ঘুরে অনেক দূরে ফেলে আসলো।
বাড়িতে আসতে না আসেতই সে দেখতে পেলো বিড়ালটা ফিরে এসেছে।
পরেরদিন সে বিড়ালটাকে আরো অনেক দূরে ফেলে এলো। কিন্তু বাড়িতে আসতে না আসতেই বিড়ালটা পথ চিনে ঠিকঠাক ফিরে এলো।
এমনিভাবে যত দূরেই বিড়ালটাকে ফেলে আসুক না কেন কোন লাভ হচ্ছিলো না।
একদিন সে চিন্তা করলো এতো দূরে নিয়ে ফেলবো যে বিড়াল কেন বিড়ালের বাপও পথ চিনে আসতে পারবে না। কয়েক ঘন্টা পর বাড়িতে তার স্ত্রীর কাছে একটা ফোন এলো।
মহিলার স্বামীই ফোন করেছিলো, হ্যালো, জেন, বিড়ালটা কি ফিরে এসেছে?
- হ্যাঁ, কেন জানতে চাইছো?
ফোনের অপর প্রান্তে বিরক্ত কণ্ঠে লোকটি বললো, বিড়াল হারামজাদাটাকে ফোন দাও। আমি পথ হারিয়ে ফেলেছি এখন ওর কাছ থেকে পথ জানতে হবে।
জেরি জন্মদিনে একটা টিয়া উপহার পেয়েছিলো।
টিয়াটা ছিলো খুবই রাগী আর খারাপ খারাপ গালি দিতো। জেরি নরম ভদ্র কথা বললেও তার উত্তর হতো খারাপ। জেরি সফট মিউজিক বাজিয়ে শোনাতো বা এরকম আরো কাজ করতো যাতে পাখিটার স্বভাব নরম করা যায়। কিন্তু কোন লাভ হতো না।
পাখিকে ধমকালে পাখি উল্টা গালিগালাজ করতো। পাখিকে গালিগালাজ করলে সেটা আরো মুখ খারাপ করতো। রেগেমেগে একদিন জেরি পাখিটাকে ফ্রিজে ভরে রাখলো।
কয়েক সেকেন্ড পর সে টিয়ার এক চিৎকার শুনতে পেলো.... তারপর সব চুপচাপ।
ভয়ে ভয়ে জেরি ফ্রিজের দরজা তাড়াতাড়ি করে খুলে দিলো।
টিয়াটা আস্তে হেঁটে জেরির কাঁধে এসে বসলো। বললো, জেরি, আমি আমার খারাপ কথা দিয়ে তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আমি আর এমন করবো না। আমাকে মাফ করে দাও।
জেরি টিয়ার এমন পরিবর্তনে তো অবাক! সে বুঝতে পারলো না পাখির এমন পরিবর্তন কিভাবে হলো।
টিয়া তখন বললো, একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি? মুরগীটার কি দোষ ছিলো?
এক সরকারি অফিসে দারুণ কাজের চাপ। দুই সহকর্মী ছুটি তো দূরে থাক, সারাদিন দম ফেলার সুযোগ পায় না।
একদিন একজন আরেকজনকে বললো, আমি জানি কিভাবে ছুটি আদায় করতে হয়।
অন্যজন জানতে চাইলো, কিভাবে?
প্রথমজন এদিক ওদিক তাকালো। দেখলো তাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধানের কোন দেখা নেই। সে টেবিলে লাফ দিয়ে উঠে ছাদের কয়েকটা টাই খুলে ফেললো। সামান্য সিমেন্ট খুড়তেই সিমেন্ট আর রড দেখা গেলো। বারান্দায় ডিপার্টমেন্ট প্রধানের আওয়াজ শুনে সে রড ধরে ঝুলে পড়লো।
রুমে ঢুকে প্রধান তো অবাক। তিনি জানতে চাইলেন, এখানে কি হচ্ছে?
ঝুলতে থাকা কর্মচারী জবাব দিলো, আমি একটা বাল্ব।
প্রধান বললো, আমার মনে হয় তোমার ছুটি নেয়া উচিত। তোমাকে এখন থেকে ছুটি দেয়া হলো, ২ দিনের আগে যেন তোমার ছায়া দেখা না যায়.... এটা আমার অর্ডার।
ইয়েস স্যার - বলে ছাদ থেকে নেমে বাইরে চলে গেলো প্রথম কর্মচারী।
দ্বিতীয়জনও বাইরে হাঁটা ধরলো। প্রধান তাকে থামালো, তুমি কোথায় যাচ্ছো শুনি?
দ্বিতীয়জন বললো, বাড়িতে। বাল্ব ছাড়া অন্ধকারে কিভাবে কাজ করবো?
এটি একটি বাস্তব আবেদনপত্র। ১৭ বছরের এক বালক এটি ম্যাকডোনাল্ডস, ফ্লোরিডায় সাবমিট করেছিলো.... সে চাকরিও পেয়েছিলো কারণ তার দেয়া তথ্যগুলো ছিলো সরল এবং আনন্দদায়ক।
নাম- গ্রেগ বুলমাশ
সেক্স - এখনও হয়নি। পছন্দের কাউকে পাবার অপেক্ষায় আছি।
পছন্দনীয় পদ - কোম্পানির প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট। তবে সত্যি কথা বলতে, যে পদই খালি থাকুক তাতে কাজ করতে রাজি। আমার যদি বেছে নেয়ার সুযোগ থাকতো তাহলে এখানে আবেদনই করতাম না।
পছন্দসই বেতন- প্রতি বছর ১,৮৫,০০০ ডলার প্লাস কোম্পানির শেয়ার। যদি সম্ভব না হয় তাহলে একটা অফার করুন যাতে আমরা আলোচনা করে ঠিক করতে পারি।
শিক্ষা - আছে।
আগে যে পদে ছিলেন - Target for middle management hostility.
বেতন ছিলো - আমার যোগ্যতার চেয়ে কম।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অর্জন - চুরি করা কলমের এক অদ্বিতীয় কালেকশন।
চাকরি ছাড়ার কারণ - ভুয়া চাকরি।
কখন সময় দিতে পারবেন - যে কোন সময়।
পছন্দের সময় - দুপুর ১:৩০ - ৩:৩০, সোম, মঙ্গল আর বৃহস্পতিবার।
কোন বিশেষ যোগ্যতা আছে কি? - হ্যাঁ, কিন্তু কোন অন্তরঙ্গ মুহূর্তেই সেটা দেখানো উচিত।
আপনার বর্তমান চাকরিদাতার সাথে যোগাযোগ করা যাবে কি? - আমার কোন চাকরিদাতা থেকে থাকলে কি এখানে আবেদন করি?
আপনার এমন কোন শারীরিক সমস্যা আছে যার ফলে আপনি ৫০ পাউন্ডের মতো ওজন তুলতে পারবেন না? - কোথায়?
আপনার গাড়ি আছে? - প্রশ্নটা এভাবে করলে ভালো হতো যে 'তোমার এমন গাড়ি আছে যেটা চলে?'
ধূমপান করেন? - চাকরি করা অবস্থায় করি না, বিরতির সময় করি।
পাঁচ বছর পর কোন অবস্থানে থাকতে চান? - সুন্দরী এক মেয়েকে বিয়ে করে বাহামায় থাকতে চাই যে আমাকে স্লাইস পাউরুটির পর সবচেয়ে সেরা জিনিস মনে করবে। সত্যি বলতে কি আমি এখনই এমনটা করতে চাই্।
স্বাক্ষর: এরিয়েস।
বাইবেলের অনুসারী কিছু ব্যক্তি আলোচনা করছিলো কিভাবে মানুষের মৃত্যু হঠাৎ এসে পড়ে। একজন বললো, আমরা একদিন না একদিন মারা যাবো। আমরা সেই সময়টা জানি না। কিন্তু যদি জানতাম তাহলে আরো ভালোভাবে পরকালের জন্য প্রস্তুত হতে পারতাম।
প্রত্যেকেই তার কথায় সায় দিলো।
তাদের নেতাগোছের লোকটি বললো, যদি আমরা মরার ৪ সপ্তাহ আগে জানতে পারি, তাহলে আমরা কি করবো?
একজন বললো, আমি সমাজে গিয়ে বাইবেলের বাণী প্রচার করবো। সকলেই একমত হলো যে এটা খুবই ভালো কাজ হবে।
দ্বিতীয়জন বললো, আমি জীবনের ঐ ৪ সপ্তাহ খোদা, পরিবার আর সাধারণ জনগণের জন্য ব্যয় করবো। সবাই একমত হলো যে এটা খুবই ভালো কাজ হবে।
কিন্তু একজন বললো, আমি আমার শ্বাশুড়ীর বাড়িতে গিয়ে ঐ ৪ সপ্তাহ কাটাবো।
সবাই অবাক - কেন?
সে উত্তর দিলো, কারণ ঐ সময়টুকু হবে আমার জীবনের সবচেয়ে লম্বা সময়।
চানখাঁরপুলের হোটেলের এক পিচ্চি বেয়ারা ছুটছে অর্ডার নিয়ে, কেউ চাচ্ছে পুরি, ভাজি, কেউ বা এক গ্লাস পানি।
কেউ বলছে- ওই পিচ্চি এক কাপ চা দে, চিনি ভাসায়া, মালাই ডুবাইয়া। পিচ্চি বেচারার দম ফেলার জো নেই।
এর মধ্যে একজন বললো - ওই পিচ্চি, পানি কম দুধ বেশি এক কাপ চা আন।
দ্বিতীয় কাস্টোমার- পিচ্চি, দুধ ছাড়া এক কাপ চা।
পিচ্চি ছুটছে- কোনটা রেখে কোনটা আনবে। সবাই চোখ মুখ লাল করে ধমকায় তাকে।
আরেক কাস্টোমার এসে হাঁক দেয় - ওই পিচ্চি হালায় হোন, এক কাপ চা আন। দুধ, চিনি, লিকার ছাড়া।
পিচ্চি তো অবাক! ছুটতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়। তাহলে সে আনবেটা কি?
পুরান ঢাকার পাতলা খান লেনের লাউলার সঙ্গে কাউলার দেখা।
লাউলা কাউলাকে জিজ্ঞেস করলো- দোস্ত, তোর বাপে নাকি হজ্বে যাইবার লাগছে? কবে, কহন?
কাউলা: কচ কি হালায় তয়................ যাইবার ভি পারে। শয়তান আছে।
দুই চাপাবাজ, একজন ঢাকাইয়া আরেকজন কোলকাতাইয়া। দীর্ঘদিন বাদে দেখা। ঢাকাইয়া জিজ্ঞেস করলো, কি দোস্ত কেমুন আছো?
কোলকাতাইয়া: আর দাদা বোলো না। আছি বেশ। দু'আঙুলে কোলকাতাকে নাচাচ্ছি।
ঢাকাইয়া: কউ কি দোস্ত! খাড়াও তোমার এউগা পরীক্ষা লই। পাশ করলে বুঝমু কেমুন তুমি শেঠ।
কোলকাতাইয়া: ঠিক আছে, হয়ে যাক। বলো কি করতে হবে?
ঢাকাইয়া দোস্ত: ওই যে দেখবার লাগছো কাউয়্যাঠুটির গাছ, এউগা কাউয়ার বাসা ভি দেহা যাইতাছে। ওইহানে এউগা কাউয়া বয়া রইছে, ওর পেটের নিচে আন্ডা ভি আছে। এউগা আন্ডা গাছে উইঠা লয়া আইবা মাগার কাউয়া উড়বো না, পারবা?
কোলকাতাইয়া দোস্ত তর তর করে গাছে উঠে গেলো এবং কাকের পেটের তলা থেকে কাকের ডিমও নিয়ে এলো অথচ কাক টেরও পেলো না।
নেমে তৃপ্তির স্বরে সে বললো: এই নাও বন্ধু, কাকের পেটের তলা থেকে ডিম নিয়ে এলুম অথচ কাক ঠিকই বসে আছে (বাহাদুরি দেখিয়ে)।
ঢাকাইয়া: হ, তুমি কোলকাতারে দুই আঙুলে ঘুরাও ঠিকই। গাছে উইঠা কাউয়া না উড়ায়া কাউয়ার পেটের তলা থেইকা আন্ডা ভি লিয়া আইছো ঠিকই। মগর উঠোনের টাইমে যে দুই আঙুলে তোর ধুতি আমি খুইলা রাইখা দিছি দাদা, তুমি হালায় টেরই পাইলা না। নিচে চায়া দেহো পুরা কোলকাতা দেহা যাইবার লাগছে।
এক শহুরে ভদ্রলোক একটি ফার্মহাউজ কেনার জন্য গেলো। মালিকের সাথে ফার্মহাউজ দেখতে দেখতে হঠাৎ তার নজরে পড়লো একটা বড় মৌচাক।
মৌমাছিকে সে কতটা ভয় পায় তা সে মালিককে জানালো। মালিক বললো, এগুলো একটুও কামড়ায় না। কিন্তু তাতে শহুরে ভদ্রলোকের মন ভরলো না।
শেষমেষ মালিক তাকে প্রস্তাব দিলো, আপনি সব কাপড় খুলে এই গাছের সাথে দাঁড়াবেন আর আমি আপনাকে বেঁধে দিবো। এক ঘন্টার মধ্যে যদি কোন মৌমাছি আপনাকে কামড়ায় তাহলে এই ফার্মহাউজ আপনার জন্য ফ্রি। আর না কামড়ালে আপনি কিনবেন।
প্রস্তাবটা ক্রেতা ভদ্রলোকের পছন্দ হলো। ফ্রি ফার্মহাউজ পাবার জন্য রিস্কটা নেয়া যায়। শর্তমতো তাকে মৌমাছির চাকের নিচে গাছে বেঁধে মালিক চলে গেলো।
এক ঘন্টা পর মালিক ভয়ে ভয়ে ফিরে এলো, না জানি কোন মৌমাছি ক্রেতা ভদ্রলোককে কামড়ে দেয়।
ভদ্রলোক যেমন ছিলেন তেমনই বাঁধা ছিলো। মালিক তাকে জিজ্ঞেস করলো, কোন মৌমাছি কি আপনাকে কামড়েছে?
ভদ্রলোক বললো, না, কোন মৌমাছি আমাকে স্পর্শও করেনি। কিন্তু ঐ বাছুরটার কি কোন মা নেই?
এক বৃদ্ধ লোকের একটি বড় ফার্মহাউজ ছিলো। ফার্মহাউজের পেছনে একটা বড় পুকুর ছিলো। সে সেটাকে কেটে গভীর করলো, কিছু পিকনিক টেবিল বসালো এবং কিছু গাছপালা লাগালো যাতে এটাকে একটা পিকনিক স্পট বানানো যায়।
একদিন বিকালে লোকটি পুকুরের অবস্থা দেখার জন্য চললো। তার হাতে ছিলো একটা বালতি।
পুকুরের কাছে আসতেই তার নজরে পড়লো কিছু নারীকণ্ঠ। আরেকটু এগোতেই সে দেখলো স্বল্প বসনা কিছু মেয়ে পুকুরের পাশে হাসি-আনন্দ করছে। বৃদ্ধ ভাবলো, হয়তো তারা পাশের কোন বাড়ি থেকে এসেছে। নিজের উপস্থিতি জানানোর জন্য সে গলা খাঁকারি দিলো।
তার আওয়াজ শুনে মেয়েরা সবাই গলা পানিতে নেমে গেলো। একজন বললো, চাচা, আপনি এখান থেকে না গেলে আমরা উঠবো না।
বৃদ্ধ বললো, আমি তোমাদের শরীর দেখার জন্য এখানে আসিনি। আমি পুকুরের কুমিরগুলোর জন্য খাবার এনেছি।
আমেরিকায় তখন ভয়ানক মন্দা চলছে। একদিন এক বারে এক লোক ঢুকে বারটেন্ডারকে বললো, 'আজকে এই বারের সবাইকে আমার তরফ থেকে এক পেগ।'
বারটেন্ডার বললো, 'তা ঠিক আছে। কিন্তু এই মন্দার সময় তোমার কাছে এতো টাকা আছে তো...?'
লোকটি একতাড়া ডলার বের করে দেখালো। বারটেন্ডার অবাক হয়ে গেলো, 'তুমি এতো টাকা কোথায় পেলে?'
লোকটি উত্তর দিলো, 'বাজি ধরা আমার পেশা।'
বারটেন্ডার বললো, ' কিন্তু বাজি মানেই তো ৫০:৫০ চান্স। তাহলে?'
লোকটি বললো, 'ঠিক আছে, চলো ৫০ ডলার বাজি ধরি, আমি আমার ডান চোখে কামড় দিবো।'
বারটেন্ডার রাজি হলো। বাজিকর তখন তার নকল ডান চোখ খুলো কামড়ে দিলো।
বারটেন্ডার বাজিতে হেরে ৫০ ডলার দিয়ে দিলো।
বাজিকর বললো, 'হেরে তোমার মন খুব খারাপ হয়েছে বুঝতে পারছি। চলো তোমাকে আরেকটা চান্স দেই টাকা ফেরত নেবার। এসো বাজি ধরি, আমি আমার বাম চোখে কামড় দিবো।'
বারটেন্ডার খুশি হয়ে উঠলো, 'তোমার ডান চোখ নকল, আবার বারে তুমি দেখে দেখেই ঢুকেছো, তোমার বাম চোখটা তাহলে নকল না। আমি বাজিতে রাজি।'
বাজিকর তখন তার নকল দাঁত খোলে বাম চোখে কামড় দিলো।
'ধুত' - বারটেন্ডার বিরক্ত হয়ে বললো।
'দেখলে, এভাবেই আমি আমার বাজিগুলো জিতি। এবারের ৫০ ডলার আমি তোমার কাছ থেকে নিলাম না। তার বদলে এক বোতল হুইস্কি দাও।'
এক বোতল হুইস্কি নিয়ে বাজিকর চলে গেলো জুয়ার রুমে। প্রায় সারারাত ধরে সে জুয়া খেললো আর হুইস্কির বোতলটা প্রায় খালি করে ফেললো। ভোরের দিকে সে বারটেন্ডারের কাছে এগিয়ে এলো। সে নেশার কারণে ঠিকমতো পা ফেলতে পারছিলো না।
কোনমতে বারের উপর ভর রেখে বাজিকর জড়ানো কণ্ঠে বললো, 'আমি তোমার সাথে শেষ বাজি ধরতে এসেছি। আমি তোমার এই টেবিলের উপর দাঁড়িয়ে তোমার পেছনের একটা খালি হুইস্কির বোতলে প্রস্রাব করে দেখাবো। বাজি ১,০০০ ডলার।'
বারটেন্ডার বাজিকরকে সারারাতই হুইস্কি খেতে দেখেছে। সে নিশ্চিত সে কোনভাবেই এই বাজিতে জিততে পারবে না। তাই সে খুশি মনে রাজি হয়ে গেলো।
বাজিকর টেবিলের উপর উঠে পেছনের একটা হুইস্কির খালি বোতলে পেশাব ফেলার অনেক চেষ্টা করলো কিন্তু সে এমনভাবে কাঁপছিলো যে সে বোতল বাদে আর সব জায়গাতেই পেশাব দিয়ে ভরিয়ে দিলো।
শেষমেষ লজ্জিত কণ্ঠে বললো, 'বারটেন্ডার, আমি পারলাম না।'
বারটেন্ডার খুশিতে লাফ দিয়ে বললে, 'ইয়েস, আমি ১,০০০ ডলার জিতেছি।'
বাজিকর খুশিমনে তাকে ১,০০০ ডলার দিয়ে দিলো। বারটেন্ডার অবাক হয়ে বললো, 'কি ব্যাপার! তুমি এতো সহজে হার স্বীকার করে নিলে?'
বাজিকর বললো, 'জুয়ার রুমের লোকগুলোর সাথে আমার বাজি রয়েছে যে আমি তোমার পুরো বারে প্রস্রাব করবো কিন্তু তুমি হাসবে আর আমাকে মারবে না। ওদের সাথে আমি ৫,০০০ ডলার জিতেছি।'
এক মহিলা গভীর রাতে উঠে দেখলো তার স্বামী তার পাশে নেই। সে গায়ে জামা চড়িয়ে নিচে এসে দেখলো তার স্বামী রান্নাঘরের টেবিলে এক কাপ কফি হাতে বসে আছে। তার স্বামী কোন কিছু নিয়ে গভীর চিন্তা করছিলো। মহিলা দেখলো তার স্বামীর গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
'কি হয়েছে, প্রিয়?' মহিলা আস্তে করে জানতে চাইলো। 'এতো রাতে তুমি এখানে কেন?'
স্বামী চোখ তুলে তাকিয়ে বললো, 'তোমার মনে পড়ে, ২০ বছর আগে তোমার সাথে আমার সম্পর্ক হয়, তখন তোমার বয়স ছিলো মাত্র ১৬?'
'হ্যাঁ, মনে পড়ে।'
'মনে পড়ে, তোমার বাবা আমাদেরকে একটা গাড়ির পেছনে হাতে নাতে ধরে ফেলেছিলেন?'
'হ্যাঁ, মনে পড়ে।'
'মনে পড়ে, তিনি তার শটগান আমার দিকে তাক করে বলেছিলেন, "হয় তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করবে নয়তো তোমাকে ২০ বছরের জন্য জেলে পাঠাবো"?
'হ্যাঁ, এটাও মনে আছে।'
স্বামীর গাল বেয়ে আরেক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো..... 'আমি এখন স্বাধীন।'
ছোট্ট জনি আর জেনি দু'জনের বয়সই ১০ বছর, কিন্তু তারা জানে তারা একে অপরকে ভালোবাসে। একদিন তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলো। জনি জেনির বাবার কাছে গেলো বিয়ের কথা বলতে।
সাহসের সাথে জনি জেনির বাবার কাছে গিয়ে বললো, মি. স্মিথ, আমি আর জেনি পরস্পরকে ভালোবাসি। এজন্য আপনার কাছে জেনিকে বিয়ে করার অনুমতি চাইতে এসেছি।
মি. স্মিথ বাচ্চার মুখে এমন কথা শুনে মজা পেলেন। বললেন, জনি, তোমার বয়স তো মাত্র ১০ বছর। তোমরা দু'জন কোথায় থাকবে?
জনি কোন রকম চিন্তা না করেই বললো, জেনির রুমে থাকবো। আমার রুমের চেয়ে ওরটা বড়। দু'জনের বেশ জায়গা হয়ে যাবে।
মি. স্মিথ তার কথায় আরো মজা পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি তো অনেক ছোট। কোন কাজই তো করতে পারবে না। তাহলে জেনিকে খাওয়াবে কি?
জনি কোনরকম দ্বিধা না করে উত্তর দিলো, আমি প্রতি সপ্তাহে ১০ ডলার হাতখরচ পাই, জেনিও ৫ ডলার পায়। মাসে ৬০ ডলারে দু'জনের বেশ ভালোভাবেই চলে যাবে।
এবার মি. স্মিথ একটু অবাক হলেন। কারণ জনি সব উত্তর আগে থেকেই ভেবে রেখেছে। তাই তিনি এবার এমন প্রশ্ন করলেন যেটার উত্তর তৈরি করে রাখা জনির পক্ষে সম্ভব না।
মি. স্মিথ জানতে চাইলেন, তুমি তো সব বিষয়েই চিন্তা করে রেখেছো। আরেকটা উত্তর দাও তো। যদি তোমাদের ঘরে কোন বাচ্চা জন্ম নেয়, তোমরা তখন কি করবে?
জনি শ্রাগ করে বললো, এখন পর্যন্ত আমরা ভাগ্যবান যে এমন কিছুই হয়নি.....।
পিটার তার বন্ধু ববের সাথে নৌকায় ঘুরতে বের হলো। হঠাৎ প্রচন্ড ঝড় উঠলো। তারা কোনরকমে তীরের কাছে একটা ফার্ম হাউজে এসে উঠলো। দরজায় ধাক্কা দিতে একজন সুন্দরী মহিলা দরজা খুললো। দুই বন্ধু রাতে থাকার জন্য তার কাছে আশ্রয় চাইলো।
'কিছুদিন হলো আমার স্বামী মারা গেছেন।' মহিলা বললো। 'আমি তোমাদের বাড়িতে জায়গা দিলে লোকে নানা কথা বলবে।'
'ঠিক আছে, ম্যাম। আমরা বুঝতে পেরেছি। আমরা আস্তাবলে শুতে পারবো।' পিটার বললো।
নয় মাস পর, পিটার সেই বিধবা মহিলার উকিলের কাছ থেকে একটা চিঠি পেলো। বন্ধু ববের কাছে গিয়ে বললো, 'মনে আছে, আমরা কয়েক মাস আগে এক ফার্ম হাউজে এক সুন্দরী বিধবার দেখা পেয়েছিলাম?'
'হ্যাঁ, মনে আছে।'
'তুই কি ঐ রাতে ঘুম থেকে উঠে মহিলার সাথে কিছু করেছিলি?'
'হ্যাঁ, স্বীকার করি, করেছিলাম।'
'তুই কি তখন তাকে নিজের নাম না বলে আমার নাম বলেছিলি?'
'দোস্ত, মাফ করে দে। আমার ভুল হয়ে গেছে।' ধরা পড়ে বব বললো।
'না-রে, বরং তোকে ধন্যবাদ জানাতে এসেছি।' পিটার হেসে বললো। 'ঐ বিধবা কয়েকদিন আগে মারা গেছে আর সব সম্পত্তি আমার নামে করে গেছে।'
Page number
হাসির বাক্স ব্লগে স্বাগতম
নিয়মিত আপডেট পেতে চাইলে সাবস্ক্রাইব বা ফলো করতে পারেন।
সোর্স উল্লেখ করলে এই সাইটের যে কোন কৌতুক যেকোন জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন।
প্রতিদিনের কৌতুক মেইলে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন
Labels
- কৌতুক (87)
- ১৮+ কৌতুক (29)
- স্বামী স্ত্রী কৌতুক (9)
- ঢাকাইয়া কৌতুক (8)
Popular Posts
পুরোনো পোস্টসমূহ
-
▼
2010
(132)
- ► 10/24 - 10/31 (18)
- ► 10/17 - 10/24 (34)
- ► 10/10 - 10/17 (21)
- ► 10/03 - 10/10 (35)